নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনো দেশের অধিকাংশ পরিবারের মানুষেরা তাদের কন্যা সন্তানের পড়াশুনা এবং বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে থাকেন। আবার যারা বিয়ে নিয়ে চিন্তা করেন না তারা অন্ততপক্ষে তাদের কন্যা সন্তানের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে থাকেন। যে কারণে কন্যা সন্তান জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গে অথবা পরবর্তীতে বিভিন্ন পলিসিতে টাকা জমানো শুরু করেন অভিভাবকরা।
দেশে যে সকল বীমা সংস্থা রয়েছে তাদের মধ্যে আবার জনপ্রিয় বীমা সংস্থা হল লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC)। এখনো দেশের বড় সংখ্যার মানুষ এই সংস্থার উপর নির্ভর করেন। এই সংস্থার তরফ থেকেই এবার একটি পলিসির কথা জানানো হলো যাতে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
এই পলিসির আওতায় যে কোন একজন অভিভাবক তার কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য পর্যাপ্ত টাকা জমাতে পারবেন। যে পলিসির কথা বলা হচ্ছে যেই পলিসির নাম কন্যাদান পলিসি। এই পলিসির অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হবেন একজন অভিভাবক। পলিসি নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছর এবং পলিসি ম্যাচুরিটি হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স হবে ৬৫ বছর। এর পাশাপাশি যার নামে পলিসি করা হচ্ছে তার বয়স হতে হবে ১ থেকে ১০ বছর।
পলিসিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের টাকা বিনিয়োগ করার উপায় থাকলেও ২৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে ম্যাচিউরিটির সময়। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে প্রতি মাসে ৩৬৩০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। ২২ বছর টাকা জমা করতে হবে এবং ২৫ বছর পর ম্যাচিউরিটি হলে বিপুল পরিমাণ এই টাকা পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও পলিসিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ২৫ বছর সময়সীমা বেছে নেওয়া যেতে পারে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বোনাসের সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারী। এছাড়াও তিন বছর পর লোনের সুবিধা রয়েছে। 80C-এর আওতায় ছাড় পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে প্রিমিয়াম দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হবে এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে ১০ লক্ষ টাকা আর স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের।