Babita Sarkar: ঠিক কি কারণে চাকরি গেল ববিতার!

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) রায়ে চাকরি পেয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। শুধু চাকরি পেয়েছিলেন বললে ভুল হবে, কারণ এই ববিতা সরকারের দৌলতেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের প্যান্ডোরা বক্সের চাবি মিলেছিল। তবে এবার সেই ববিতা সরকারেরই চাকরি গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক কলমে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ববিতা সরকার চাকরি পেয়েছিলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) জায়গায়। এমনকি অঙ্কিতা অধিকারীকে ফেরত দিতে হয়েছিল তার কর্ম জীবনের বেতন। সেই বেতনের মোটা অঙ্কের টাকা গিয়েছিল ববিতা সরকারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এবার চাকরি যাওয়ার পাশাপাশি ববিতা সরকারকে ফেরত দিতে হবে সেই টাকা এবং তার সুদ। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে ববিতাকে।

পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা করে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গালর্স স্কুলে। দীর্ঘ চার বছরের লড়াইয়ের পর ২০২২ সালের জুলাই মাসে চাকরি পান ববিতা। কিন্তু এরপরই নতুন করে গড়মিল সামনে আসে। সেই গরমিলের পরিপ্রেক্ষিতে বছর কাটতে না কাটতেই চাকরি হারালেন ববিতা।

ববিতা চাকরি হারান মূলত স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রাপ্ত নম্বর সঠিক না দেওয়ার কারণে। তিনি অনামিকা রায় (Anamika Roy) নামে আরেক চাকরি প্রার্থীর থেকে দু’নম্বর কম পেয়েছিলেন। এই তথ্য সামনে আসার পর মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ববিতা সরকারকে চাকরিতে বহাল রাখা উচিত হয়নি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মন্তব্যের পাশাপাশি তিনি তার রায়ে জানান, যোগ্যপ্রার্থী হিসাবে অনামিকা রায়কে তার নিকটবর্তী কোন স্কুলে নিয়োগ করতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকা রায়কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ববিতাকে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৪২ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকা ১৯ মে এবং বাকি টাকা ৬ জুনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।