India First Rail Station: বাংলাতে হলেও হাওড়া বা শিয়ালদা নয়, এটি হলো ভারতের প্রথম রেল স্টেশন!

Which is the First Railway Station in India: ভারতবাসীর লাইফ লাইন বলা হয় রেল পরিবহনকে। যেকোনো ভ্রমণে কম খরচে আরাম যাত্রার জন্য অনেকেই বেছে নেন রেলপথ। যার ফলে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর জন্য দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন রেল স্টেশন। তবে কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে ভারতের এত রেল স্টেশন রয়েছে তার মধ্যে দেশের প্রথম রেল স্টেশন (India First Rail Station) কোনটি? যা বাংলাতেই অবস্থিত? চাকরির পরীক্ষাতেও এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়? তাই যদি উত্তর জানা না থাকে আজকের এই প্রবন্ধে জেনে নিন ভারতের প্রথম রেল স্টেশনের নাম।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ১৮৫৩ সালে। ব্রিটেনের ট্রেন সফরের ৩০ বছর পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ভারতে। তবে তার আগে ১০ বছর ধরে এই রেল নির্মাণের কাজ চলছিল। স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হলে ১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল প্রথম ট্রেন ছাড়েন আরব সাগরের পাড়ের বাসিন্দারা। ট্রেনের যাত্রাপথ বোম্বে থেকে থানে। যার সাক্ষী থাকে আরব সাগর পাড়ের বাসিন্দারা।

তবে যেমন তেমনভাবে ভারতে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। ট্রেন যাত্রা শুভ হওয়ার পাশাপাশি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ২১ তোপধ্বনি দিয়ে দেশে প্রথম ট্রেন সফর শুরু হয়। নিমন্ত্রিত বিশেষ ৪০০ জন অতিথিকে নিয়ে এই ট্রেনযাত্রা শুরু হয়। দেশের প্রথম ট্রেন সফর শুরু হয় বৈকাল সাড়ে তিনটের সময়। তারপর থেকেই বিশ্বের চতুর্থ তথা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেল চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন 👉 Biggest Railway Station in India: দিল্লীও নয়, মুম্বইও নয়! জানেন দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন রয়েছে বাংলাতেই

ট্রেন সফরের কথা তো জানলাম কিন্তু প্রশ্ন হল স্টেশন নির্মাণের কাজে প্রথম কোন রেলস্টেশন ভারতে তৈরি হয়েছে? অনেকেই এই প্রশ্ন শুনে হয়তো হাওড়া বা শিয়ালদা গেস করবে। কিন্তু না, দেশের প্রথম রেল স্টেশন হলো পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার সিঙ্গাবাদ রেল স্টেশন। যা অবস্থিত মালদা জেলার হাবিবপুর এলাকা, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। তখনকার সময়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীসহ পণ্য পরিবহনের সংযোগস্থান ছিল এটি। তবে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্বাধীনতার বহু পূর্বে অবস্থিত ভারতের এই প্রাচীনতম রেল স্টেশন (India First Rail Station)। তবে স্বাধীনতার পরে বেশ কিছু সময় এই রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে আবার ট্রেন সফর শুরু হয়। তবে তা পণ্যবাহী। ২০১১ সালে এই চুক্তি সংশোধন করে নেপালকে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেপালে রপ্তানি হয়। সেই ট্রেন থাকে সিঙ্গাবাদে। যা সিগন্যাল পেলেই গন্তব্যস্থলে ভ্রমণ করে।শুধু তাই না, একসময় এই রেল স্টেশন দিয়ে মেল ট্রেনও চলাচল করেছে। তবে কালের নিয়মে এই রেল স্টেশন এখন জনশূন্য। কয়েকজন কর্মী এখানে কাজ করে। তবে এই রেলস্টেশনে এলে দেখতে পাবেন বড় বড় করে লেখা রয়েছে “ভারতের শেষ রেল স্টেশন”। এখান থেকে পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে পৌঁছে যাওয়া যায়।