World’s Largest Snake Video: টায়ারের মতো মোটা, ২৬ ফুট লম্বা, দেখা মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সাপ (Snake) এমন এক প্রাণী যা মানুষ সহ অন্যান্য বহু প্রাণীর রক্ত ঠান্ডা করে দিতে পারে। আসলে সাপ দেখলেই অধিকাংশ মানুষেরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। সে সেই সাপ বড় হোক অথবা ছোট, বিষাক্ত হোক অথবা নির্বিষ, সবেতেই ভয় ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছোটখাটো সাপ দেখলেই যখন এমন ভয়-ভীতি তৈরি হয়, তখন একবার ভাবুন তো টায়ারের মতো মোটা আর ২৬ ফুট লম্বা সাপ সামনে হাজির হলে কি পরিস্থিতি হতে পারে!

সম্প্রতি এইরকমই একটি সাপের দেখা মিলেছে বা সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বলা হচ্ছে এই সাপটিই হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ (World’s Largest Snake Video)। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এমন বড় সাপের দেখা কোথায় মিলল? এমন বড় সাপের দেখা কোথায় মিলতে পারে তা অনেকেই আন্দাজ করতে পারছেন। যারা অ্যামাজন জঙ্গলের কথা ভাবছেন তারাই ঠিক। এমনই বড় সাপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অ্যামাজন ফরেস্টে।

এই সাপটি এতটাই বড় যে সেটি মানুষের পাশাপাশি মানুষের থেকেও বড় যে কোন প্রাণীকে সহজেই গিলে খেতে পারবে। সাপটির ওজন মানুষের গড় ওজনের থেকে তিনগুণ অর্থাৎ ২০০ কেজি। এই সাপের নাম নর্দান গ্রীন অ্যানাকোন্ডা। এমন ভয়ংকর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের সন্ধান পেয়েছেন বন্যপ্রাণী উপস্থাপক অধ্যাপক ফ্রিক ভঙ্ক। ব্রাজিলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন 👉 Fastest Snakes: এই ৬টি সাপ সবচেয়ে জোড়ে দৌড়ায়! একটি আবার বাড়ির আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের আবিষ্কারের পাশাপাশি তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওটি আপলোড করেছেন ডাচ বিজ্ঞানী ভঙ্ক। তিনি এই ভিডিওটি শেয়ার করার পাশাপাশি তার ক্যাপশনে লিখেছেন, নয়টি দেশের আরও ১৪ জন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তাদের তরফ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সাপটির এবং তাদের প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই সাপটি ২৬ ফুট লম্বা এবং ওজনে ২০০ কেজি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ওই বিজ্ঞানী ওই সাপের পাশে সাঁতার কাটছেন।

জীব বিজ্ঞানীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অ্যানাকোন্ডা সাপ বিভিন্ন প্রজাতির রয়েছে। প্রথম দেখায় একই রকম মনে হলেও তাদের প্রজাতি কিন্তু আলাদা। সম্প্রতি যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাকেও দেখতে একই রকম মনে হলেও কিন্তু তা আলাদা প্রজাতির। কেননা এই অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে অন্যান্য অ্যানাকোন্ডার জিনগত পার্থক্য ৫.৫%। এই পার্থক্য অনেকটাই বেশি। কেননা শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের জিনগত পার্থক্য মাত্র ২ শতাংশ।