New Plan for Lakshadweep: হুট করে বাড়ল জনপ্রিয়তা, এবার লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত রবিবার থেকে যেভাবে লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা এর আগে কখনো দেখে নি বিশ্ব। দ্বীপপুঞ্জ সমুদ্রে যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের অনেকেই লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের পর যে সব ঘটনা ঘটেছে তাতে লাক্ষাদ্বীপের জনপ্রিয়তা এইভাবে বেড়ে যাবে কেউ ভেবে উঠতে পারেননি।

গুগল সার্চ থেকে শুরু করে লাক্ষাদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান তৈরি করা, ট্যুর এজেন্সিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে এত হিড়িক এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এমন জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে অবশ্য বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদ্বীপের কয়েকজন নেতা মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবমাননা এবং ভারতীয় ভূখণ্ড নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এখন ভারতীয়রা দেখিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের কাছে জনপ্রিয় লাক্ষাদ্বীপই। এসবের মধ্যেই এবার লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বড় এক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো।

লাক্ষাদ্বীপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতেই বিভিন্ন ট্যুর এজেন্সি থেকে শুরু করে রতন টাটা নতুন ঘোষণা করেছেন। ২০২৬ সালের মধ্যে রতন টাটা সেখানে তাজ ব্র্যান্ডের দুটি হোটেল তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। আর এবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয়ে।

আরও পড়ুন 👉 Ratan Tata and Lakshadweep: ঘুম উড়তে চলেছে মালদ্বীপের! লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে বড় ঘোষণা করে দিলেন রতন টাটা

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয়ে যে বিমানবন্দরটি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে কেন্দ্র। প্রথমত এই বিমানবন্দর যেমন পর্যটকরা ব্যবহার করতে পারবেন, ঠিক সেই রকমই এই বিমানবন্দর ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সেনাদের জন্যও। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মিনিকয় আইল্যান্ডে নতুন একটি এয়ারফিল্ড তৈরির জন্য প্রস্তাব আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব ফের একবার যৌথভাবে ব্যবহারের জন্য পেশ করা হয়েছে।

মিনিকয় আইল্যান্ডে যদি নতুন করে এই এয়ারফিল্ড তৈরি করা হয় তাহলে একদিকে যেমন পর্যটকরা অনেক সুবিধা পাবেন ঠিক সেই রকমই ভৌগোলিক দিক দিয়ে আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবে ভারত। এছাড়াও এই বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পকে আর উন্নত করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে লাক্ষাদ্বীপে একটি এয়ারস্ট্রিপ রয়েছে যেটি অবস্থিত আগাট্টি এলাকায়। তবে নতুন করে এয়ারস্ট্রিপ তৈরি হলে তা সেনাবাহিনী এবং পর্যটক সবার জন্যই অনেক সুবিধা হবে।