WhatsApp-এর নয়া প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে ক্ষিপ্ত মোদি সরকার, চিঠিতে জবাব তলব

নিজস্ব প্রতিবেদন : WhatsApp-এর তরফ থেকে সম্প্রতি তাদের প্রতিটি গ্রাহকদের নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে লাগু হবে নতুন প্রাইভেসি পলিসি। নতুন এই প্রাইভেসি পলিসি যেসকল ব্যবহারকারীরা গ্রহণ করবেন না তাদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা হবে। প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে চরম ধন্দ শুরু হওয়ায় এই প্রাইভেসি পলিসির তীব্র বিরোধিতাও শুরু হয়। আর এই তীব্র বিরোধিতার কারণে অবশেষে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং সংস্থা WhatsApp জানাই, এখনই তারা এই প্রাইভেসি পলিসি লাগু করছে না।

তবে WhatsApp-এর তরফ থেকে এখনই নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু না করার আশ্বাস দেওয়া হলেও থেমে থাকেনি কেন্দ্র সরকার। ভারত সরকারের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে এই ম্যাসেজিং সংস্থার প্রধানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যে চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ভারতীয়দের জন্য এই নয়া প্রাইভেসী পলিসি বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফ থেকে এটাও জানতে চাওয়া হয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য কতটা সুরক্ষিত তাও জানাতে হবে সরকারকে। এইরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।

কেন্দ্রের তরফ থেকে WhatsApp-এর বিরুদ্ধে বিভেদমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র টেনে নিয়ে এসেছে ইউরোপের প্রাইভেসী পলিসি। কারণ WhatsApp-এর তরফ থেকে ইউরোপ এবং ভারতীয়দের জন্য দুই ধরনের প্রাইভেসী পলিসি ব্যবহার করে থাকে। কেন্দ্রের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে, WhatsApp-এর বৃহত্তম বাজার হলো ভারত। অথচ ভারতীয়দের যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না।

আর এই সকল নানান প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের তরফ থেকে WhatsApp-কে স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য নয় এই প্রাইভেসি পলিসি চালু না হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে WhatsApp-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রাইভেসি পলিসির পরিবর্তন করা হলেও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকবে। কিন্তু এই বার্তাই কোনভাবেই ভরসা পাচ্ছেন না ব্যবহারকারীরা।

প্রসঙ্গত, জুন মাস থেকে ভারতীয়দের তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠায় ভারত সরকারের তরফ থেকে শতাধিক চিনা অ্যাপ ব্যান করা হয়েছে। এমত অবস্থায় WhatsApp-এর নয়া প্রাইভেসী পলিসির বিরোধিতা করছে ভারত সরকার। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।