ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুলন্ত উড়ালপুলের উদ্বোধন হতে চলেছে বাংলাতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুলন্ত উড়ালপুল বা রেলসেতুর শিলন্যাস হয় ২০০৯ সালে, সেতুর সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট ছিল ২০১৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু সময়ের সাপেক্ষে তা হয়ে ওঠেনি, তবে পুজোর আগেই উদ্বোধন হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুলন্ত রেলসেতু বা উড়ালপুলের বর্ধমানে।

তবে এই উদ্বোধন নিয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র সংঘাত। একই ব্রিজের উদ্বোধন হতে চলেছে দু-দুবার। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই উড়ালপুলের দায়ভার গ্রহণ করেছে রাজ্য এবং রেল অর্ধেক অর্ধেক ভাবে। প্রসঙ্গত যেকোনো রেল ওভার ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। ওভার ব্রিজের অংশ তৈরি করে রেল এবং বাকি রাস্তা অংশ তৈরি করে পূর্ত দপ্তর। আর এমন ক্ষেত্রে উদ্বোধন হয় যৌথভাবে। কিন্তু এই ঝুলন্ত রেল ব্রিজ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ব্রিজের উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উদ্বোধনের থাকবেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। আবার ৩০ শে সেপ্টেম্বর এই একই ব্রিজের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

আসলে আজ পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উদ্বোধন করবেন রেলের সাথে সংযোগকারী দুই পাশের রাস্তার। আর আগামী ৩০ তারিখ উদ্বোধন হবে ব্রিজের মূল অংশ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের হাত ধরে। যদিও এই দুই উদ্বোধনই যৌথভাবে হওয়ার কথা নিয়ম অনুসারে। অর্থাৎ আজ রাস্তার উদ্বোধন হয়ে গেলেও ব্রিজের উপর যান চলাচল করতে পারবে না, যান চলাচল হবে আগামী ৩০ তারিখের পরেই।

বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয়ী ভারতী জানিয়েছেন, এই প্রকল্প কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে হলেও রাজ্য সরকার অর্ধেকের বেশি টাকা দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের জন্য লগ্নি করেছে ১২০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে রাজ্য সরকার লগ্নি করেছে ১৬৭ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। নতুন উড়ালপুল উদ্বোধন করার জন্য বর্ধমানের জেলা প্রশাসন থেকে বেশ কয়েকবার রেলমন্ত্রককে চিঠি করা হয়। শিখন থেকে সবুজ সংকেত মেলার পরই উদ্বোধনের আয়োজন।

এই উড়ালপুল বর্ধমানের লাইফলাইন। পুরাতন রেল উড়ালপুল বিপদজনক হোয়াই দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কালনা কাটোয়ার দিকে যান চলাচলে হচ্ছে চরম সমস্যা। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন উড়ালপুল চালু হলে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে।