পৌষমেলা ২০১৯, দেখে নিন অনুষ্ঠান সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরভর টালবাহানার পর অবশেষে ঐতিহ্য মেনেই এবছর ৭ই পৌষ শুরু হচ্ছে পৌষমেলা। তবে এবার ক্যালেন্ডারের কারসাজিতে ২৩ শে ডিসেম্বরের পরিবর্তে মেলা শুরু হচ্ছে ২৪ শে ডিসেম্বর। ইংরাজি তারিখ পরিবর্তিত হলেও মেলার ঐতিহ্য বা রীতিনীতিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পরিবর্তনে পৌষ মেলার আচার রীতিতে পরিবর্তন হবে খ্রিস্ট উৎসবের দিনের। এমনটাই জানা গিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে।

৭ই পৌষ, বাংলা ১২৫০ সন, যেদিন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামচন্দ্র বিদ্যাবাগিশের কাছে ব্রাহ্মধর্মের দীক্ষা নেন। সঙ্গে ছিলেন আরও ২০ জন দীক্ষার্থী। ১২৯৮ সালে দেবেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে একটি ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন আর ১৩০১ সন থেকে সেই প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি ছোট্ট মেলার আয়োজন করেন। সেই ছোট্ট মেলা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে বাড়তে বিশাল রূপ নেয়। এখন সেই মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজ্য, দেশের নানান প্রান্তর, বিদেশ থেকে আসেন।

বছরের পর বছর ধরে পৌষমেলা চারদিনের হয়ে থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে তা ৬ দিনের জন্য আয়োজিত হয়ে আসছিল। তবে এবছর আবার সেই পুরাতন দিন সংখ্যাতেই ফেরৎ। এবছর মেলা হবে ৩+১ দিনের জন্য। তিনদিন মেলা এবং শেষের দিন উঠে যাওয়ার জন্য।

এবারের পৌষমেলার অনুষ্ঠান সূচি

পৌষমেলা আয়োজন করে প্রতিবছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ আদালতে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেতে হয়। সেকারণে এবছর পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই মেলা কমিটি ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপের দিকে হেঁটেছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে মেলা প্রাঙ্গণে ১০০ টির বেশি টয়লেটের ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি টয়লেটগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করা হবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ দূর থেকে বুঝতে পারেন এখানে টয়লেট রয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, এবারের মেলার আগে থেকে একটি ব্লুপ্রিন্ট বানানো হবে, যা হয়তো আগে কখনো বানানো হয়নি। নজর থাকছে কাঠের জ্বালানি, প্লাস্টিক ব্যবহার ইত্যাদির দিকে।

Tata Sky-এর অভিনব পরিষেবায় আপনার TV আপনার হাতের মুঠোয়

নিজস্ব প্রতিবেদন : যেখানে প্রশ্ন আসে DTH অপারেটর বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে, সেখানে অন্যান্যদের থেকে আলাদা যে নামগুলি আসে সেগুলি হলো টাটা স্কাই, ডিশ টিভি এবং এয়ারটেল ডিজিটাল টিভি। বর্তমানে টাটা স্কাই দেশের এক নম্বর অপারেটর। এর একটা মূল কারন যে এই DTH সংস্থাটি গ্রাহকদের বিশেষ বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে যা অন্যান্য সংস্থা দেয়না। চ্যানেল প্যাক থেকে শুরু করে, STB মূল্য এবং অন্যান্য পরিষেবার উপর ভিত্তি করেই মানুষ অপরেটার বেছে নিচ্ছেন এবং এই সকল বিষয়ে বেশকিছু বিশেষ সুবিধা টাটা স্কাই তার গ্রাহকদের দেয়, যার ফলে এটি প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য অপরেটরদের থেকে এটি আলাদা। এই সব সুবিধার মধ্যে একটি বিশেষ সুবিধা হলো টাটা স্কাই ওয়াচ, যার জন্যও অনেক মানুষ এটিকে বেছে নিচ্ছেন।

টাটা স্কাই ওয়াচ এমন একটি পরিষেবা যা ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের চ্যানেল এবং তাদের প্রিয় টিভি শো ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখার সুবিধা দেয়। টেলিভিশনের পর্দার বাইরেও গ্রাহকরা তাদের পছন্দের অনুষ্ঠানগুলি দেখতে পারেন। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় যে বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে টেলিভিশন স্ক্রিনের সামনে বসে পছন্দের অনুষ্ঠানগুলিকে দেখা সবসময় সম্ভব হয় না।সেক্ষেত্রে টাটা স্কাই ওয়াচের সাহায্যে গ্রাহকরা সেই অনুষ্ঠানগুলি ফোন, ল্যাপটপ বা অন্যান্য মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাহায্যে দেখতে পারেন।

টাটা স্কাই ওয়াচের সুবিধা

টাটা স্কাই ওয়াচ সার্ভিসের সুবিধা হ’ল এটি টাটা স্কাই গ্রাহকদের ইন্টারনেট অথবা মোবাইলে টাটা স্কাই অ্যাপের মাধ্যমে পছন্দের অনুষ্ঠানগুলি দেখার সুবিধা দেয়।এটি টাটা স্কাইয়েরই অন্য একটা মাধ্যম যেখানে অ্যাপলিকেশনে লগ অন করে গ্রাহকরা সরাসরি টিভি, OTT, চলচ্চিত্র ইত্যাদি দেখতে পারবেন এবং এটি টাটা স্টাই পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গ্রাহককে আলাদাভাবে কোনো অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড করতে হয় না।

এছাড়াও টাটা স্কাই ওয়াচ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকরা এই সুবিধা ভোগ করতে পারেন। এই পরিষেবায় গ্রাহকরা বিগত সাত দিনের পছন্দের অনুষ্ঠানের কোনো অংশ বাদ দিয়ে থাকলে সেটিও মোবাইল বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

কিন্তু এই টাটা স্কাই ওয়াচের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।এক্ষেত্রে বলা যায় যে চ্যানেলগুলোর জন্য গ্রাহক সাবসক্রাইব করেছেন কেবলমাত্র সেই চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলিই গ্রাহক মোবাইল বা ল্যাপটপে দেখতে পারবেন। টাটা স্কাই ওয়াচে কেবল সেই চ্যানেলগুলো দেখা যাবে যে চ্যানেলগুলো গ্রাহক সাবসক্রাইব করেছেন। এছাড়া আরো কিছু বিষয় আছে যেমন প্রিমিয়াম ব্যানারের অধীনে থাকা সিনেমাগুলো দেখার জন্য গ্রাহককে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।

মাসে মাসে লাগবে না খরচ, বিনামূল্যে TV-তে ১০০ চ্যানেল

নিজস্ব প্রতিবেদন : এবছরের শুরুতেই কেবল টিভি দেখার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু হয়ে। ট্রাই জানিয়ে দেয়, দর্শকরা যে চ্যানেল দেখবেন, শুধু তার জন্যই দাম মেটাবেন। তবে এই নতুন নিয়মে টিভি দেখার মাসিক খরচ শহরতলিতে অনেকে কমিয়ে ফেললেও মফস্বল এলাকায় খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফলে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই বিনোদনে কাটছাট শুরু করেন।

আর সে কথা মাথায় রেখেই কোনোরকম খরচ না করেই একেবারে বিনা পয়সায় টিভি দেখার যে সুযোগ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশ জুড়ে চালু রয়েছে ফ্রি ডিশ নামে একটি পরিষেবা। যেখানে গ্রাহকরা যাতে আরও বেশি সংখ্যক চ্যানেল নিখরচায় দেখতে পারেন, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেই ফ্রি সার্ভিসে ১ লা ডিসেম্বর থেকে যোগ হতে চলেছে আরও আটটি চ্যানেল।

প্রসার ভারতীর আওতায় থাকা এই ফ্রি সার্ভিস পেতে হলে গ্রাহকদের শুধু মাত্র সেট টপ বক্স এবং অ্যান্টেনা বসানোর খরচ করতে হবে। মাসে মাসে টাকা খরচের দরকার নেই। ফ্রি ডিশ টিভিতে আজ থেকে যুক্ত হচ্ছে একটি হিন্দি সিনেমার চ্যানেল, দু’টি হিন্দি গানের চ্যানেল, দু’টি হিন্দি খবরের চ্যানেল, ভোজপুরি, মারাঠি ও পাঞ্জাবি চ্যানেল। মোটের উপর বিনামূল্যেই প্রায় ১০০টি চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন দর্শকরা।

২০০৪ সালে এই ফ্রি ডিশ পরিষেবা চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে সেসময় ছিল মাত্র ৩৩টি চ্যানেল। বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ১০৪। আগামীদিনে সেই সংখ্যাকে ২৫০ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রসার ভারতী। এছাড়াও এই পরিষেবায় ৪০টি রেডিও চ্যানেল সম্প্রচার হয়। বর্তমানে এই বিনামূল্যের ডিশ পরিষেবায় দর্শকরা শুধুমাত্র এসডি চ্যানেল দেখতে পান, আগামীদিনে এটিকে এইচডি করার উদ্যোগও শুরু হয়েছে। আর দিনের পর দিন এই ফ্রি ডিশ পরিষেবায় চ্যানেলের সংখ্যা বাড়তে থাকার ফলে কেবল ও ডিটিএইচ ব্যবসায়ীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

বড়দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন দীঘা, রেল দিচ্ছে ২০% পর্যন্ত ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের কাছে পিঠে ঘুরে আসা মানেই দীঘা অথবা মন্দারমনি। আর ভ্রমণপিপাসু বাঙ্গালীদের ছুটি মানেই ঘুরে আসার তাগিদ পরে। সামনেই ডিসেম্বর মাস, একের পর এক রয়েছে ছুটি, রয়েছে বড়দিনের উৎসব। আর এই ছুটিতে দিঘা ঘুরে আসার সুবর্ণ সুযোগ করে দিলো রেল।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শীতকালীন ভ্রমণে দীঘায় যেতে ইচ্ছুক পর্যটকদের রেলের টিকিটে দেওয়া হবে বিশেষ ছাড়। শীতকালে পর্যটক টানতে রেলের এমন উদ্যোগ। তবে এই ছাড় পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ কিছু ট্রেনের ক্ষেত্রেই।

ছাড় দেওয়া হচ্ছে হাওড়া-দিঘা সুপার ডিলাক্স ও হাওড়াগামী কান্ডারি এক্সপ্রেসের টিকিটে। ট্রেনের এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ২০ শতাংশ ছাড় ও এসি চেয়ারকারে ১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। তবে শুক্রবার ও শনিবার এই ছাড় মিলবে না কয়েকটি ক্ষেত্রে। আগামী ৮ই ডিসেম্বর থেকে এই ছাড় দেওয়া শুরু হবে, আর এই বিশেষ অফার চলবে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত।

দীঘার ক্ষেত্রে পর্যটকদের মধ্যে সড়ক পথে যাতায়াতের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে খামতি পড়েছে রেল যাত্রায়। এবার সেই খামতি পূরণে রেলের এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কান্ডারী এক্সপ্রেসের আপ লাইনে টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় ওই ট্রেনে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

আবার ধামাকা! শুনে নিন রাণুর কন্ঠে ‘আশিকি মে তেরি’ রিমেক

নিজস্ব প্রতিবেদন : বারবার রানু মন্ডলকে দেখতে দেখতে যতই বিরক্ত হন না কেন কোন ভাবেই খবরের শিরোনাম ছাড়ছে না রানু মন্ডল। মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে বোধ হয় নিজের জায়গাটা পাকায় করে নিয়ে ফেলেছেন তিনি। কারণ ‘তেরি মেরি কাহানি’র পর আরও দুটি গানের রেকর্ডিং করে ফেললেন হিমেশ রেশমিয়া রানু মন্ডলকে নিয়ে। তবে এর আগে প্রথম দুটি গানের ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে আর এবার তৃতীয় গানটির ঝলক এলো প্রকাশ্যে। তৃতীয় গানের ঝলক হিমেশ রেশমিয়া পোস্ট করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল।

তবে প্রতিটি গানের ক্ষেত্রে হিমেশ রেশমিয়া ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন সেই সকল গানের মাত্র কয়েক ঝলকের টিজার। আর সে কারণে অধীর আগ্রহে দেশের শ্রোতারা বসে আছেন কবে শুনতে পাবেন সেই সকল গানের পুরো অংশ। ‘তেরি মেরি কাহানি’ এবং ‘আদত’ এর সামান্য অংশ প্রকাশের পর নতুন গান প্রকাশেও অন্যথা কিছু হল না।

এবার হিমেশ রেশমিয়ার স্টুডিওতে রানু মন্ডল গান গাইলেন ২০০৬ সালের করিনা কাপুর এবং শহীদ কাপুর অভিনীত “৩৬ চাইনা টাউন” সিনেমার সেই জনপ্রিয় টাইটেল সং, হিমেশের ছোঁয়ায় একেবারে অভিনব ভঙ্গিতে অর্থাৎ রিমেক।

সোমবার হিমেশ রেশমিয়া এই নতুন গানের রেকর্ডিং এর ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। পোস্ট করার সাথে সাথে সেই ভিডিও কয়েক লক্ষ ভিউ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

শুনে নিন সেই ‘আশিকি মে তেরি’ গানের রেমিকের সামান্য অংশ।

গানটি এখানে ক্লিক করুন

হিমেশ রেশমিয়া এই গানটিকে শেয়ার করার জন্য বেছে নিয়েছেন গণেশ চতুর্থীর বিশেষ দিনকে। আর এই ভিডিও দেখে সকলেই গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হিমেশ রেশমিয়াকে। সেইসঙ্গে রানুর জন্যও দিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।

KBC চলার সময় অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় টেলিভিশনে রিয়ালিটি টিভি শোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনায় তাঁর কন্ঠস্বর এবং পরিবেশনায় এই অনুষ্ঠানটি আরো কয়েকগুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর যখন তিনি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ‘দেবীয় ও সাজন্নো’ বলে সম্মোধন শুরু করেন তখন যেন আলাদা অনুভূতি এনে দেয় দর্শকদের মধ্যে।

তবে আমরা যারা ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’ দেখতে অভ্যস্ত তাদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন খুবই ঘোরাফেরা করে। আমরা দেখতে পাই এই অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন এবং যিনি খেলায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের দুজনের সামনেই দুটি কম্পিউটার স্ক্রিন থাকে। খেলোয়াড়ের কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখা যায় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু প্রশ্ন হল সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান! তিনি কি সমস্ত প্রশ্নের সাথে সাথে উত্তর দেখতে পান?

এই প্রশ্নের সমাধানে কেবিসি থেকে জিতে আসা সাড়ে বারো লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনভ নামে এক যুবক কতকগুলি উত্তর দিয়েছেন।

চলুন দেখে নেওয়া স্যার অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান।

অভিনভের বক্তব্য অনুসারে কেবিসির সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তার কম্পিউটার স্ক্রিনে খেলতে আসা প্রতিযোগীর নাম এবং তিনি কোথায় থেকে এসেছেন এবং কিভাবে এসেছেন, জীবিকা ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য স্পষ্ট দেখতে পান। যাতে করে সঞ্চালনা সময় কোন রকম অসুবিধার মধ্যে না পড়েন অমিতাভ বচ্চন।

খেলার শুরুতে যখন ফাস্টেস্ট ফিঙ্গারের সময় প্রতিযোগী এবং সঞ্চালক দুজনের কম্পিউটারের স্ক্রিন বন্ধ থাকে।

প্রশ্ন এবং উত্তরের ক্ষেত্রেও কি অমিতাভ বচ্চন সব প্রশ্ন এবং উত্তর আগে থেকে জানতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনভ জানান, প্রশ্নের ক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চন কিছুটা হলেও নিজের আধিপত্য দেখাতে পারেন কিন্তু কোন প্রশ্নের উত্তর তার আগে থেকে জানা থাকে না। যেমন যদি অমিতাভ বচ্চনের মনে হয় সামনে বসে থাকা প্রতিযোগী এই প্রশ্নের উত্তরটি দিতে নাও পারেন, তাহলে তিনি সেই প্রশ্নটি এড়িয়ে করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি আগে থেকে উত্তরের টের পান না। সকল দর্শক এবং প্রতিযোগী যখন সঠিক উত্তর দেখতে পান, তখনই অমিতাভ বচ্চনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেখতে পান।

যখন কোন প্রতিযোগী হেল্পলাইন নেন তখন ‘ফোন এ ফ্রেন্ড’ অপশন ব্যবহার করলে, যে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগী যোগাযোগ করতে চাইছেন তাদের নাম এবং তাদের সম্পর্কিত তথ্য গুলি কম্পিউটার স্ক্রিনে উঠে আসে।

অভিনভের বক্তব্য অনুসারে এই পুরো খেলাটি বাইরে থেকেই পরিচালনা করা হয়, অমিতাভের কম্পিউটারটি স্বয়ংক্রিয়।