গিগ ওয়ার্কার ধর্মঘট (Gig Workers Strike) আজ ৩১ ডিসেম্বর ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মানুষের নতুন বছরের উৎসব প্ল্যান ব্যাহত হতে পারে। কম মজুরি, কাজের অনিশ্চয়তা সহ নিরাপত্তার অভাবের প্রতিবাদেই এই ধর্মঘট। নিউ ইয়ার্স ইভের মতো ব্যস্ত দিনে অনলাইন অর্ডারের উপর নির্ভরশীল অনেকে এখন চিন্তায়।
৩১শে ডিসেম্বর গিগ ওয়ার্কার ধর্মঘট
জোমাটো, সুইগি, ব্লিঙ্কিট, জেপ্টো, অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো প্ল্যাটফর্মের গিগ ওয়ার্কাররা এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। ফলে খাবার, গ্রোসারি এবং শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বড় সমস্যা হতে পারে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, সল্ট লেক বা নিউ টাউনের মতো এলাকায়, যেখানে নতুন বছরের পার্টি চলে, ডেলিভারি দেরি বা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। খুচরো ব্যবসায়ীরাও বিক্রির লক্ষ্য ছুঁতে না পেরে চাপে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এই গিগ ওয়ার্কার ধর্মঘট?
তেলেঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (TGPWU) এবং ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাপ-বেসড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স (IFAT) এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, দিল্লি-এনসিআর এবং তামিলনাড়ুর ইউনিয়নগুলো সমর্থন করেছে। ওয়ার্কারদের অভিযোগ, ডিজিটাল ব্যবসায়ের মূল স্তম্ভ হয়েও তারা কম আয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য। ১০ মিনিটের ডেলিভারি টার্গেট বাতিল, প্রতি কিলোমিটারে কমপক্ষে ২০ টাকা মজুরি, নিরাপত্তা গিয়ার এবং অ্যাকাউন্ট ব্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
আরও পড়ুনঃ বছরে দুমাসের বেশি ছুটি! কর্মীদের দিলখুশ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয়া ছুটির ক্যালেন্ডার
গত ২৫ ডিসেম্বরের ফ্ল্যাশ স্ট্রাইকে কয়েকটি শহরে ৫০-৬০% পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। TGPWU-এর নেতা শেখ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, আজ প্রায় ১-১.৫ লক্ষ রাইডার যোগ দেবেন। কোম্পানিগুলো ইনসেনটিভ দিয়ে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করছে, কিন্তু আন্দোলন জোরালো।
ধর্মঘট সফল হলে অনেক ওয়ার্কার অ্যাপ থেকে লগ আউট করবেন। কলকাতা, হাওড়া, দুর্গাপুরের মতো শহরে খাবার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ডেলিভারিতে দেরি হবে। ফ্ল্যাশ স্ট্রাইক দুপুর বা রাতের খাবারের সময়ে হতে পারে।
তাই আগেভাগে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখুন। দোকান থেকে সরাসরি কেনাটাই নিরাপদ। সার্জ প্রাইসিং ও দীর্ঘ অপেক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে। কুইক কমার্সের উপর একদম নির্ভর করবেন না। সবশেষে এই ধর্মঘট গিগ ওয়ার্কারদের অধিকারের লড়াই, তাই সহানুভূতি দেখান।
