Mid Day Meal: বন্ধের মুখে মিড ডে মিল! স্কুলে গিয়ে জুটবে না দুপুরের খাবার, আশঙ্কায় পড়ুয়ারা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : পড়ুয়াদের যাতে খালি পেটে পড়াশোনা করতে না হয় তার জন্য সরকার চালু করেছে মিড ডে মিল (Mid Day Meal)। খালি পেটের পাশাপাশি পুষ্টির কথা মাথায় রেখেও মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই মিড ডে মিল ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। কখনো দুর্নীতি তো আবার কখনো খাবারের গুণগত মান নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে। এবার এই মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতেই রীতিমত আশঙ্কায় ভুগছেন বহু পড়ুয়ারা। কারণ মিড ডে মিলের খাবারেই অনেক পড়ুয়া রয়েছে যাদের দুপুরের পেট ভরে। মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার জল্পনা কেবলমাত্র পড়ুয়াদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এমন নয়, পাশাপাশি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যেও।

মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বড়ধেমো অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পিছনে কেবলমাত্র একটি কারণ সামনে এসেছে। আর সেই কারণটি হল পানীয় জলের সংকট। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পানীয় জলের সংকটের কারণে মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন 👉 Ayushman Bharat Scheme: আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে সুখবর দিলেন রাষ্ট্রপতি! এবার বাড়ানো হল আরও একটি সুবিধা

পানীয় জলের অভাবে যখন মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেই সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ পৌরসভার দ্বারস্থ হলে তাদের তরফ থেকে পানীয় জলের কানেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থাভাবে নাকি সেই কানেকশন নেওয়া আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। কানেকশন নেওয়ার জন্য ছয় হাজার টাকা দরকার। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, পানীয় জলের সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাদের জানানো হয়নি।

আসানসোলের যে প্রাথমিক স্কুলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটি ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। ওই স্কুলে বর্তমানে ১৬৪ জন পড়ুয়া এবং পাঁচ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। এত সংখ্যক পড়ুয়াদের রান্নার কাজ, বাসন ধোয়া মাজা এবং অন্যান্য কাজের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার জলের প্রয়োজন হলেও গত ছয় মাস ধরে এমন জল সংকট চলছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। পাশাপাশি মাস কয়েক ধরে পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি স্কুলটি সরকারি হয় তাহলে এককালীন টাকা জমা করতে হবে না। তবে পাইপ এবং অন্যান্য সামগ্রীর জন্য খরচ করতে হবে।