২০২১ এ তৃণমূলকে মাত করতে অমিত শাহের নির্দেশে বঙ্গ বিজেপিতে তৈরি হচ্ছে নীল নকশা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে উঠে পড়ে রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের প্রধান সেনাপতি রাজনৈতিক স্ট্রাটেজিকার প্রশান্ত কিশোর। তাহলে ২০২১ প্রত্যাবর্তন, না পরিবর্তন! পরিবর্তন হলেও তা কোন পথে আসবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে এরই মাঝে সূত্রের খবর, ২০২১ এর বিধানসভার আগে বঙ্গ বিজেপিতে সাংগঠনিক ঝাঁকুনি দিয়ে একের পর এক পরিবর্তন আনা হবে বিভিন্ন স্তরে। আর এই পরিবর্তনের কাজ শুরু করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি অমিত শাহের নির্দেশেই।

বঙ্গ বিজেপিতে সাংগঠনিক পরিবর্তন করে নতুন টিম গঠনের কাজ দিলীপ ঘোষের মত বরিষ্ঠ নেতাদের হাতে। বিজেপি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিজেপির রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি, জেলা সভাপতি, সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, যুব ও মহিলা মোর্চার সভাপতি পদেও বদল আনা হচ্ছে। এছাড়াও কমপক্ষে এরাজ্যের ১১ টি জেলার সভাপতির পদ পরিবর্তন হতে পারে। যে তালিকায় রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, কালিম্পংয়ের মত জেলার নামও। পাশাপাশি ৫০০ মন্ডলের সভাপতির পদ পরিবর্তন করা হতে পারে।

অমিত শাহের নির্দেশে নতুন টিম গঠনের কাজে ইতিমধ্যেই একটি তালিকা দিল্লি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে কেন্দ্র বিজেপির তরফ থেকে। সংগঠনের কাজে তরুণ প্রজন্মকে লাগানোর নির্দেশ এসেছে কেন্দ্র থেকে বলেও জানা গিয়েছে। এমনকি দলে আসা অভিনেতা অভিনেত্রীদের আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্রকে সম্পাদক করা হতে পারে।

অন্যদিকে মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে বিজেপি রাজ্য কমিটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হচ্ছে দেবজিৎ সরকারকে। তাঁকে দেওয়া হতে পারে সম্পাদকের পদ। মহিলা মোর্চার সম্ভাব্য সভানেত্রীর তালিকায় রয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল, শশী অগ্নিহত্রী এবং তনুজা চক্রবর্তী। শুভ্রাংশু রায়, শঙ্কুদেব পণ্ডা, প্রকাশ দাস, তাপস ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।