পাঁচ তরকারি-খাসির মাংস, কর্মীর বাড়িতে মুখে দিলেন না শতাব্দী! আসল ঘটনা কী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির যোগ করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নতুন কর্মসূচি হিসেবে শুরু করেছে দিদির সুরক্ষা কবজ। এই কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা দিদির দূত হিসাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে নতুন করে গ্রামবাসীদের জানানোর পাশাপাশি অভাব অভিযোগ শুনতে যাচ্ছেন তারা।

তবে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যস্তরের নেতা নেত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। দুবরাজপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দেবাংশু ভট্টাচার্য আর একইভাবে রামপুরহাটে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দি রায়। তিনি শুক্রবার মাড়গ্রামে এসে বিক্ষোভের সম্মুখীন হন।

শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যেমন নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেই রকমই বিতর্ক তৈরি হয়েছে কর্মীর বাড়িতে পাঁচ তরকারি, খাসির মাংস না খাওয়াকে কেন্দ্র করে। যদিও এই বিষয়ে শতাব্দী রায় দাবি করেছেন তিনি আগেই খেয়ে নিয়েছিলেন। অন্যদিকে যার বাড়িতে খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল অর্থাৎ সুজিত সরকারও দাবি করেছেন, শতাব্দী রায় তার বাড়িতে খেয়েছেন।

জানা যাচ্ছে, শতাব্দী রায় আগেই ভিতরে খেয়েছিলেন এবং পরে বাইরে আসার পর কর্মীরা যখন তাকে ফের খাওয়ার অনুরোধ করেন তখন তিনি খান নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শতাব্দি রায় এদিন রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সকাল দশটায় বিষ্ণুপুর গোপাল মন্দিরে পুজো দেন এবং তারপর তেঁতুলিয়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি যখন ওই গ্রাম থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডে পথসভা সেড়ে মাড়গ্রামে যান তখনই বিভিন্ন অভাব অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভে পড়েন।

এদিন শতাব্দী রায়ের জন্য সুজিত সরকার যা যা খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন তা হল, বেগুন ভাজা, মুগের ডাল, ৫ তরকারি, খাসির মাংস, চাটনি এবং মিষ্টি। তিনি দাবি করেছেন, দিদি সবার সঙ্গে খেয়েছেন এবং পাতা পরিষ্কার করে খেয়েছেন। তার এই খাওয়া-দাওয়া ভালো লেগেছে।