অনলাইনে আবেদন করলেই মিলবে শিক্ষকদের মিউচুয়াল ট্রান্সফার, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষকদের মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা অফিস বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। এই প্রক্রিয়া স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আবেদনের ভিত্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন বদলির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে এই প্রক্রিয়ায় ছিল বেশ কিছু জটিলতা। ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ সহ একাধিক ক্ষেত্রে এসকল জটিলতা লক্ষ্য করা যেত। এবার সেই সকল জায়গায় সরলীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হলো রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। নতুন একটি পোর্টালের মাধ্যমে এই সরলীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হলো। এখন থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

অনলাইন এই পোর্টালের উদ্বোধনের ফলে এখন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা অফিস বদলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করা হবে। এর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোনরকম হাজিরা অথবা শুনানিতে অংশ গ্রহণ করতে হবে না।” কিন্তু এতদিন পর্যন্ত যে সকল মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন পত্র পরে রয়েছে সেগুলির কি হবে?

এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, এতদিন যাবৎ যে সকল মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন পড়ে রয়েছে সেগুলি ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। আর সেই নিষ্পত্তির পাশাপাশি স্টেটাস রিপোর্ট পাঠাতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। অন্যদিকে এই মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে আরও একটি সুখবর এটাই যে, আগামী দিনে আর কর্মরত স্কুল থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নেওয়া বা দেওয়ার ঝামেলা থাকছে না। এই ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ ছাড়াই মিউচুয়াল ট্রান্সফার করা যাবে।

এই ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’-এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “কিছু স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ এসেছে। তাই এবার থেকে স্কুল বদল বা মিউচুয়াল ট্রান্সফারে জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ লাগবে না। স্কুল পরিদর্শকদের সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।”