ধর্মরাজ পুজো উপলক্ষে জমজমাট বাজি পোড়ানো, মেলা বীরভূমে

লাল্টু: দুবরাজপুরের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটা গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন ধর্ম্মরাজ পুজো উপলক্ষে মেতে উঠেছে গ্রাম বাংলার মানুষ। কোটা গ্রামের রায় পাড়া এবং মুখার্জি পাড়ার মানুষ ধর্ম্মরাজ পুজো উপলক্ষে মেতে উঠেছে। দুদিনের জন্য দুই পাড়াতেই বসছে গ্রাম্য মেলা। ধর্ম্মরাজ পুজো উপলক্ষে দুই পাড়াতেই দুদিন ধরে হয় লেটো গান, যা রসদ উপভোগ করতে আজও গ্রাম বাংলার মানুষ মুখিয়ে থাকেন। রবিবার ছিল বানামো। এই দিন দুই পাড়াতেই ধর্ম্মরাজ পুজোর বিভিন্ন রীতির রেওয়াজ থাকে।

কোটা গ্রামে দিনভর দুই পাড়াতেই রীতিমেনে ঢাক-ঢোল সহ নানান বাদ্যযন্ত্র সহকারে গ্রামের মানুষজন নানা ধরনের সেজে রাস্তায় বের হয় সং, যা দেখতে রাস্তায় ঢল নামে মানুষের। অজয় নদের ধারে একটা ফাঁকা মাঠে ধর্ম্মরাজ পুজো উপলক্ষে রায় পাড়া ও মুখার্জি পাড়ার বাজি ফাটানোর প্রদর্শন হয়। গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া এই বাজি ফাটানো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে দুই পাড়ার বাজি ফাটানোর প্রদর্শন। এই বাজি ফাটানো সময় দুই পাড়ার মধ্যে টানটান উত্তেজনা থাকে। কারা নতুনত্ব বাজি প্রদর্শন করবে? কারা জয়লাভ করবে? এই নিয়ে দুই পাড়ার মধ্যে কৌতুহল থাকে যথেষ্টই। বাজি ফাটানো শেষ হয়ে গেলেই আবার দুই পাড়ায় এক হয়ে যায়। সারারাত মানুষ জেগে থাকেন এই উৎসব উপভোগ করার জন্য। এই উৎসব উপলক্ষে প্রত্যেকের বাড়িতে আসেন আত্মীয়-স্বজনরা।

আরও পড়ুন: কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অপারেশন সিঁদুরের অন্যতম মুখ সোফিয়া কুরেশি! তবে কেন সেনায় যোগদানের করেছিলেন?

সোমবার রায়পাড়া ও মুখার্জি পাড়ার এই দুই পাড়াতেই ধর্ম্মরাজ মন্দিরে রীতি-রেওয়াজ মেনে হয় ধর্ম্মরাজ পুজো। এই পুজো দেখতে মন্দির চত্বরে ভীড় জমান ভক্ত থেকে গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই।

এর পাশাপাশি দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডিপুর গ্রামেও মহা ধুমধামের সঙ্গে হয় ধর্ম্মরাজ পুজো। শতাব্দী প্রাচীন ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। পুজো উপলক্ষে বসেছে গ্রাম্য মেলা। এই ধর্ম্মরাজ পুজো উপলক্ষে চারদিন ধরে চলবে নানান অনুষ্ঠান। রয়েছে পুতুল নাচ, নৃত্যানুষ্ঠান, গ্রামবাসিদের নিজেদের পরিবেশিত যাত্রা ও শেষ দিনে হবে বিচিত্রা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান ও মেলা দেখতে আশেপাশে গ্রাম থেকে মানুষজন ভিড় জমান।