মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাচ্ছে ১০টি উপগ্রহ! দেশের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে ইসরো

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানাল, বর্তমানে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ দেশ ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মহাকাশ থেকে কাজ করছে। এই তথ্য জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ, যিনি রবিবার মণিপুরের ইম্ফলে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, এই উপগ্রহগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে কৌশলগত নজরদারির কাজ করছে, যার মূল উদ্দেশ্য ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।

এই ঘোষণা আসে এমন এক সময়ে, যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ও সংঘর্ষবিরতির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। ইসরো প্রধানের মতে, ভারতের মহাকাশ ক্ষমতা দিন দিন উন্নত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বিস্তৃত হবে। তিনি আশাবাদী যে ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজস্ব একটি মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করতে পারবে।

আরও পড়ুন: স্বস্তির বৃষ্টির মাঝেই নারকেল গাছে বজ্রপাত!

নারায়ণ আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৩৪টি দেশের মোট ৪৩৩টি উপগ্রহ ভারতীয় উৎক্ষেপণ যানের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মহাকাশ প্রযুক্তি এবং উপগ্রহ নজরদারির গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁর কথায়, “আমাদের আশপাশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর গতিবিধি সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবগত। আমাদের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসীমা রয়েছে, সেই সঙ্গে উত্তর দিকের বিস্তৃত এলাকা। এগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।”

তাঁর মতে, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তি অপরিহার্য। পহেলগাঁও হামলার পরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। গত মঙ্গলবার ভারত, পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায়। ভারতীয় সেনার মতে, এই হামলা শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত ছিল এবং কোনও পাক সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়নি।

এর জেরে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায় এবং ভারতও কড়া জবাব দেয়। টানা চার দিন সংঘর্ষের পর মার্কিন হস্তক্ষেপে গত শনিবার দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।