যুগ বদলেছে, বদলাচ্ছে মানুষের জীবনধারণও। ছুটির দিনে আগে দূরে বেড়াতে গেলেই যাত্রীদের চোখ থাকত বিলাসবহুল রাজধানী বা শতাব্দীর দিকে। এই ট্রেনগুলির দ্রুত ও উন্নত পরিষেবা মন জয় করে নিত যাত্রীদের। উপরি পাওনা ছিল নানান স্বাদের রকমারি খাবার। তাই একটু বেশি খরচে আরামে রাজধানী বা শতাব্দীতে যাত্রার শখ মিটিয়ে নিতেন অনেকেই। তবে বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনকে সাক্ষী রেখে ভারতীয় রেলের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। যাত্রী সুরক্ষাও জোরদার হয়েছে বৈকি।
এখন বিলাসবহুল রাজধানীর জায়গা দখল করে নিয়েছে বন্দে ভারতের মতো সেমি হাই স্পিড ট্রেন। এই ট্রেন চালুর পর থেকেই জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দেশের ১০০টি রুটে এই বন্দে ভারতের ট্রেন ছুটে বেড়াচ্ছে। তবে অত্যাধুনিক এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন থেকে ভারতীয় রেলের পকেটে কত টাকা আসেন জানেন?
আরও পড়ুন: এই খাবারগুলি মুখে ধরছেন কুকুরের? অজান্তেই বাড়ছে ক্ষতি
বেশ কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দা চন্দ্রশেখর গৌড় একটি তথ্যের অধিকার আইনের আবেদন করে জানতে চেয়েছিলেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো বিলাসবহুল ট্রেনগুলি থেকে সরকারের ঘরে কত টাকা আয় হয়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন গত দুই বছরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন কত রাজস্ব সংগ্রহ করেছে এবং এই ট্রেন পরিচালনায় লাভ না ক্ষতি হয়েছে।
এর উত্তরে ভারতীয় রেল মন্ত্রক এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কোনো ট্রেনভিত্তিক আয়ের হিসাব রাখে না। তাই বন্দে ভারত বা শতাব্দী এক্সপ্রেসের পৃথক আয়ের তথ্য তাদের কাছে নেই। বর্তমানে ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০০টি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল করছে। এই ট্রেনগুলিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটিরও বেশি যাত্রী ভ্রমণ করেছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যে মোট দূরত্ব অতিক্রম করেছে, তা পৃথিবীকে ৩১০ বার প্রদক্ষিণ করার সমান।
বন্দে ভারতের রাজস্বের নির্দিষ্ট হিসাব না পেয়ে চন্দ্রশেখর গৌড় বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন, রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রী সংখ্যা এবং যাত্রাপথের পরিসংখ্যান রাখে ঠিকই, তবে আয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য সংরক্ষণ করে না। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে আরেকটি আরটিআই-এর জবাবে রেল দপ্তর জানিয়েছিল, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯২ শতাংশেরও বেশি আসন সাধারণত পূর্ণ থাকে। বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেশি।