অনুব্রতর কোটিপতি রাঁধুনিকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি প্রতিবেশীদের, ‘ভাবতে পারবেন না’

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকাই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই-এর পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি এবং তিনি দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। দিল্লিতে দাপুটে এই নেতাকে নিজেদের হেফাজতে রাখার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠদের তলব করা হচ্ছে বিভিন্ন তথ্য বের করার জন্য।

তলব পাওয়া এই সকল ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন তার রাঁধুনি বিজয় রজক (Vijay Rajak)। এক সময় তিনি অনুব্রত মণ্ডলের সংস্পর্শে আসেন এবং তারপর বাড়ির রাঁধুনি হিসাবে নিযুক্ত হন। রাঁধুনি ছাড়াও বিভিন্ন কাজকর্ম করতেন তিনি। যেমন অনুব্রতর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ চালানো, অনুব্রত মণ্ডলের শরীরের যত্ন রাখা ইত্যাদি। পরে তিনি অশিক্ষক কর্মী হিসাবে লাভপুরের শম্ভুনাথ কলেজে যোগ দেন।

তবে এখন অভিযোগ উঠছে বিজয় রজক নাকি কোটি কোটি টাকার মালিক। যদিও বিজয় রজকের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় তার বাড়ির পরিস্থিতি খারাপ এবং তিনি ২৩ হাজার টাকা ধার করে ইডির তলব পাওয়ার পর দিল্লি গিয়েছেন। এই বিষয়ে তার বাবা মদন লাল রজক দাবি করেছেন, তৃণমূল কার্যালয়ে যাতায়াত ছিল এবং সেখানকার নেতারাই মাঝে মাঝে তার কাছে বিভিন্ন ডকুমেন্ট চাইতেন। সেই সকল ডকুমেন্ট নিয়েই বিজয়কে ফাঁসানো হয়েছে।

প্রতিবেশীদের তরফ থেকেও জানা যাচ্ছে, খুবই শান্ত শিষ্ট ছেলে বিজয় রজক। তারাও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে বিজয় রজকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা থাকতে পারে অথবা লেনদেন হতে পারে। কারণ হিসাবে তারা দাবি করেছেন, যদি কারো কোটি কোটি টাকা থাকে তাহলে তার মধ্যে টাকার কিছু না হলেও সামান্যটুকু অহংকার থাকবে।

প্রতিবেশীদের দাবি, সেই রকম কোন কিছু বিজয় রজকের মধ্যে দেখা যেত না। এর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিজয় রজকের বাবা দিনরাত লন্ড্রিতে পরিশ্রম করেন। তাদের বাড়ির অবস্থা খারাপ। এইসব দেখে তারা মনে করেন বিজয়কে পুরোপুরি ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ এবং তদন্তে সঠিক তথ্য উঠে আসবে বলেও বিশ্বাস করেন প্রতিবেশীরা।