Unemployment rate: স্নাতক চাকরি! কত নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ, পরিসংখ্যান জেনে গর্বে ভরছে বাঙালিদের

Unemployment rate among the country’s graduates: ভারতের জনসংখ্যা ২০২৪ সালের মধ্যে চীনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি ভারত ২১ শতকের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই ভারসাম্যহীনতার ফলে জনসংখ্যার একটি বৃহত্তর শতাংশ বেকার হয়ে থাকছে। যে পরিমাণ জনসংখ্যা ভারতে বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে বেড়ে চলেছে, সেই পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারছে না। এর ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভারতের প্রতিটি রাজ্যে বহু মানুষ আজও বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়ছে বেকারত্বের হার (Unemployment rate)।

কেন্দ্রীয় সরকার এক সমীক্ষায় জানিয়েছে যে, ২০২২-২৩ সালে দেশের স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ১৩.৪ শতাংশ। যদিও একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এই হার যথেষ্ট উদ্বেগের তবুও আশার কথা এই যে, ২০২১-২২ সালের বেকারত্বের হার থেকে তা কিছুটা নিম্নগামী হয়েছে। গত অর্থ বর্ষে ভারতবর্ষের বেকারত্বের হার ছিল ১৪.৯ শতাংশ যা ১.৫ শতাংশ কমে ১৩.৪ শতাংশ এসে দাঁড়িয়েছে।

দেশের স্নাতকদের মধ্যে সবথেকে কম বেকারত্বের হার রয়েছে চণ্ডীগড়ে, এখানে বেকারত্বের হার মাত্র ৫.৬ শতাংশ। তারপর এই নাম আসে দিল্লির। দিল্লিতে এই মুহূর্তে স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৫.৭ শতাংশ। বেকারত্বের হারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট, ৬ শতাংশ এবং তারপরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের রাজ্যের স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৭.৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন 👉 Rail Recruitment: ৪০ হাজারে শুরু, মাধ্যমিক পাশেই চাকরি, সাড়ে ৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা রেলের

তবে বর্তমানে ভারতের স্নাতকদের বেকারত্বের হারের দিক থেকে সবথেকে উপরে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এখানে বেকারত্বের হার ৩৩ শতাংশ। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে লাদাখ, ২৬.৫ শতাংশ, তারপর অন্ধ্রপ্রদেশ ২৪ শতাংশ, এর পরের স্থান রাজস্থানের, ২৩.১ শতাংশ,  অরুনাচল প্রদেশ, ২২.৬ শতাংশ এবং ওড়িশা, ২১.৯ শতাংশ।

তবে দেশের সবথেকে শিক্ষিত রাজ্য বলে পরিচিত কেরলে বেকারত্বের হার ১৯.৮ শতাংশ। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের বেকারত্বের হার ১১ শতাংশ এসে পৌঁছেছে। তবে এই শতাংশের হার দেশের বেকারত্বের আসল চিত্র দর্শায় না। উক্ত বেকারত্বের হার প্রদর্শিত করা হয়েছে দেশের স্নাতক পর্যায়ের যুবক যুবতীদের উপর ভিত্তি করে। সুতরাং যে রাজ্যে শিক্ষার হার যত বেশি সেই রাজ্যে বেকারত্বের হারও ততো বেশি বলেই দেখা যাবে। এছাড়াও সমগ্র দেশের বেকারত্বের চিত্রটাও এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে সঠিকভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়।