Raxaul-Haldia Expressway: মাত্র ৩ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে দেওঘর! আসছে ৭১৯ কিমি দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে

Raxaul-Haldia Expressway: মানুষের জীবন যাত্রার মানকে সহজ করে তোলে পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাছে থেকে দূরে, যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে গড়ে উঠছে নিত্য নতুন রেলপথ বা সড়ক পথ। যা যাত্রীদের মুখে হাসি ফোটায়। আর এই আবহেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভারতমালা প্রকল্পের উদ্যোগে নির্মাণ হতে চলেছে এক নতুন এক্সপ্রেসওয়ে। যার দ্বারা খুব সহজে উপকৃত হবেন যাত্রযাত্রীরা।

দিন যত এগোচ্ছে তত কেন্দ্র সরকার নতুন নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করে আমজনতাকে উপকৃত করছেন। ব্যবসাও ফুলে ফেপে উঠছে। তার মধ্যেই অন্যতম হল পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কেন্দ্রের আধুনিক সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে ‘ভারতমালা প্রকল্প’ এর নাম সুপরিচিত।এই প্রকল্পের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই রক্সৌল-হলদিয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলছে। জানা গিয়েছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণ হলে কলকাতা, দেওঘর, পাটনা ও হলদিয়ার মধ্যে ভ্রমণের সময় লাগবে তিন ঘন্টারও কম। এই এক্সপ্রেসওয়ের মূলত এই এক্সপ্রেসওয়ের লক্ষ্য হল বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে উন্নত সংযোগ তৈরি করা। কারণ এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু অর্থনৈতিক পরিকাঠামো উন্নয়নের পথও সুগম হবে। যাত্রী পরিষেবার দিকটিও উন্নত হবে।

আরও পড়ুন: Barrackpore Metro Extension: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! এবার ব্যারাকপুর রুটে জুড়ছে মেট্রো লাইন

সূত্রের খবর, এই রক্সৌল-হলদিয়া এক্সপ্রেসওয়েটি মোট ৭১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি রক্সৌল থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে এসে শেষ হবে। সবচেয়ে আকর্ষণ হল এই করিডরটি দেওঘর ও জামতারা জেলা দিয়ে যাবে যা কলকাতা ও হলদিয়ার মতো বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই রুটটি পূর্ব চম্পারণ, শেহোয়ার, সামস্তিপুর, বেগুসরাই জেলা পার করে গঙ্গা নদী অতিক্রম করবে নতুন সেতুর মাধ্যমে, যা সুর্যাগড়া থেকে মলয়পুর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এরপর চিরায়ণ্ডি, কাটোরিয়া (বাঁকা), মোহনপুর (দেবগড়), নাগপুর, ঘোরামারা, সোনারায়তাহদি, পলোজোড়ি (জামতারা) হয়ে যাবে।

কত টাকা ব্যয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হচ্ছে জানেন?
এই রক্সৌল-হলদিয়াএক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য দেওঘরে ৬৫ কিমি ও পাশাপাশি জামতারা জেলায় থাকবে ৫০ কিমি। প্রকল্পের খরচ প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা হবে, যা এই অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম রাস্তা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, অসম ও ভুটান কে যুক্ত করতে জুড়তে চলেছে নতুন একটি রেলপথ। যার সাহায্যে খুব সহজে ট্রেনে করেই সুখের দেশ ভুটানে পাড়ি দিতে পারবেন পর্যটকরা।