নিজস্ব প্রতিবেদন : গত রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে দেখা গিয়েছে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মাননিধি যোজনার টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নানান বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়। তবে এবার যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেন তখনই তিনি রাজস্ব বাবদ টাকা বরাদ্দ করার কাজ শুরু করে দিলেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্যও বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হলো।
রাজ্যগুলির রাজস্ব বাবদ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের অর্ধেকেরও কম টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার মধ্যে ২৫০৬৯.৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের জন্য। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ১০৫১৩.৪৬ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে রাজস্ব বাবদ রাজ্যগুলিকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার পেয়েছে ১৪০৫৬.১২ কোটি টাকা। মধ্যপ্রদেশের পকেটে ঢুকেছে ১০৯৭০.৪৪ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্র পেয়েছে ৮৮২৮.০৮ কোটি টাকা। রাজস্থান পেয়েছে ৮৪২১.৩৮ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশের পকেটে ঢুকেছে ৫৬৫৫.৭২ কোটি টাকা। অন্যদিকে সদ্য ওড়িশায় আসা বিজেপি সরকার পেয়েছে ৬৩২৭.৯২ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মিত বরাদ্দ ছাড়াও অতিরিক্ত বরাদ্দ রাজ্যগুলিকে দেবে কেন্দ্র। মূলত রাজ্যগুলির উন্নয়নমূলক কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়ে আসছে সেই জায়গায় এবারও কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার উত্তরপ্রদেশের তুলনায় অর্ধেকের কম টাকা পেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নতুন করে কোন ইস্যু তৈরি করা হয় কিনা তাই এখন দেখার।