মাথায় হাত শ্রীলঙ্কার! আর খেলতে পারবে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট! বড় পদক্ষেপ নিল ICC

নিজস্ব প্রতিবেদন : এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভরাডুবির মুখে পড়তে হয়েছে রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka)। তবে এই সকল ভরাডুবি এখন অতীত, কেননা এর থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে। এমনও হতে পারে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যেতেও না পারে এই দেশটিকে। হয়তো তা বেশ কয়েক বছরের জন্যও হতে পারে। কেননা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আইসিসি (ICC) বড় পদক্ষেপ নিল।

যে কারণে শ্রীলঙ্কাকে আইসিসি সাসপেন্ড করা হয়েছে ঠিক একই কারণে এর আগে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত কত দিন কার্যকর হবে তা এখনো জানা যায়নি। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কত দিন শ্রীলঙ্কাকে দেখা যাবে না তা এখনই স্পষ্ট নয়। আইসিসি পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ের পর হয়তো এইসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে। তবে শ্রীলঙ্কার ভাগ্য ভালো, তাদের বিশ্বকাপ গ্রুপ খেলার মাঝেই আইসিসি এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি।

জানা যাচ্ছে, SLC যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা তাই এর উপর বাহ্যিক কোন শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু এশিয়া কাপ এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর শ্রীলঙ্কার সরকার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে। শ্রীলংকার ক্রীড়া মন্ত্রক গোটা ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যদের বরখাস্ত করা হবে বলে জানাই। এর পাশাপাশি একটি নয়া কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানাই। অন্যদিকে অর্জুনার রণতুঙ্গার নেতৃত্বে একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটির দল গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এইসব কাজ করতে পারে না সরকার।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই আইসিসি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তারপরই তড়িঘড়ি শ্রীলংকার আইসিসির সদস্যপদ কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করার ঘোষণা করা হয়। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপের ফলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অন্ধকার তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে এই নির্বাসন কতদিন তা এখনই স্পষ্ট নয়।

আইসিসি নিয়ম অনুসারে প্রতিটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড একেবারেই স্বায়ত্তশাসিত বোর্ড হতে হবে। সেই বোর্ডের উপর কোনোভাবেই সেই দেশের সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। হস্তক্ষেপ করা হলেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে আপাতত শ্রীলংকা কোন আইসিসির ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।