বীরভূমের এই পুকুরে স্নান করলেই ছুমন্তর বাতের ব্যাথা? কাতারে কাতারে ভিড়, যা বলছে চিকিৎসকমহল

বীরভূমে রয়েছে এমন এক পুকুর, যেখানে স্নান করলে বাতের ব্যথা কমে যায়। শুধু বাতের ব্যথা কমে যাওয়া নয়, এর পাশাপাশি দূরারোগ্য অনেক ব্যাধিও দূর হয়ে যায়। এমনটা অবশ্য আমরা দাবি করছি না, এমনটা বিশ্বাস সাধারণ মানুষদের।

যে পুকুরের কথা বলা হচ্ছে সেই পুকুরটি রয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত আহমেদপুরের বেলিয়া গ্রামে। তবে এখানে শুধু স্নান করলে নয়, সাধারণ মানুষদের দাবি অনুযায়ী এখানে থাকা ধর্মরাজ ঠাকুরের পুজো এবং ধাপে ধাপে নিয়ম পালন করলে বাতের ব্যথা সহ বিভিন্ন দুরারোগ্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সাঁইথিয়া স্টেশন থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে থাকা ওই গ্রাম এবং ওই গ্রামের পুকুরের এমন মাহাত্ম্য দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ার ফলে বছর ভর সেখানে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের আগমন হয়। তবে আষাঢ় মাসের প্রত্যেক রবিবার ৪০০ বছরের পুরাতন এই ধর্মরাজ মন্দিরে ভিড় হাজার হাজার, আবার কখনো লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। যে সময় এখানে রীতিমত মেলা বসতে দেখা যায়। এখানে বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাইরে থেকেও অনেকে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এত এত মানুষের আগমনের ফলে এখানকার মন্দিরের পিছনে থাকা গদা পুকুর এলাকার রীতিমত মেলার রূপ নেয়। বাড়তি রোজগারের পথ খুঁজে পান এলাকার বাসিন্দারা।

তবে পুকুরের স্নান এবং পুকুরের স্নানের পরিপ্রেক্ষিতে বাতের ব্যথা সহ দুরারোগ্য বিভিন্ন ব্যাধি দূর হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্য চিকিৎসক মহলের কাছে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। চিকিৎসক মহল দাবি করছে, বিষয়টি মানুষের বিশ্বাস আর সেই বিশ্বাস নিয়ে তাদের কোন আপত্তি নেই। এমনকি গায়ে মাটি মাখা, তেল মাখা, পুজো দেওয়া, পুকুরে স্নান করা তাতেও তাদের কোন আপত্তি নেই। তবে এসব করে কোনভাবেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। বরং একই পুকুরে এত মানুষের স্নান হিতে বিপরীত হয়ে অন্যান্য সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এবং চিকিৎসক মহলের মতামত এই জায়গাকে নিয়ে এখন রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করেছে। তবে এসবের মধ্যে এমন একটি জায়গা আপনিও একবার ঢুঁ মেরে দেখে আসতে পারেন।