Barrackpore Metro Extension: মেট্রোরেল হল এমন একটি পরিবহণ ব্যবস্থা যা খুব কম সময়েই যাত্রীদের সুবিধা দিয়ে থাকে। এই কারণেই মেট্রোর চাহিদাও অনেক বেশি। ট্রেনে যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হওয়ার কারণে বেশিরভাগ সময়ে মেট্রোকেই বেছে নেন যাত্র যাত্রীরা। ভাড়াও থাকে সাধ্যের মধ্যে। গত বছর থেকে যাত্র-যাত্রীদের সুবিধার্থে প্ল্যানে এসপ্ল্যানেড ট থেকে হাওড়া এই রুটে মেট্রো পরিষেবাকে যুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে হাওড়া বাসের পরিষেবা প্রায় ধুঁকছে।
আর এবার এক দারুণ সুখবর ব্যারাকপুর বাসিন্দাদের জন্য। ব্যারাকপুর থেকে বরানগর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণে কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তরফে। প্রসঙ্গত 2024 এর লোকসভা ভোটে জয়যুক্ত হয়ে ব্যারাকপুর থেকে কল্যাণী পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তার করা প্রতিশ্রুতি মেনেই রেলমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়। আর এবার স্বপ্ন হতে চলেছে সত্যি!মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: Earthquake: সতর্কতা জিএসআইয়ের, কলকাতায় হতে পারে আবারও ভূমিকম্প
কতদূর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে? সূত্রের খবর, ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো লাইন সম্প্রসারণের কাজ ডানলপ মোড় পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এবার সেই ডানলপ থেকে বিটি রোড হয়ে সোজা ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড় পর্যন্ত মেট্রোর লাইন সম্প্রসারণ হবে।
মেট্রো রেলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় 13 কিলোমিটার দূরত্বের এই পথে তৈরি হতে চলেছে মোট 10টি মেট্রো স্টেশন। সূত্র বলছে, ব্যারাকপুর পর্যন্ত এই রুটটি বরানগর থেকে ডানলপ মোড়ে ইন্টারচেঞ্জ করার পর কামারহাটি, আগরপাড়া, সোদপুর, পানিহাটি, সুভাষনগর, খড়দহ, টাটাগেট, টিটাগর এবং তালপুকুরের পর ব্যারাকপুরে গিয়ে থামবে।
তবে ব্যারাকপুরের বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন, পূর্বেও একবার ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে তা সফল হয়নি। হয়তো আবারও সেই একই দিন দেখতে হবে।
পূর্বে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ ভেস্তে গেছিল বিটি রোডের পাইপলাইন এর কারণে। বর্তমানে বিটি রোডের নিচ থেকে মোট 6টি পাইপ দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল সরবরাহ করা হয়। তবে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো লাইন সম্প্রসারণের জন্য বিটি রোডের রাস্তা খুঁড়তেই হবে। যার ফলে মাটির নিচ থেকে যাওয়া পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই কলকাতার নানান এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দেবে। আর এই কারণেই মেট্রোর কাজ থমকে গেছিল। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, জল সরবরাহ অক্ষুণ্ন রেখেই হবে মেট্রোর কাজ। তবে কত টাকা ব্যয় হবে তা জানা যায়নি। নতুন মেট্রো লাইনের অপেক্ষায় রয়েছে যাত্রীরা।