করোনা ঠেকাতে দরকার ৬ ফুটের থেকেও বেশি দূরত্ব, দাবি বিজ্ঞানীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোস্যাল ডিসটেন্স বা সামাজিক দূরত্ব রক্ষার জন্য এতদিন ধরে ৬ ফুট দূরত্ব রাখার কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০ ফুট দূরত্ব থেকেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আক্রান্ত রোগীর হাঁচি, কাশি থেকে ২০ ফুট দূরত্বে থাকা ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে, কিন্তু আইসিএমআরের তরফ থেকে এতদিন ৬ ফুট দূরত্বের গাইড লাইন মেনে চলার কথা বলা হচ্ছিল।

লকডাউনের দীর্ঘ চতুর্থ পর্ব চলছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। জোন অনুযায়ী দেশে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এমন তথ্য নতুন করে ভীতি সৃষ্টি করেছে। কারণ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের সাথে রাজ্য সরকারগুলিকে নতুন করে করোনা প্রতিরোধে গাইডলাইন করতে হবে।

ভারতের আবহাওয়া উষ্ণ ও আদ্রতা যুক্ত। করোনা ভাইরাস কিছুটা ঠান্ডা ও আদ্রতা যুক্ত আবহাওয়ায় সংক্রমণ বেশি ঘটায়। এছাড়াও ভারত ঘন জনবসতির দেশ। বয়স্ক, বাচ্চা সহ পরিণত বয়স্ক মানুষেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে যে হার্ড ইমিউনিটির কথা বলা হচ্ছে তা ভারতে এখনো মানুষের মধ্যে তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শরীরের ভিতরে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগবে। পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন দেশ ও বিদেশের চিকিৎসা মহল। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সহ চীন, ইটালি, ইংল্যান্ড ও আমেরিকার গবেষণা মহল জোর চেষ্টা চলছে। এখনো পর্যন্ত প্রথম ট্রায়াল চলছে। এই পদ্ধতিতে প্রতিষেধক তৈরিতে কয়েক দশক সময় লাগে কিন্তু সেটাকে কম সময়ে করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তবে এর মাঝে যে করোনা ভাইরাস বহু মানুষের জীবন কেড়ে নেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে ভারতের মতো জন ঘন বসতিপূর্ণ দেশে যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেই দুর্বল সেখানেই বিপদের সম্ভবনা যে সবচেয়ে বেশি তা মেনে নিচ্ছেন কেন্দ্র সহ রাজ্যের প্রশাসকরাই।