ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক নয়, NRC র সাথেও কোনো সম্পর্ক নেই, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদন : সেপ্টেম্বর মাস থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্ভুল তথ্যে ভোটার আইডি কার্ড করার উদ্দেশ্য হিসেবেই এই প্রক্রিয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন ভোটাররা নিজেদের তথ্য যাচাই করা এবং সংশোধন করার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু এই ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার সাথে অনেকেই এনআরসিকে মিশিয়ে ফেলে আতঙ্কে ভুগছেন। খাওয়া-দাওয়া ভুলে লাইন দিচ্ছেন সাইবার ক্যাফেতে। এমনিতেই প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে মোবাইলে ওটিপি না আসার জন্য। তারপরে পিছু ধাওয়া করছে এনআরসি আতঙ্ক।

এই ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের সাথে এনআরসিকে মিশিয়ে ফেলে যারা আতঙ্কে ভুগছেন তাদের জন্য খুশির খবর দিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। গত বুধবার তিনি কলকাতায় আসেন এই সমস্ত বিষয়ের হাল-হকিকত দেখার জন্য। এখানে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতরের কর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার জেলাশাসকদের সাথেও সম্মেলন করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান ঘটান তিনি।

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া ভোটারদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। আর এটিকে নিয়ে আতঙ্কেরও কোন কারণ নেই। এমনকি এনআরসির সাথেও এর কোন সম্পর্ক নেই।”

পাশাপাশি তিনি এই ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার সুবিধা সম্পর্কেও জানান, “ভোটারদের অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ডের নামের ক্ষেত্রে বানান ভুল রয়েছে, ঠিকানায় ভুল রয়েছে, বয়সের ক্ষেত্রেও রয়েছে অসঙ্গতি। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটাররা যাতে নিজেরাই এই সকল অসুবিধাগুলি সংশোধন করে নিতে পারেন, তার জন্যই এই প্রক্রিয়া।”

ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো মেসেজ, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হচ্ছে টাকা, সর্তক করলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জালিয়াতি। নেট দুনিয়ার হ্যাকাররা সব সময় নিজেদের ফাঁদ পেতে রেখেছেন সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। কখনো তারা মোবাইলে এসএমএস, কখনো আবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তথ্য হাসিল, এমন নানান কর্ম করে প্রতারিত করছেন সাধারণ মানুষদের।

এর আগে আমরা এটিএম কার্ডের ডিটেলস, ওটিপি এবং আরও অন্যান্য তথ্য হাসিল করে ব্যাঙ্ক একাউন্ট ঠেকর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা শুনেছি। কিন্তু এসব স্ট্র্যাটেজি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষও এখন অনেক সচেতন হয়ে পড়েছে। ফলে ঐসকল ফাঁদে আর পা দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তাই নেট দুনিয়ার হ্যাকাররা নতুন নতুন পন্থা বের করছে অবিরত।

এমনই এক জালিয়াতির কথা প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ। সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে এই বার্তা কলকাতা পুলিশ তবে ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে। কলকাতা পুলিশ মানুষকে সতর্ক করতে দুটি ম্যাসেজের কথা জানিয়েছে। প্রথমটি হলো, আয়কর দপ্তরের নামে ভুয়া ম্যাসেজ।

যেখানে লেখা রয়েছে, ‘আপনি আয়কর রিফান্ড বাবদ ২০ হাজার ৪৯০ টাকা পাওয়ার জন্য অনুমোদন পেয়েছেন৷ একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে, বলা হচ্ছে, দয়া করে নিজের অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করুন৷ যদি আপনার মনে হয়, ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর, তা হলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে শুধরে নিন৷’ আর যদি ওই লিঙ্কে ক্লিক করেন তাহলেই ব্যাস, আপনি হ্যাকারদের খপ্পরে পড়লেন৷

দ্বিতীয় মেসেজটি হল এসবিআইয়ের নামে। ‘প্রিয়, এসবিআই গ্রাহক, আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে ভুল সইয়ের জন্য৷ নিজের অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে নীচের লিঙ্কে অবিলম্বে ক্লিক করুন৷’

আয়কর বিভাগ এবং এসবিআইয়ের নামে এই দুটি মেসেজ ভুয়ো বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রুখতে তারা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই মেসেজ দুটি করে সকলকে সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, এমন কোন মেসেজ এলে দ্রুত তাদের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে।

বাম্পার অফার : পুজোর আগেই জিও ফোনের দাম হলো অর্ধেকের কম

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় টেলিকম বাজারে বিপ্লব এনেছে জিও। সস্তায় একের পর এক অফার হাতে তুলে দিয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। সস্তার এই প্ল্যানের জন্য দেশের সবথেকে জনপ্রিয় নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে এই সংস্থা। আর এবার দুর্গা পুজোর আগে বড় ঘোষণা করলো জিও ফোনের ক্ষেত্রে।

এবার থেকে আর জিও ফোন কেনার জন্য গুনতে হবে না ১৫০০ টাকা। জিও ফোনের দাম অর্ধেকের বেশি কমিয়ে এবার ধার্য করা হলো মাত্র ৬৯৯ টাকা। তবে সমস্যা এবার পুরাতন ফোন এক্সচেঞ্জের অফারটি বন্ধ করে দিয়েছে।

এই দামে বাজারে এখন ভালো ২জি ফোন মেলা ভার, অথচ একই দামে পাওয়া যাচ্ছে জিওর ৪জি ফোন। যাতে আপনি ৪জি পরিষেবার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মত সামাজিক মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, নতুন অফারের সাথে জিও ফোন কেনার সাথে সাথে আপনি পাবেন বাড়তি অনেকগুলি অফারও। জিও ফোন কেনার পর সাত মাসের পর পর রিচার্জে পেয়ে যাবেন ৯৯ টাকার অ্যাডিশনাল ডেটা বেনিফিট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

নতুন অফারে জিও ফোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে এবং কিভাবে বাড়তি সুবিধাগুলি পাবেন?

আগামী ৪ই অক্টোবর থেকে এই দামে জিও ফোন পাওয়া যাবে। নতুন অফারের নতুন দামের এই জিও ফোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী অথবা যে কোন জিও রিটেলারের কাছে উপযুক্ত প্রমাণপত্রসহ যেতে হবে। জিও ফোনের জন্য আপনাকে দিতে হবে ৬৯৯ টাকা, বাড়তি রিচার্জের জন্য ৯৯ টাকা।

যাতে আপনি পাবেন ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি এবং প্রতিদিন ১ জিবি করে ইন্টারনেটের সাথে আনলিমিটেড কল।

পরবর্তী ছয় মাসে প্রতিমাসে ৯৯ টাকা করে রিচার্জ করলেই পেয়ে যাবেন অ্যাডিশনাল ডেটা বেনিফিট। অর্থাৎ ৯৯ টাকায় ৫০০ এমবি ১ জিবি করে ইন্টারনেট ২৮ দিনের জন্য।

আর নয় সাত, নতুন আবিষ্কারে মহাদেশের সংখ্যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোটবেলা থেকেই ভূগোল আমাদের পড়িয়েছে পৃথিবীতে মহাদেশের সংখ্যা সাত, আর মহাসাগর রয়েছে পাঁচটি। তবে এই মহাবিশ্বে রহস্যের শেষ নেই, তাই রহস্য মোচন করতে একের পর এক অভিযান চালায় ভূতত্ত্ববিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অন্যান্য গবেষকরা। আর তাতেই অনেক নতুন নতুন অনাবিষ্কৃত বিষয়বস্তু চলে আসে আমাদের সামনে।

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় জল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে গবেষণার সময় ভূবিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে ফেললেন নতুন এক মহাদেশের অস্তিত্বের। এ নিয়ে আরো বিস্তারিত খোঁজ চালাচ্ছেন ভূবিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের তলদেশ থেকে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া এই মহাদেশের নাম গ্রেটার আড্রিয়া।

বিগত ১০ বছর ধরে ভূমধ্যসাগর পার্বত্য রেঞ্জে স্পেন থেকে ইরান পর্যন্ত গবেষণা চলছিল। সেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় গন্ডোয়ানা রিসার্চ নামে একটি জার্নালে। সেখানে বলা হয়েছে ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে গ্রীনল্যান্ডের সমান একটি অংশ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই অংশটি একসময় উত্তর আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। নতুন এই স্তরের আবিষ্কার হওয়া অংশের নাম বিজ্ঞানীরা রেখেছেন গ্রেটার আড্রিয়া।

গবেষক দলের মুখ্য সদস্য নেদারল্যান্ডের গবেষক ডো ভ্যান হিনসবার্গেন জানিয়েছেন, “আমরা যে পার্বত্য অংশ ধরে গবেষণা করেছি, সেখানকার বেশিরভাগ পর্বতেরই উৎস উত্তর আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এই অংশটি। যে ঘটেনি কমপক্ষে ২০ কোটি বছর আগেকার। এটা আসলে একটা মহাদেশ, যাকে ঘিরে পর্বতগুলো গড়ে উঠেছে। শুধু ফালির মতো মহাদেশের এই অংশ তুরিন থেকে আড্রিয়াটিক সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এখান থেকেই পরবর্তী সময়ে ইতালি গড়ে উঠেছে।”

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, বিশ্বের বেশিরভাগ মহাদেশই জলের তলায় ছিল। সেগুলিতে প্রাকৃতিক বদলের ফলে পলি জমতে শুরু করলে জমির আকার নেই। ভূগর্ভস্থ প্লেটের সংঘর্ষের সেই পলি জমি পর্বতের আকার ধারণ করে। তবে নতুন আবিষ্কৃত এই মহাদেশ গ্রেটার আড্রিয়া রয়েছে অনেক রহস্য। কারণ ভূবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই মহাদেশের ভূগর্ভস্থ প্লেটের মধ্যে কোন ঠোকাঠুকি হয়নি। বরং অন্যান্য অংশের প্রবল সংঘর্ষের ফলে এই অংশের বদল ঘটেছে।

তবে এই নতুন আবিষ্কারের ফলে বোঝা যায় পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ ছাড়াও ছিল আরও একটি মহাদেশে অস্তিত্ব, যে আবিষ্কার সত্যিই চমকপ্রদ।

Mobile থেকে ২ মিনিটে করুন Voter Card ভেরিফিকেশন, জেনে নিন পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচকের তথ্য যাচাই করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন যে কেউ বাড়িতে বসেই নিজের স্মার্টফোন থেকে। এর জন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে কেবলমাত্র একটি মোবাইল অ্যাপ। যা ভারতীয় ইলেকশন কমিশন ইতিমধ্যেই গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে রেখেছে।

সেজন্য আপনাকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে, সেখানে ‘Voter Helpline’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন অ্যাপটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা প্রদত্ত কিনা, অন্য কোন সংস্থার দ্বারা আপলোড হয়ে থাকলে সেটি ডাউনলোড করবেন না। কারণ তাতে আপনি প্রতারণা সম্মুখীন হতে পারেন। আর যদি কারোর এই অ্যাপটি আগে থেকেই ডাউনলোড করা থাকে তাহলে অবশ্যই আপডেট করে নিন।

অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে যাওয়ার পর আপনি সেটি খুললে শর্ত চাওয়া হবে যেটিতে টিক দিয়ে ‘I Agree’-তে ক্লিক করলেই পরবর্তী পর্যায়ে আপনি পৌঁছে যাবেন। সেখানে দেখতে পাবেন ‘EVP’ নামে একটি ট্যাব রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলে আপনি পৌঁছে যাবেন পরবর্তী পর্যায় ‘ELECTORAL VERIFICATION PROGRAM’-এ। তারপর সেখানে যা যা ‘ALLOW’ করতে বলবে আপনি তা করে সম্মতি দিবেন।

তারপরেই আলাদা একটি স্ক্রীন আসবে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিতে হবে। সেই মোবাইল নাম্বারটি দিন যেটি সক্রিয় আছে এবং আপনি ভোটার আইডি কার্ডের সাথে সংযুক্ত করতে চাইছেন। তারপর নিচে পাবেন ‘SEND OTP’ অপশন, এখানে ক্লীক করেই আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে। যেটি নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে দিন এবং লগইন করুন। তারপর পরবর্তী স্টেজে পাবেন এপিক নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার তথ্য খোঁজার জায়গা। এখানে আপনি আপনার এপিক নাম্বার দিয়ে খুঁজে নিন আপনার ভোটার তথ্য।

নিজের ভোটার তথ্য খুঁজে পেলে আপনি দেখতে পাবেন ‘its me’ বলে একটা অপশন রয়েছে, এখানে ক্লিক করুন। এরপরেই আপনি পাবেন যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আপনি ভেরিফিকেশন করেছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি আপনার এপিক নাম্বারের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ‘YES’ অথবা ‘NO’ অপশন। তারপর ‘YES’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার এপিক নাম্বারের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপর ‘ওকে’ অপশনে ক্লিক করলেই আবার আপনি আপনার ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি আপনার নাম, বাবার নাম, জন্মতারিখ, ছবি প্রায় সবকিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার এগুলি পরিবর্তন করার পর ‘MODIFY’ অপশনে ক্লিক করে সাপোর্টেড ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এখানে আপনি নিজে ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্টের ছবি তুলে আপলোড করার সুযোগ পাবেন। ছবি আপলোড করে পরবর্তী পর্যায়ে জিপিএসের মাধ্যমে আপনার ঠিকানা নিজে থেকেই সংগ্রহ করবে ইলেকশন কমিশন দপ্তর। এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ইলেকশন কমিশনের ওই অ্যাপটি যা যা পারমিশন বা সম্মতি চাইবে সবেই সম্মতি দেবেন।

এরপর ঠিকানা সঠিক প্রমাণ করার জন্য আপনাকে একটি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। ডকুমেন্ট আপলোড করার জন্য আপনি অপশন পাবেন ‘TYPE OF DOCUMENT’, সেখানে ক্লিক করে আপনি যে ধরনের ডকুমেন্ট আপলোড করতে চাইছেন সেটি বেছে নিয়ে ডকুমেন্ট আপডেট করার অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ঠিকানা স্বপক্ষে যে ডকুমেন্ট দিতে চাইছেন সেটি আপলোড করে দিন, সঠিক হলে ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।

আপনার নিজের এই প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর আপনি আবার দুটি অপশন পাবেন। যে দুটি অপশন হলো, ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ আর অন্যটি ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’. এখানে আপনি আপনার ভোটার কেন্দ্রের বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে, যেটি আপনি দিতেও পারেন নাও দিতে পারেন।

আগের দুটি অপশনের মধ্যে ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। যদি পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে না চান তাহলে ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’ এ ক্লিক করুন। ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’-এ ক্লিক করলে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।

এরপর আপনি পাবেন তিনটি অপশন ‘ADD FAMILY MEMBER’, ‘VIEW MY FAMILY TREE’, ‘FINALIZE MY TREE’. এখানে আপনাকে ADD FAMILY MEMBER’-এ ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি আপনার নিজের ক্ষেত্রে যেভাবে এপিক নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করেছিলেন ঠিক তেমনভাবেই আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এখানে মনে রাখবেন নাকি অপশন পাওয়া যাবে যে, আপনি যে পরিবারের সদস্যের ভোটার ভেরিফিকেশন করছেন তিনি কি আপনার সাথে থাকেন, না আলাদা থাকেন। যেটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটি আপনি দিবেন। এছাড়াও তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক তাও জানাতে হবে।

এছাড়াও এই অপশনে আপনি পাবেন নতুন ভোটার হিসাবে পরিবারের কোনো সদস্যকে যোগ করার। যদি তার বয়স ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি ১৮ বছর হয়ে থাকে। নতুন ভোটার সংযোজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সমস্ত কাগজপত্র আপনাকে তৈরি রাখতে হবে এবং সেগুলিকে যথাযথ জায়গায় ওই অ্যাপের মাধ্যমেই আপলোড করতে হবে। এরপর আপনি ‘DOWNLOAD MY CERTIFICATE’ বলে একটি অপশন পাবেন ক্লিক করে ডাউনলোড করে নেবেন।

সস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার পেতে মেনে চলুন এই পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি গ্যাসের দাম কমায় গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ভারতেও গ্যাসের দাম ১৪.২ কেজি সিলিন্ডার পিছু কমে ৬২.৫০ টাকা। এর আগেও জুলাই মাসে একইভাবে গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি কমেছিল ১০০.৫০ টাকা। ফলতো এই মুহূর্তে স্বস্তির হাওয়া গৃহস্থের হেঁসেলে। আর এই রান্নার গ্যাসের দাম কমায় বিরোধীদের চাপ থেকে মুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারও, গ্যাসের দাম কমার আগের মাসে দাম ৩.৭% বাড়ায় বিরোধীদের চরম চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল।

তবে গ্যাসের দাম বাড়ুক বা কম হোক, গ্যাস বুকিং-এর সময় কেবলমাত্র একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলেই গ্যাসের দামের ক্ষেত্রে সিলিন্ডার পিছু ছাড়ে পাওয়া যায়। ক্যাশলেস বা নো ক্যাশ লেনদেনকে আরও মজবুত করতেই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত। সিলিন্ডার বুকিং করার পর সেই বিল অনলাইনে মেটালেই সিলিন্ডার পিছু পাওয়া যাবে ছাড়, এছাড়াও সিলিন্ডার বুকিং এর রসিদেও সেই ছাড়ের কথা উল্লেখ থাকবে।

Source

আর এই ছাড় পেতে হলে গ্যাস বুকিং করার পর সেই গ্যাসের মূল্য আপনাকে মেটাতে হবে অনলাইনে, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড অথবা নেট ব্যাঙ্কিং যে কোন পদ্ধতিতে। তাহলেই আপনি বুকিং করা গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি ছাড় পাবেন ৫ টাকা করে। অনলাইনে গ্যাসের বিল মেটানোর জন্য পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে এমন একটি পদ্ধতিও আনা হয়েছে যার জন্য আপনাকে এলপিজির সাইটে কোনরকম একাউন্ট করার প্রয়োজনও নেই। গ্যাস বুকিং করার সাথে সাথে আপনার রেজিস্টার মোবাইল নাম্বারে একটি মেসেজের লিঙ্ক চলে আসবে বিল মেটানোর জন্য। যাতে ক্লিক করলেই অতি সহজেই পেমেন্টের অপশন পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, আপনার রেজিস্টার মোবাইলে পাওয়া ওই মেসেজের লিংক ভ্যালিডিটি গ্যাস বুকিং করার সময় থেকে ৩ ঘণ্টা অবধি। তারপর আর ওই লিঙ্ক কাজ করবে না। কিন্তু যারা আগে থেকেই এলপিজি সাইটে নিজেদের গ্যাস কানেকশনের ভিত্তিতে একাউন্ট করে রেখেছেন তারাও অতি সহজেই পেমেন্ট করতে পারবেন অনলাইনে।

Source

এর আগে পেট্রোল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে লেনদেনের সময় ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক ০.৭৫% ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এবার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কেনাবেচাতেও ডিজিট্যাল পদ্ধতিকে আরও মজবুত করতে এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ছোটাছুটি নয়, ঘরে বসেই ঠিক করুন আধার কার্ডের ঠিকানার ভুল

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আধার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা বেশ কিছু ক্ষেত্রে লাগাম দেওয়া হলেও, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আধার কার্ড যে অত্যাবশ্যক তা অনস্বীকার্য। সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে, ব্যাংকের কাজ কর্মের ক্ষেত্রে, প্যান কার্ডের ক্ষেত্রে আধার এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে গণ্য হয়।

কিন্তু এতো প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই অনেকেরই নাম, ঠিকানা অথবা অন্যান্য তথ্যে ত্রুটি রয়েছে। আর এই ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন ব্যাপক হয়রানি। বর্তমানে আধার কার্ডের ভুল সংশোধনের জন্য দৌঁড়াতে হয় ব্যাঙ্কের দরজায়। শুধু দৌঁড়ানোয় নয়, সেখানে নাম লিখিয়ে, দাঁড়িয়ে থেকে বহু সময় নষ্টের পর সংশোধন করা হয়। আর এতেই তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ। তবে এই হয়রানির শিকার থেকে বাঁচার জন্য রয়েছে উপায়ও। বাড়িতে বসেই আপনি আপনার আধার কার্ডের ঠিকানার ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারেন খুব সহজেই।

আধার কার্ডের ঠিকানা ভুল সংশোধন করতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে আধার কার্ডের অফিশিয়াল সাইটে https://ssup.uidai.gov.in/ssup/login.html এখানে লগইন করার পর আপনার আধার কার্ড নাম্বার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আধার কার্ড নাম্বার দিয়ে প্রবেশ করার পর আপনি পেয়ে যাবেন চারটি অপশন। যে চারটি অপশনের মধ্যে প্রথমেই দেখতে পাবেন ‘Update Aadhar Details(online)’ টি। সেখানে ক্লিক করুন।

Source

তারপর আধার আধার কার্ডের সাথে রেজিস্টার করার মোবাইল নাম্বারটি দিন। মোবাইল নাম্বারটি দেওয়ার পরে আপনার কাছে একটি ওটিপি আসবে। ওটিপি দিয়ে প্রবেশ করার পর আপনি আপনার যাবতীয় ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারবেন অতি সহজেই। সংশোধনের সাথে সাথে প্রমাণ সাপেক্ষে আপনাকে উপযুক্ত ডকুমেন্টগুলি জুড়ে দিতে হবে।

সব ঠিক করার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। তার পদ্ধতি BPO নাম্বার পাওয়া যাবে, যেকোনো একটিতে সিলেক্ট করে সাবমিট করে দিন। সাবমিট করার সাথে সাথে আপনি একটি URN নাম্বার পাবেন। যদি আপনার দেওয়া তথ্যের সাথে আপলোড করা ডকুমেন্টের তথ্য মিলে যায় তাহলে ওই URN নাম্বারের মাধ্যমে দিন কয়েকের মধ্যেই সংশোধন করা আধার কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

Source

তবে অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন, বাড়িতে বসে অনলাইনে এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি করার জন্য আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার রেজিস্ট্রেশন থাকা আবশ্যক। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাড়িতে বসে আপনি কেবলমাত্র আপনার আধার কার্ডের ঠিকানা ভুল থাকলে সংশোধন করতে পারবেন। আর তা যদি না থাকে অথবা নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি সংশোধন করতে হয় তবে আপনাকে অবশ্যই সংশোধনের জন্য যেতে হবে আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে।

KBC চলার সময় অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় টেলিভিশনে রিয়ালিটি টিভি শোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনায় তাঁর কন্ঠস্বর এবং পরিবেশনায় এই অনুষ্ঠানটি আরো কয়েকগুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর যখন তিনি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ‘দেবীয় ও সাজন্নো’ বলে সম্মোধন শুরু করেন তখন যেন আলাদা অনুভূতি এনে দেয় দর্শকদের মধ্যে।

তবে আমরা যারা ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’ দেখতে অভ্যস্ত তাদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন খুবই ঘোরাফেরা করে। আমরা দেখতে পাই এই অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন এবং যিনি খেলায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের দুজনের সামনেই দুটি কম্পিউটার স্ক্রিন থাকে। খেলোয়াড়ের কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখা যায় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু প্রশ্ন হল সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান! তিনি কি সমস্ত প্রশ্নের সাথে সাথে উত্তর দেখতে পান?

এই প্রশ্নের সমাধানে কেবিসি থেকে জিতে আসা সাড়ে বারো লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনভ নামে এক যুবক কতকগুলি উত্তর দিয়েছেন।

চলুন দেখে নেওয়া স্যার অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান।

অভিনভের বক্তব্য অনুসারে কেবিসির সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তার কম্পিউটার স্ক্রিনে খেলতে আসা প্রতিযোগীর নাম এবং তিনি কোথায় থেকে এসেছেন এবং কিভাবে এসেছেন, জীবিকা ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য স্পষ্ট দেখতে পান। যাতে করে সঞ্চালনা সময় কোন রকম অসুবিধার মধ্যে না পড়েন অমিতাভ বচ্চন।

খেলার শুরুতে যখন ফাস্টেস্ট ফিঙ্গারের সময় প্রতিযোগী এবং সঞ্চালক দুজনের কম্পিউটারের স্ক্রিন বন্ধ থাকে।

প্রশ্ন এবং উত্তরের ক্ষেত্রেও কি অমিতাভ বচ্চন সব প্রশ্ন এবং উত্তর আগে থেকে জানতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনভ জানান, প্রশ্নের ক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চন কিছুটা হলেও নিজের আধিপত্য দেখাতে পারেন কিন্তু কোন প্রশ্নের উত্তর তার আগে থেকে জানা থাকে না। যেমন যদি অমিতাভ বচ্চনের মনে হয় সামনে বসে থাকা প্রতিযোগী এই প্রশ্নের উত্তরটি দিতে নাও পারেন, তাহলে তিনি সেই প্রশ্নটি এড়িয়ে করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি আগে থেকে উত্তরের টের পান না। সকল দর্শক এবং প্রতিযোগী যখন সঠিক উত্তর দেখতে পান, তখনই অমিতাভ বচ্চনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেখতে পান।

যখন কোন প্রতিযোগী হেল্পলাইন নেন তখন ‘ফোন এ ফ্রেন্ড’ অপশন ব্যবহার করলে, যে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগী যোগাযোগ করতে চাইছেন তাদের নাম এবং তাদের সম্পর্কিত তথ্য গুলি কম্পিউটার স্ক্রিনে উঠে আসে।

অভিনভের বক্তব্য অনুসারে এই পুরো খেলাটি বাইরে থেকেই পরিচালনা করা হয়, অমিতাভের কম্পিউটারটি স্বয়ংক্রিয়।

ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবার উপায়

দিন দিন অনলাইনে লেনদেনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আর বাড়বেই না বা কেন, অনলাইনে টাকা লেনদেনে সাধারণের থেকে কাজ অনেকটাই সোজা এবং সময়ও বাঁচে। আবার অনলাইনে টাকা পাঠালে যেমন সময় অনেকটাই বাঁচে, তেমন টাকাও বাঁচে। এখন আবার অনেক অনলাইন সংস্থা প্রতিটি অনলাইনে লেনদেনের ওপর বিশেষ কিছু ক্যাশব্যাক অফারও দিয়ে থাকে। ইলেক্ট্রিসিটি বিল বলুন অথবা রিচার্জ সব কিছুই অনলাইনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউপিআইয়ের উপর কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই জোর দিচ্ছে। দ্রুত এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানো অনলাইনের কোন জুড়ি হয় না।

অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে কাউকে টাকা পাঠাতে গিয়ে ভুল করে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে ফেলি। তাই অনেকেই অনলাইনে টাকা লেনদেন করতে খুব ভয় পায়। বিশেষ করে বয়স্করা। কিন্তু কখনো ভেবেছেন কি ভুল ব্যাক্তির ব্যাঙ্কে টাকা পাঠিয়ে ফেললে, সে টাকাও আবার ফিরে পাওয়া যায়? তাহলে আসুন জেনে নিই সেই টাকা ফেরত পাওয়ার উপায়…

আপনি যদি ভুল করে অন্য অ্যাকাউন্ট নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেলেন যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই তাহলে সেই টাকা অন্যত্র না গিয়ে আবার আপনার অ্যাকাউন্টে ফেরত এসে যাবে৷ আর যদি না আসে তাহলে আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে পারেন।

আবার আপনি যদি অন্য কোন ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে আপনার টাকা চলে যায় তাহলে, আপনি একটি লিখিত অভিযোগ আপনার ব্যাঙ্কের শাখাতে জমা করবেন এবং ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা যে ব্যাঙ্কে টাকা ভুল করে গেছে সেখানকার আধিকারিকদের সাথে কথা বলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।

এছাড়া আপনার টাকা যদি উক্ত ব্যক্তি দিতে ইচ্ছুক না থাকে তাহলে, আপনি টাকা ফেরত পাবেন না। তবে আপনি আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন।

ফেসবুকেই জিততে পারেন ৩ লক্ষ টাকা! চটপট দেখে নিন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেসবুক করলে নাকি সময় নষ্ট হয়! এই কথাই বারবার শুনতে হয়েছে বাড়ির গুরুজনদের থেকে শুরু করে অন্যান্যদের কাছেও। তবে এবার সে সব ভুলে যান, কারণ ফেসবুক ভারতে আগামী ১২ ই জুন থেকে নিয়ে আসছে এমন একটি গেম যা খেলে আপনি দিতে পারেন ৩ লক্ষ টাকা।

আসলে ফেসবুক তাদের এই গেম শুরু করার মূল উদ্দেশ্য হলো ফেসবুক ওয়াচে আরও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য। মুম্বাইয়ে ফেসবুকে সোশ্যাল এন্টারটেইনমেন্ট সামিটে এই নতুন খেলার কথা ঘোষণা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

‘কনফেট্টি’ নামে এই খেলা আগামী ১২ ই জুন থেকে ভারতে উপলব্ধ হবে বলে ফেসবুক সূত্রের খবর। ভারতে ফেসবুক কর্তা মনিশ চোপড়া জানান, ভারতে এই প্রথম আমরা এই খেলাটি আনতে চলেছি। যার ফলে আরো অনেক বেশি মানুষ ফেসবুকে ভিডিওর সাথে যুক্ত হতে পারবেন।

কিন্তু কিভাবে এই খেলার সাথে যুক্ত হবেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক আগে থেকেই এই খেলার আগের ভার্সনের লঞ্চ হয়েছে। ফেসবুক গ্রাহক যখন ভিডিও দেখবেন তখন ওই ভিডিও দেখার সাথে সাথেই মোবাইলের স্ক্রিনে উঠে আসবে কতগুলি প্রশ্ন। প্রশ্নগুলির মূলত বিনোদন এবং সংস্কৃতি মূলক হবে বলে জানা গিয়েছে। এবং উঠে আসা এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধাপে ধাপে সঠিকভাবে দিতে পারলে পুরস্কার হিসাবে পেতে পারেন তিন লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই এই গেম বিশ্বের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ব্রিটেন, মেক্সিকো ও কানাডা ইত্যাদির মতো দেশে খুবই জনপ্রিয়।

Jio র ইন্টারনেট স্পিড বাড়বে কয়েকগুণ, বদল করুন সেটিংসে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে জিও বিপ্লব এনেছে একথা অনস্বীকার্য। এই বিপ্লবের ফলে অন্যান্য বিভিন্ন মোবাইল সংস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে ভারতের বেশিরভাগ মোবাইল গ্রাহক ঝুঁকেছে জিওর দিকে। তার ফলে দিনের পর দিন কম খরচে বেশি সুবিধা পেতে এই জিও মোবাইল সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য মোবাইল সংস্থাগুলিও জিওর মতোই স্বল্পমূল্যে বেশি সুবিধা বাজারে এনেছে।

দিনের পর দিন জিওর গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে চলায় গ্রাহকদের মধ্যে বারবার একটাই অভিযোগ উঠে আসছে, দিন দিন নাকি জিও ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাচ্ছে! তবে এই ইন্টারনেটের স্পিড চার গুণ বাড়ানো সম্ভব যদি কতগুলি সেটিংসে পরিবর্তন করা হয়।

আমরা নিজে হাতে পরীক্ষা করে সুফলতা পেয়েছি, আশা করি আপনাদের ক্ষেত্রেও স্পিডের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পরিবর্তন উপলব্ধি করবেন।

সেটিংস পরিবর্তন করার আগে আমরা গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্টারনেটের স্পিড দেখার জন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করি। যার নাম, ‘Speed test by ookla’.

কোনরকম সেটিং পরিবর্তনের আগে সেখানে দেখা যায় আমাদের মোবাইল ফোনটিতে জিও কানেকশনে ইন্টারনেট স্পিড ছিল, ৫.৬৯ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড এবং ৩.২১ এমবিপিএস আপলোড স্পিড।

আর সেটিংস পরিবর্তন করার পর একই জায়গায়, একই মোবাইল হ্যান্ডসেটে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই স্পিড দাঁড়ায় ২০.৪ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড এবং ৩.০৬ এমবিপিএস আপলোড স্পিড। উল্লেখযোগ্য এই স্পিডের পরিবর্তন অবশ্যই স্থান বিশেষে আলাদা আলাদা হতে পারে।

যে পদ্ধতিতে Jio র স্পিড বাড়ানো সম্ভব, আপনাকে প্রথমেই আপনার মোবাইলের সেটিংসে যেতে হবে। সেখানে Network & Internet অপশনে যাবেন। সেখানে Mobile Network এ প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন Mobile Data, Roaming ইত্যাদি নানান অপশন রয়েছে, যেখানেই থাকবে APN (access point name). এখন আপনাকে যা পরিবর্তন করতে হবে সব এখানেই। কোনোরকম ঘাবড়াবেন না, কারন কোথাও কোনো ভুল হলেও কিছু না হারিয়েই Reset করার সুযোগ আছে।

Jio গ্রাহকদের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য, তাই APN এ প্রবেশ করে পর পর এই সেটিংসগুলি পরিবর্তন করুন। (বি:দ্র: – যেমন আমরা দেখাচ্ছি ঠিক তেমনই করবেন।)

  • NAME – Jio 4g
  • APN – jionet
  • Proxy – not set
  • Port – not set
  • Username – not set
  • Password – not set
  • Server – not set
  • MMSC -not set
  • MMS proxy – not set
  • MMS port – not set
  • MCC – 405
  • MNC – 840

এগুলি মোটামুটি সকলেরই একই থাকবে। তবে এবার একটু ভালো নজর দিবেন।

  • Authentication type – PAP or CHAP
  • APN type – Default
  • APN protocol – IPv4/IPv6
  • APN Roming Protocol – IPv4/IPv6
  • Bearer – LTE

আর কিছু করার দরকার নেই। এরপর ঝট করে মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে অন করে নিন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন, আশা করি সফলতা পাবেন হাতেনাতে। তবে হ্যাঁ, এই সেটিংসগুলি যদিও কারোর আগেই উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী করা থাকে তাহলে ইন্টারনেট স্পিডের পরিবর্তনের কোনো আশা নেই।

সেটিংস পরিবর্তনের স্ক্রিনশট

আমরা পুরো বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি। যদি এই সেটিংসগুলি পরিবর্তনের পর ইন্টারনেট স্পিড বেড়ে থাকে, কমেন্ট করে আমাদের জানান। যদি কোনরকম সুফলতা না পাওয়া যায় সেটাও জানাবেন।

EVM হ্যাকিং বা কারচুপি কি আদৌ সম্ভব! সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার কি জানাচ্ছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা হোক অথবা বিধানসভা, উপনির্বাচন বা নির্বাচন, বিরোধীরা অনেক ক্ষেত্রেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন, ওঠে নানান প্রশ্ন। যেমনটা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পর। এমনকি এই অভিযোগে বারবার বিরোধীরা এই ইভিএম নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থও হয়। এত এত বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে সাধারণ ভোটদাতাদের মধ্যেও ওঠে নানান প্রশ্ন। তাহলে কি!

সত্যিই কি ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব!

লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ইভিএমের কারচুপি নিয়ে সর্বভারতীয় একটি সংবাদপত্রে সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। রণবীর সিং নামে ওই ইলেক্টোরাল অফিসার জানিয়েছেন, “ইভিএম একেবারে স্বচ্ছ ব্যবস্থা, এখানে কারচুপির কোন সুযোগ থাকে না। ইভিএম ম্যানিপুলেশন অথবা হ্যাকিং করাও সম্ভব নয়। কারণ ইভিএমের সাথে বহির্বিশ্বের কোনরকম যোগাযোগ থাকে না। এমনকি ইভিএমের সাথে ব্লুটুথ, ইন্টারনেট অথবা ওয়াইফাই-এর মত কোন সংযোগ থাকে না। যার অর্থ কোনোভাবেই বাইরে থেকে ইভিএমকে প্রভাবিত করা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “ইভিএমের মধ্যে থাকে ওয়ান টাইম প্রোগ্রামেবেল চিপ। ইসিআইএল ও ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ইভিএম তৈরি করে থাকে। শুধু তাই নয় ইভিএম তৈরির সময় দেশের সর্বোচ্চ প্রটোকোল সুরক্ষা থাকে, যাতে করে গোলমাল পাকানোর কোন সুযোগই থাকে না।”

এছাড়াও ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর ইভিএমকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে স্ট্রং রুমে রাখা হয়। সেই নিরাপত্তা বলয় লংঘন করেও কেউ যদি ইভিএমে কারচুপি করতে চাই, তখন ইভিএম তার প্রযুক্তি অনুযায়ী খুব জোরে কাঁপতে থাকে। আর তারপরেই ইভিএম এর সুইচ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ওই সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার রণবীর সিং। তাই তিনি দাবি করেছেন কোনভাবেই ইভিএম হ্যাকিং অথবা কারচুপি করা সম্ভব নয়।

যদিও এর পরেও বিরোধীদের ইভিএম বদলানোর প্রসঙ্গ তুলেও কমিশন এবং শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে। বিরোধীদের ইভিএমের জালিয়াতির অভিযোগ রুখতে ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা আসে গত লোকসভা নির্বাচনে। গণনার ক্ষেত্রে কমিশনের নিয়ম অনুসারে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া পাঁচটি বুথের ভিভিপ্যাট গণনার ব্যবস্থাও হয়।

কিভাবে হবে ভোট গণনা! জেনে নিন খুঁটিনাটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসব প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের লড়াই শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ১১ ই এপ্রিল। মোট ৭টি দফায় ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ১৯ শে মে। ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের গণনা ২৩ মে। সেদিন সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে।

আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা আর তারপরই দেশের রাজনীতির সাথে সাথে বঙ্গ রাজনীতির গোটা অঙ্কের হিসাব পাওয়া যাবে। কার হবে জয়, কার হবে হার তা জানা যাবে আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ শে মে। ভোটের ফল কী হবে তা জানতে আমরা আগ্রহী ঠিকই। কিন্তু কিভাবে ভোট গণনা হয় বা ভোটগণনার পদ্ধতি কী তা কি আমরা জানি? অধিকাংশের উত্তরই হয়তো না হবে। তাহলে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভোটগণনার খুঁটিনাটি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দেশের ৫৪৩ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে মোট পাঁচটি পদ্ধতিতে। প্রথমেই গণনা করা হবে পোস্টাল ব্যালটের। অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে ৫৮ দিন গণনা কেন্দ্রে।

তারপর গণনা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। তিনটি খামের ভিতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট। প্রথমেই খোলা হবে একেবারেই প্রথমের খাম, তারপর দ্বিতীয় খাম, যেখানে থাকবে সার্ভিস ভোটের ডিক্লেয়ারেশন। তারপর তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট। এই খামের ভেতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে কিউআর কোড। এই কোডকে স্ক্যান করা হবে। যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে।

এরপর গণনা হবে ইভিএম। গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। এরপরই ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভায় প্রায় ১৪টি টেবিল ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড। এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা করা হবে। দেখা যায় যদি কোনো কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তাহলে সেই কন্ট্রোল ইউনিটের ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে।

কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষেই শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট বেছে নেওয়া হবে। যাদের আনা হবে স্ট্রং রুম। তারপর সেগুলি একসাথে গণনা হবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে আনুমানিক ২ ঘন্টা।

প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা। স্ট্রং রুমে থাকবে প্যারা মিলিটারি ফোর্স। এক প্লাটুনের কিছু বেশি সংখ্যায় থাকবে এই বাহিনী। স্ট্রং রুমের লাগোয়া থাকবে কাউন্টিং হল। কাউন্টিং হলের ভেতর থাকবে সিএপিএফ। কাউন্টিং হলের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। তার বাইরে থাকবে কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। এই জায়গা থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকবে পেদেস্ট্রিয়ান জোন। যেখানে থাকবেন পুলিশ আধিকারিক ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকরা। গণনাকেন্দ্র চত্বরে সমস্ত রকম গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারবেন। বাইরে ১৪৪ ধারা থাকবে গণনার দিন সকাল থেকেই। দেশের সমস্ত গণনাকেন্দ্রে একই নিয়ম লাগু থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে কোন রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে কড়া নজর থাকবে কমিশনের।

প্রতিটি রাউন্ডের গণনা শেষ হলেই রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে লিখে দিবেন একটি বোর্ডে। অন্যদিকে মাইকিং করেও বাইরে ঘোষণা করা হবে।

ঘোষণা শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর।

ভোটের কর্মীদের ভোটগণনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাছাই হয়। গণনার একসপ্তাহ আগে তাদের একটি গণনা কেন্দ্রের জন্য তাদের নির্বাচিত করা হয়। তারপর চলে তাদের প্রশিক্ষণ। কোন গণনা কেন্দ্রের জন্য একজন ভোট কর্মীকে সেখানে পাঠানো হবে তা তিনি গণনার ২৪ ঘন্টা আগে জানতে পারবেন।

ভোটগণনার দিন সকাল ৫ টায় ভোটকর্মীদের টেবিল দেওয়া হয়। প্রত্যেক গণনা টেবিলে থাকবে একজন করে সুপারভাইজার। এছাড়াও থাকবেন একজন সহকারী এবং একজন মাইক্রো অবজার্ভার।

প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনার জন্য থাকবেন একজন করে পর্যবেক্ষক। তারা রিপোর্ট দিবেন নির্বাচন কমিশনে। প্রতি রাউন্ড গণনা শেষে, পর্যবেক্ষকরা ফল মূল্যায়নের জন্য যেকোনও ২ টি ভোটিং যন্ত্র বেছে নেন। প্রত্যেক রাউন্ডের পর ভোট গণনার কার্যপ্রণালী একাধিক বার পরীক্ষা করার পর কমিশনে জানান। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে সাধারনের জন্য ফলের প্রবণতা জানাতে থাকেন। গণনার শেষে সংখ্যাগুলি ৩ বার করে পরীক্ষা করেন পর্যবেক্ষকরা, এবং প্রত্যেক টেবিলের ভোটগণনার কর্মীকে যাচাই করার পর রিটার্নিং অফিসারকে ফল ঘোষণা করতে বলা হয়।

পর্যবেক্ষকরা ছাড়া গণনাকেন্দ্রের ভিতর অন্য কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারেন না। ভোটগণনা চলাকালীন কোনও ভোট কর্মী সেখান থেকে বেরোতে বা ঢুকতে পারবেন না।

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা : আধার কার্ড ব্যবহার না করলেই হয়ে যাবে বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। বিগত কয়েক বছরে আধার কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে লাভ অথবা লেনদেনের ক্ষেত্রে আধার কার্ড অথবা আধার নাম্বার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু ভারতীয় নাগরিকদের অনেককেই আধার কার্ড বা আধার নাম্বার থাকা সত্ত্বেও সে গুলি ব্যবহার করেন না। আর এবার এখানেই বিপত্তি।

সম্প্রতি UIDAI এর তরফ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন জারি করে বলা হয়েছে, যদি কোন ভারতীয় নাগরিক টানা তিন বছর আধার নাম্বার বা আধার কার্ড ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে ইন্যাক্টিভ হয়ে যাবে তার আধার নাম্বারটি। তাহলে আধার নাম্বার অ্যাক্টিভ রাখতে বা বাঁচিয়ে রাখতে কি করতে হবে?

যদি কেউ আধার নাম্বার প্যান বা ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক না করে থাকেন বা ইপিএফও-কে আধার ডিটেলস না দিয়ে থাকেন বা পেনশন ক্লেমের ক্ষেত্রে আধার নম্বর ব্যবহার না করে থাকেন এবং এমনটা টানা তিন বছর না করে থাকলে কার্ড ইনঅ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে৷

তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার আধার নাম্বার অ্যাক্টিভ রয়েছে না, বাতিল হয়ে গিয়েছে?

আধার নাম্বার অ্যাক্টিভ না ইন্যাক্টিভ হয়ে গেছে তা বোঝার জন্যও রয়েছে সহজ উপায়। এর জন্য আপনাকে UIDAI এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট uidai.gov.in এ যেতে হবে। সেখানে সার্ভিস ট্যাবের মধ্যে পাবেন Verify my aadhaar number অপশন। সেখানে ক্লিক করে আপনার আধার নাম্বার এবং ক্যাপচা দিয়ে সাবমিট করলেই দেখিয়ে দেবে আপনার আধার কার্ড অ্যাক্টিভ রয়েছ, ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে গেছে।

যদি দেখা যায় আপনার আধার নাম্বার ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে আবার নতুন করে নিকটবর্তী আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে আবার নতুন করে আধার আপডেটের ফর্মটি ফিলাপ করতে হবে। তারপর আবার নতুন করে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে আধার নাম্বার আপডেট হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে করাতে আপনার খরচ হবে ২৫ টাকা।

চাঁদিফাটা গরমেও সাতটি পদ্ধতিতে এসি ছাড়াই আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে

তীব্র দাবদাহ সারা বাংলা জুড়ে। এক্ষুনি এর থেকে নিস্তার নেই। বরং আগামী আরো কয়েক দিন রয়েছে তাপ প্রবাহের সর্তকতা। এই অসহ্য গরমে টেকা বড় দায় হয়ে পড়েছে। প্রখর রৌদ্রে জ্বালাপোড়া অবস্থা ঘরে বাইরে সর্বত্র। রাস্তায় বেরোনোর কথা তো ছেড়েই দিলাম, ঘরের মধ্যেই ফ্যানের বাতাসে নেই কোনো রকম স্বস্তি। একমাত্র এসিই আপনাকে আরাম দিতে পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীদের সবার বাড়িতে নেই এসি, সামর্থ্যও নেই অধিকাংশের। তাই এসির কথা ভুলে যান, প্রাকৃতিক নিয়মে কিভাবে ঘরকে ঠান্ডা রাখা যায় সে নিয়ে ভাবুন।

প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘরকে অনেকটাই আরামদায়ক রাখা সম্ভব, যদি এসির সাথে তুলনা কখনই নয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে প্রাকৃতিক নিয়মে ঘর ঠান্ডা রাখা সম্ভব।

১) ঘরকে ঠান্ডা রাখতে হলে দুপুরের কড়া রোদকে কখনোই ঘরে ঢুকতে দেবেন না। কড়া রোদের সময় দরজা জানালা সব জায়গায় ভারী পর্দা লাগিয়ে রাখুন কিন্তু বৈকাল হওয়ার সাথে সাথেই সেগুলি খুলে ফেলুন যাতে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে পারে।

২) রাতের বেলায় টেবিল ফ্যান অথবা পোর্টেবল ফ্যান কে জানলার কাছে লাগিয়ে বাইরের ঠান্ডা হওয়া বাড়িতে ঢোকান। যাতে খুব তাড়াতাড়ি ভিতরের ভ্যাপসা গরম দূর হয়ে আরামদায়ক হবে।

৩) এসি ছাড়াও এসির মত আরামদায়ক ঠান্ডা হাওয়া পেতে হলে টেবিল ফ্যানের সামনে গামলাতে করে বরফ রেখে অথবা বোতলে বরফ জমিয়ে সেই বোতল টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে হাওয়া গায়ে নিন।

৪) বিনা কারণে ঘরের ভিতরে কোন রকম ইলেকট্রিক দ্রব্য চালিয়ে রাখবেন। টিভি, আলো, কম্পিউটার ইত্যাদি বিনা কারণে চালানো থাকলে ঘর বেশি গরম হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা দেয়। এতে ইলেকট্রিক বিলও কমবে, ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকটা।

৫) প্রয়োজন ছাড়া বেশিক্ষণ গ্যাসের ওভেন জ্বালিয়ে রাখবেন না। এতে গ্যাসের খরচও বাড়ে এবং ঘর বীভৎস গরম হয়।

৬) বাড়ি তৈরির সময় লাগান হিট প্রটেক্টিভ উইন্ডো ফিল্ম। জানালার কাঁচের মধ্য দিয়ে তাপ অনেকটাই শোষিত হয়। যার কারণে ঘর দ্রুত গরম হয়ে ওঠে। যেসব জানালায় সূর্যের আলো সরাসরি পরে সেখানে হিট প্রটেক্টিং উইন্ডো ফিল্ম লাগান। যাতে তাপ শোষণ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এছাড়াও জানালার বাইরের দিকে কাঁচের মধ্যে সাদা রং করে নিতে পারেন। যার ফলে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে কম তাপ শোষণ করবে।

৭) অত্যাধিক তাপমাত্রা থেকে বাঁচার সব থেকে বড় উপায় হলো গাছ। নিজের বাড়ি এবং প্রকৃতিকুলকে ঠান্ডা রাখতে বাড়ির এদিক ওদিক চারিদিকে লাগান গাছ। যাতে করে সরাসরি সূর্যের আলো আপনার বাড়িতে এসে পড়বে না এবং গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সময় আপনার বাড়ি অনেকটাই ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত থাকবে।

ইচ্ছে ছাড়া আর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এড করা যাবে না : কি করতে হবে জেনে নিন

নিজস্ব প্রতিবেদন : অযথা নানান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এড করে দেওয়ার পর একের পর এক বিরক্তিকর মেসেজ। এবার এই বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা নিয়ে এসেছে একটি দুর্দান্ত ফিচার। এই ফিচারের মাধ্যমে আর আপনাকে যে কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া যেকোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ করতে পারবে না। সংস্থার তরফ থেকে লঞ্চ করা এই ফিচারটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে সেটিংসে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।

সেটিংসে এই পরিবর্তন করার পর আপনাকে আর কেউ তার ইচ্ছামত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ করতে পারবে না, পরিবর্তে আপনার কাছে আসবে একটি গ্রুপে যোগ হওয়ার ইনভিটেশন, যাতে আপনি সম্মতি দিলেই যোগ হতে পারবেন।

সংস্থার তরফ থেকে লঞ্চ করা এই ফিচারটি সক্রিয় করতে আপনাকে যা করতে হবে তা হল, প্রথমে আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। সেখান থেকে একাউন্ট, তারপর প্রাইভেসি, তারপর গ্রুপ। সেখানে গিয়ে দেখতে পাবেন রয়েছে তিনটি অপশন। Nobody,” “My Contacts,” ও “Everyone.”। ‘Nobody’ অপশন সিলেক্ট করলে আপনাকে কেউই আপনার অনুমতি ছাড়া গ্রুপে যোগ করতে পারবে না। My Contact বেছে নিলে, আপনার মোবাইলে সেভ থাকা কন্টাক্ট নাম্বার থেকে গ্রুপে যোগ করা যাবে। আর Everyone বেছে নিলে যে কেউ আপনাকে গ্রুপে যোগ করে দিতে পারবে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফেক খবরকে ভাইরাল করা রুখতে হোয়াটসঅ্যাপের এমন পদক্ষেপ। যদিও এমন পদক্ষেপে বা ফিচারের হোয়াটসঅ্যাপের অনেক গ্রাহকই জ্বালাতন থেকে মুক্তি পাবেন।