বৃষ্টি! পুজোতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস হওয়া অফিসের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ার পরিস্থিতি। সকালে বৃষ্টি না হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, বিকালেই আবার তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পুজো চার দিন বৃষ্টি নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখতে বাঙালিরা।

আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুজো চার দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এরাজ্যে। যদিও কোন ঘূর্ণাবর্ত বা সিস্টেম সক্রিয় নেই, তা সত্ত্বেও রাজ্যজুড়ে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প রয়েছে। যার ফলেই পুজোতে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হতে পারে, হতে পারে স্বল্পমেয়াদী বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি কলকাতাসহ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, “পুজোর সময় টানা দীর্ঘ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে বিক্ষিপ্ত স্বল্পমেয়াদী বৃষ্টি হতে পারে। ১ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। কিন্তু ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ৭ ও ৮ তারিখ বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওই সময় সমুদ্রে উচ্চচাপ জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।”

তবে এরই মাঝে ভালো খবর এটাই যে, পুজোর দিনগুলিতে যদিবা বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে তা সকাল থেকে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিকাল অথবা সন্ধ্যার দিকে ঠাকুর দেখার আনন্দে ভাটা পড়বে না বলেই অনুমান।

পুজোর এই দিনগুলিতে বৃষ্টিপাত হওয়ার মূল কারণ হিসেবে রাজ্যজুড়ে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্পের আধিপত্য। কোনরকম ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ না থাকলেও এই জলীয়বাষ্পের কারণেই এই বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টিতে বৃষ্টির আশঙ্কা।

সুখবর: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বাড়লো আড়াই গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু সরকারি কর্মচারী নয়, পুজোর আগে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন নিয়েও সুখবর দিল রাজ্য সরকার। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো তৈরির পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের নতুন পরিকাঠামো নিয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ২০১৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন যা ছিল, তা ২.৫৭ গুণ বেড়ে যাবে। কোন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর বেসিক পেনশন ৩৩০২ টাকা থাকলে তিনি ৮৪৮৬.১৪ টাকা পাবেন। তবে সেই টাকা রাউন্ড অফ করে ৮৫০০ টাকা দেওয়া হবে।

নতুন এই পেনশন কাঠামো পূর্বঘোষিত সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর মতোই ২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে লাগু হবে। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে পেনশনের উর্ধ্বসীমার গন্ডিও। পেনশনের উর্ধ্বসীমা ৩৫০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও রিভিশন অফ পে এন্ড অ্যালাউন্সে বলা হয়েছে পেনশনভোগী ৮০ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে হলে পেনশনের উপর আরো ২০ শতাংশ টাকা পাবেন। ৮৫ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে হলে আরো ৩০ শতাংশ টাকা পাওয়া যাবে। আর কোনো পেনশনভোগী বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গেলে বর্ধিত পেনশন পরিকাঠামোর উপর ১০০% অতিরিক্ত পেনশন পাওয়া যাবে।

পুজোর আগে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন পরিকাঠামোর এমন পরিবর্তন নিয়ে স্বভাবতই খুশির হাওয়া পেনশনভোগীদের মধ্যে।

পুজোর আগে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, বাড়লো গ্যাসের দাম। জানেন কত?

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোয় আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন। আর তার আগেই মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন। মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে বাড়লো গ্যাসের দাম। গতমাসে দাম বাড়ার পর আবার এ মাসে এক ধাক্কায় ভর্তুকি সিলিন্ডারে দাম বাড়লো ১৫ টাকা। আজ পয়লা অক্টোবর থেকে ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কার্যকরী হলো।

গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমেই দাম বেড়েছিল ভর্তুকিহীন গ্যাসের। এরপর ফের অক্টোবর মাসে দাম বাড়লো ভর্তুকিহীন গ্যাসের সিলিন্ডারের। সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ মাসে দাম বেড়েছে ১৬.৫০ টাকা প্রতি ১৪.২ কিলোগ্রাম সিলিন্ডার পিছু।

গত মাসে যে সিলিন্ডার কলকাতায় মিলতো ৬০১ টাকায় তার জন্য এই মাস থেকে গুনতে হবে ৬১৬.৫০ টাকা। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে পরপর দু মাসে দু’দফায় বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। তবে তার আগে সব মিলিয়ে রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছিল ১৬৩ টাকা।

আইওসির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বিদেশি মুদ্রার মূল্য ওঠা পরা, মুদ্রাস্ফীতির কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পেট্রোপণ্য নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নতুন নীতির ফলে প্রতি মাসেই এলপিজির দাম বাড়া কমা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে ভারতের বাজারে দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে দামের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নির্ভর করে ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের মতো বড় বড় সংস্থার উপর। আর এই দাম বাড়া কমার ফলে যারা ভর্তুকির বাইরে তাদের কপালে দামের কপিটা পড়ে বেশি।

রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বছরে ১২টি সিলিন্ডার পাওয়া যায় ভর্তুকি সহ। তার থেকে বেশি সিলিন্ডার নিতে বলে ভর্তুকি ছাড়াই গ্রাহককে নিতে হয়। আর এমতো অবস্থায় পুজোর আগে গ্যাসের দাম কিছুটা হলেও বৃদ্ধিতে ব্যাজার মুখ আমজনতার।

পুজোর আগে বৃষ্টি নিয়ে খুশির খবর দিলো আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালিদের প্রানের পূজা দুর্গোত্সবের প্রাক্কালে খুশির খবর হাওয়া অফিস। আগামী ২৪ ঘন্টা থেকে বৃষ্টি কমবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃর্ণ জেলায়। দিন কয়েকের নিম্নচাপের জেড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। পাশাপাশি দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি নিয়ে দেখা দিয়েছিল অশনিসংকেত।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের আবহাওয়ার উন্নতি হবে। দিন কয়েকের বৃষ্টি তুলনায় বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি কমবে। দেখা মিলবে রোদেরও। তাপমাত্রাও বাড়বে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার উন্নতি হলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই থাকছে না এমনটা নয়। হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর প্রদেশ থেকে নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত পর্যন্ত অবস্থান করার কারণে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

তবে খুশির খবর এই যে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ২৪ ঘন্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সহ অধিকর্তা গনেশ দাস।

বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি দিনের বেশিরভাগ সময় আকাশ মেঘলা থাকবে। যে কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে।

প্রকাশ্যে ধূমপান, গুটখা নিষিদ্ধ হল পশ্চিম বর্ধমানে, জরিমানা ২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠীর নির্দেশে প্রকাশ্যে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। শুধু প্রকাশ্যে ধূমপান নয়, নিষিদ্ধ হলো গুটখাও। এই সিদ্ধান্ত ২৭ শে সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরী হয়েছে জেলার সমস্ত প্রান্তে।

জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জেলার সরকারি দপ্তর, স্কুল শিক্ষক ও কলেজ অধ্যাপকদের নিয়ে বৈঠক করে এমন নির্দেশিকা জারি করেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো পশ্চিম বর্ধমানে।

ধূমপান এবং গুটখা নিয়ে জেলাশাসকের সেই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেকটি দপ্তরে। এই নির্দেশিকা কার্যকরী করার জন্য জেলাশাসক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সচেতনতা বাড়াতে প্রাথমিকভাবে এই নির্দেশিকা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বোর্ড এবং ফ্লেক্সের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আর এই নির্দেশিকা কেউ না মেনে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে তাকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

জেলাশাসকের তরফ থেকে জানানো হয়, শহরকে সিগারেট, গুটখা মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ। জরিমানা হিসাবে প্রকাশ্যে ধূমপানকারীকে ২০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সূত্রের খবর এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১২ জন জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ধূমপান থেকে ক্যান্সারের প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। শুধু ধূমপান করছেন তার নয়, পাশে থাকা ব্যক্তিরও চরম ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্তকে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

জেলার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা, বন্যার জলে ভেসে এলো বোম

অমরনাথ দত্ত : বোমও এখন খড়-কুটো। দুদিনের টানা বৃষ্টিতে তাই খড় কুটোর মতো ভেসে উঠলো ড্রাম ভর্তি বোমা। যেমন বন্যার জলে ভেসে আসে খর-কুটো ঠিক তেমনই বোমেরও হাল।

আর এমনই ঘটনা ঘটলো বীরভূমের দ্বারকা গ্রামে। দ্বারকা গ্রামে নদীর জলে ভেসে আসা দুই ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করলো লাভপুর থানার পুলিশ। প্রায় ৮০ টি বোমা ছিল। পরে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

এদিন দুপুরে লাভপুরের গুনুটিয়া গ্রামের কাছে নদীর জলে মুখ বন্ধ প্ল্যাস্টিকের ড্রাম ভেসে আসতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ড্রাম গুলি উদ্ধার করে খুলে দেখে প্রায় ৮০ টি মত তাজা বোমা রয়েছে। পরে বোলপুর থেকে সিআইডি বম্ব স্কয়াডের প্রতিনিধিরা গিয়ে বোমাগুলি ফাঁটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।

এই ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। কোথা থেকে এই বোমাগুলি এলো তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

খালা খন্দে ভরা জাতীয় সড়ক, যাতায়াতে প্রাণ ওষ্ঠাগত যাত্রীদের

লাল্টু : বারংবার বীরভূমের উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ সত্ত্বেও সেভাবেই কাজ করতে দেখা যায় না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। আর এবার পুজোর আগে জাতীয় সড়কের যা অবস্থা তাতে যানবহনের পরিবর্তে গরুর গাড়ি চালানোই শ্রেয় বলে মতামত পথচলতি মানুষের।

জাতীয় সড়কের এই বেহাল দশার কারণে আধ ঘন্টার রাস্তা পরিণত হয়েছে দু ঘন্টায়, পাশাপাশি প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে দুর্ঘটনার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, বারবার জাতীয় সড়ক অথরিটিকে জানানো সত্ত্বেও সে ভাবে তারা ভ্রূক্ষেপ করেন না। কেবলমাত্র কিছু পাথর আর ডাস্ট দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালায়। ফলে আবার কিছুদিনের মধ্যেই বেহাল দশায় পরিণত হয়।

জাতীয় সড়কের এই বেহাল অবস্থা বীরভূমের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশিরভাগ অংশেই। যে কারণে দিনের পর দিন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়া যাত্রীদের, এমনকি বেহাল অবস্থা এতটাই যে যাতায়াতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে যাত্রীদের।

আর জাতীয় সড়কের এই করুণ দশার জন্য দুর্বিষহ অবস্থা বীরভূমের দুবরাজপুরের শহরবাসীদের। কারণ এই ছোট শহরের মধ্য দিয়েই চলে গেছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শহরের মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তাই খানাখন্দে ভর্তি। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও এই রাস্তা নিয়ে তিতিবিরক্ত।

এলাকার প্রাক্তন পৌরপতি পীযুষ পান্ডে জানান, “আমরা বারবার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে জানানো সত্ত্বেও তারা সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলত সমস্যাই শহরের বাসিন্দারা, শুধু শহরের বাসিন্দারাই নয়, সমস্যায় রয়েছেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে আগত মানুষেরাও।”

তিনি আরও জানান, “পুজোর পরেও যদি রাস্তার এমন হাল থাকে তাহলে আমরা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বড়সড় আন্দোলনে নামবো।”

বিরল অস্ত্রোপচার, কিশোরীর পেট থেকে বের হলো ১ কেজি চুল

নিজস্ব প্রতিবেদন : পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক কিশোরী। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় পেটের মধ্যে রয়েছে চুলের বড় বল। অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে পাথর বা টিউমার নয়, বের হলো এক কেজি পরিমাণ চুল। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কিন্তু এই কিশোরীর পেটে চুল গেল কিভাবে? জানা গিয়েছে, চুল খাওয়ার অভ্যাস ছিল পূর্ব বর্ধমানের মাধবদিহি থানার তৈরালার ১৪ বছরের ওই কিশোরীর। একদিন দুই দিন নয়, গত তিন বছর ধরে চুল খেয়ে আসছিল সে। আর সেই চুল জমা হচ্ছিলো তার পেটে।

ওই ছাত্রীর কাকু জানিয়েছেন, তাঁর ভাইঝি যে চুল খায়, জানতেনই না তার বাবা-মা। মাসখানেক আগে কিশোরীর পেটে ব্যথা শুরু হয়। যা খেত, সব বমি হয়ে যেত। স্থানীয় চিকিৎসক সিটি স্ক্যান এবং এন্ডোস্কোপি করতে বলেন। তাতেই দেখা যায়, পাকস্থলী জুড়ে রয়েছে চুলের গোছা। অবিলম্বে কিশোরীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। সেই মতো রবিবার কিশোরী ও তার পরিজনেরা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আসেন। রোগীর রিপোর্ট দেখে তখনই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন জেনারেল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আরএমও সুমন সাহা।

চিকিৎসকদের মতে, চুল খাওয়ার বদভ্যাস এক ধরনের মানসিক রোগ। সচেতনতার অভাবে রোগী মৃত্যুর মত ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। মানসিক রোগের অভিধানে চুল ছেঁড়ার প্রবণতাকে ‘ট্রাইকোটিল্লোম্যানিয়া’ বলা হয়। আর চুল খেয়ে ফেলার রোগের নাম ‘ট্রিকোবেজোর’। সেই চুল পেটের মধ্যে জমতে জমতে দীর্ঘাকৃতি হলে বলা হয়, ‘র‌্যাপুনজেল সিন্ড্রোম’।

সুমন সাহার নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই বিরল অস্ত্রোপচার করলেন। পৃথিবীতে এই অস্ত্রোপচার বিরল। এই অস্ত্রোপচার ৪৩ তম অস্ত্রোপচার বলে দাবি চিকিৎসকদের।

সুমনবাবু বলেন, “ওই কিশোরীর পেটের সামনের অংশ ফোলা ছিল। পেটের মধ্যে থাকা চুল পাকস্থলীর বেশিরভাগ অংশে জুড়ে গিয়েছিল। যার ফলেই খাদ্যনালী আটকে সমস্যা দেখা দেয়। সারা বিশ্বে এধরনের রোগের নজির খুব কম। কিশোরী আপাতত সুস্থ। পুরো সুস্থ হলে তার মানসিক রোগের চিকিৎসার প্রয়োজন।’’

বছর পাঁচেক আগে কসবার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর পেট থেকে আড়াই কেজি চুল বার করেছিলেন শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এর আগে লুধিয়ানার মহাভিরা সিভিল হাসপাতালেও এক তরুনীর পেট থেকে বের হয় এমন চুল। পাকিস্তান থেকে ২২ সেন্টিমিটার ও ৮ সেন্টিমিটার সাইজের একটি চুলের বল উদ্ধার করেছিলেন চিকিৎসকরা। ২০১৭ সালের মুম্বাইয়ে এই ঘটনার নজির দেখা মিলেছিল। এক মহিলার পেট কেটে সাড়ে ৭০০ গ্রাম ওজনের চুল অস্ত্রপ্রচার করে বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। মধ্যপ্রদেশেও এক মহিলার পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ১.৫০ কেজি ওজনের চুলের বল।

ষষ্ঠী থেকে দশমী চিন্তায় বৃষ্টি, কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজোর চারটি দিনের জন্য মাসের পর মাস ধরে সকলেরই থাকে অপেক্ষা, তৈরি করা হয় কত প্ল্যান, কেনাকাটি আরো কতকিছু। কিন্তু এবারের এই পুজোয় মহিষাসুর আগাম হাজির বৃষ্টি।

আর মাত্র কয়েকটা দিন, সূচনাও হয়ে গেছে দেবীপক্ষের। অথচ মহালয়ার দুদিন আগে থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধ দেখা যাচ্ছে না। পুজোর আগে এমন মুষলধারায় বৃষ্টিতে বিষাদের কালো মেঘ জমেছে বাঙ্গালীদের মনে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী, পুজো উদ্যোক্তরা সকলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কখন ছাড়বে বৃষ্টি। তবে হাওয়া অফিস শোনাচ্ছে অন্য কথা।

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন বিষাদে ভরতে পারে বাঙ্গালীদের মন। এই পাঁচ দিনও বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখছে না তারা। আসলেই প্রকৃতিকে বাঁধ দেওয়ার ক্ষমতা কারোর নেই।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উপর মৌসুমী বায়ু অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও রয়েছে আরো বড় আশঙ্কা, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে তৈরি হয় নিম্নচাপ, যে নিম্নচাপের প্রভাবের বৃষ্টি ভেস্তে দিতে পারে পুজোর আনন্দকে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, এবছর মহালয়ায় বৃষ্টির আশঙ্কার কথা। এমনকি তারা এও জানিয়েছিল দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হবে বীরভূমে। সেই পূর্বাভাসকে বাস্তব করে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, রাতভর বৃষ্টি সম্মুখীন বীরভূম এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি।

যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এই মুহুর্তের পশ্চিমবঙ্গের উপর সক্রিয় রয়েছে, সেই নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। যে কারণে রবিবার থেকে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। এমনিতেই নিজেদের পূজামণ্ডপের কাজ নিয়ে চিন্তিত পুজো উদ্যোক্তারা। তারপর আবার নতুন করে এমন অশনিসংকেত আরও বেশি চিন্তায় ফেলেছে তাদের ও আপামর বাঙালিদের।

পুজোয় সুরাপ্রেমীদের জন্য খুশির খবর, রইলো না ঝঞ্ঝাট

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গা পুজো মানেই বাঙ্গালীদের সবথেকে বড় হৈহুল্লোড়ের উৎসব। আর এই উৎসব যে যার মত কাটাতে পছন্দ করেন। পুজোর মুখে লাগামছাড়া বৃষ্টিতে যখন মন মরা বাঙালিরা, ঠিক তখনই সূরা প্রেমীদের জন্য এলো বড়ই সুখবর। পুজোর দিনগুলিতে খোলা থাকবে রাজ্যের সবকটি মদের দোকান।

অক্টোবর মাসের ২ তারিখের পর থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের থাকে লম্বা ছুটি। কিন্তু এই ছুটির মরসুমেও বন্ধ থাকবে না একটিও মদের দোকান।

আগে পশ্চিমবঙ্গে ১২ দিন মদের দোকান বন্ধ থাকতো বছরে। যার মধ্যে পুজোর কয়েকটা দিনও ছিল। তবে মমতা সরকার ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শাসনে আসার পর এই নিয়মের পরিবর্তন করেন ২০১৬ সালে। বন্ধের সংখ্যা কমিয়ে করা হয় মাত্র সাড়ে চার দিন। যে সাড়ে চার দিন এরাজ্যে মদের দোকান বন্ধ থাকে সেগুলি হল ২৬ শে জানুয়ারি, ১৫ই আগস্ট, ২রা অক্টোবর, মহরম এবং দোলের দিন দুপুর দুটো পর্যন্ত।

আর এমন সুসংবাদে খুশির হাওয়া সূরা প্রেমী মানুষদের মধ্যে। পুজোতে পুরো পরিষেবা মেলায় আর তাদের ঝঞ্ঝাট পোওয়াতে হবেনা।

বাজ পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দুই গৃহবধূ

হিমাদ্রি মন্ডল : দিনভর চলতে থাকা ঝিম ঝিম বৃষ্টির মাঝে দুপুর দুটো নাগাদ হঠাৎই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-এর কারণে জেলার দুই প্রান্তে আহত হয় দুই গৃহবধূ। অপরদিকে মৃত্যু হয়েছে একটি গবাদিপশুরও। দুই গৃহবধূকে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের একজন ফুলন মাল, তিনি সিউড়ি থানা এলাকার ইন্দ্রগাছা গ্রামের বাসিন্দা। গবাদি পশু মাঠে নিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রবিদ্যুৎ-এর আঘাতে আহত হন। মারা যায় মাঠে নিয়ে যাওয়া একটি গবাদি পশু। অপরজন হলেন ফাগু দলুই, তিনি সিউড়ি থানা এলাকার বাতাসপুরের বাসিন্দা।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর দুদিন আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-এর সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিলেন তারা। আবহবিদেরা জানিয়েছিলেন অন্যান্য জেলার থেকে বীরভূমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবথেকে বেশি থাকবে।

বজ্রবিদ্যুৎ-এর কারণে জেলার অন্যকোন প্রান্ত থেকে আর কোনো বড়সড় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

গুজব রুখতে পুলিশের জনসাধারণকে বিশেষ আবেদন, গুজব ছড়ালে কড়া শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গুজব। আর সেই গুজবের পাল্লায় পড়ে ছেলেধরা সন্দেহে একের পর এক নিরীহ মানুষ গণ প্রহারের শিকার হচ্ছেন। এমত অবস্থায় রাজ্য পুলিশ তথা বীরভূম জেলা পুলিশ জনগণের কাছে বিশেষ আবেদন রেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে ছেলেধরা সংক্রান্ত গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

১) দয়া করে গুজব ছড়াবেন না বা গুজবে কান দেবেন না।

২) অজানা, অচেনা কোন ব্যক্তিকে কোনরকম সন্দেহজনক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিন।

৩) গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তির প্রতি নজর রাখুন।

৪) আইন নিজের হাতে নেবেন না বা কাউকে হাতে নিতে প্ররােচনা দেবেন না।

৫) সচেতন ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক হিসাবে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে সহায়তা করুন।

৬) পুলিশ সর্বদা আপনার পাশে আপনার সাথে।

৭) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন বিভ্রান্তি মূলক খবর থেকে সকলে সচেতন থাকুন।

মির্জার গ্রেপ্তারির পরই তলব মুকুল, মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : নারদ কাণ্ডে তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথম গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে। এরপরই শুরু হয়েছে কাউন্টডাউন মুকুল রায়ের, জল্পনা এমনটাই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গতকাল মির্জাকে গ্রেপ্তার করার পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে মুকুল রায়কে।

যদিও তলবের বিষয়ে মুকুল রায় দাবি করেছেন, তিনি কোনরকম চিঠি পাননি সিবিআইয়ের তরফ থেকে। আর চিঠি পেলেই সিবিআই দপ্তরে পৌঁছে যাবেন। তবে এসবের মাঝে যে প্রশ্নটি সকলকে ভাবাচ্ছে তা হলো, তাহলে কি হেফাজতে নেওয়া মির্জার সামনাসামনি বসিয়েই কি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে!

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আইপিএস অফিসার মির্জার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। আজ নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের হাজিরা হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ কান্ড। নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের সংস্থা স্ট্রিং অপারেশন চালায় তৃণমূল নেতা নেত্রীদের উপর। সেসময় মুকুল রায় ছিলেন অন্যতম মুখ। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি কাজ করানোর জন্য একাধিক নেতা নেত্রীদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। যাদের সবার সাথে ম্যাথু স্যামুয়েলের যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছেন আইপিএস অফিসার মির্জা।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় তদন্ত। তদন্তভারে র দায়িত্ব বর্তায় সিবিআইয়ের হাতে। বিগত কয়েক বছর ধরে তদন্ত চলার পর অবশেষে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় আইপিএস অফিসার মির্জাকে। এরপরেই রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল কার নাম আসে পরবর্তী তলব হিসাবে।

যদিও মুকুল রায় আইপিএস অফিসার মির্জার সাথে তার সম্পর্ক ছিল সে কথা স্বীকার করে সাফাই দিয়েছেন, “ওরা ব্যবসার জন্য এসেছিল, আমি তখন মির্জার সাথে ওদের দেখা করতে বলি। কিন্তু কোন টাকা লেনদেনের কথা বলিনি।” এরপর প্রশ্ন উঠে ব্যবসার জন্য এলে আইপিএস অফিসারের সাথে দেখা করার কথা কেন বলা হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় জানান, “ওরা বর্ধমানের ব্যবসা করতে এসেছিল ব্যবসা করার জন্য জমি জায়গা লাগে। আর জমি জায়গা পেতে হলে পুলিশ অফিসারদের প্রয়োজন হয়।”

ফের বীরভূমে উদ্ধার বোমা, এবার দুবরাজপুর

লাল্টু : অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত খোয়াজ মহঃপুর গ্রামে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভেঙে পরে একটি কংক্রিটের বাড়ি। যে বাড়িতে বসবাস করতেন সেখ নবির ও সেখ জিহু নামে দুই ব্যক্তি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পাশের বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গেও আহত হয় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী সাহিনা খাতুন।

ঘটনার পর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুবরাজপুর থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হলেন শেখ জাহির হুসেন এবং শেখ জুম্মন। এরা সম্পর্কে দু ভাই, এদের বাবা শেখ নবিরকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে দুবরাজপুর থানা পুলিশ।

ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তারপর ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয় জোড়ালো তদন্ত। ধৃত ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে দুবরাজপুর ব্লকের বুদ গ্রামে মজুত রয়েছে বোমা।

এই বোমা মজুতের তথ্য পাওয়ার পর আজ দুবরাজপুর থানার পুলিশ আজ ওই গ্রামে হানা দিয়ে নদীর পাশে থাকা ঝোঁপ থেকে ১৫ টি বোমা উদ্ধার করে। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব স্কোয়ার্ড দলকে।

খুশির খবর : ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনের সময়সীমা বাড়লো

গৌড় চক্রবর্তী : ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হল৷ যাদের কোনো ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই তাদের নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন ও ডিজিটাল রেশন কার্ডের সংশোধনের জন্য যে ক্যাম্প সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরে বা ব্লক অফিসে চলছিল সেই সময়সীমা বাড়ানো হল।

এদিকে পূর্ব ঘোষিত সূচী অনুযায়ী চলতি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে। ছুটির দিন বাদে বাকি দিনগুলিতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ চলছে। যে কাজ এ মাসের ৯ তারিখ শুরু হয়েছিল। আবারও নভেম্বর মাসে শুরু হবে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন ও সংশোধনের কাজ৷ ৫ ই নভেম্বর থেকে ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত এই ক্যাম্প চলবে৷ যেহেতু এ মাসের ২৮ তারিখ মহালয়া। তারপরের দিন রবিবার, সরকারি ছুটি। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পুজোর সপ্তাহ। তাই ৪ই নভেম্বর পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে এবং ৫ ই নভেম্বর থেকেই আবারও আবেদন পত্র জমা নেওয়া হবে।

এনআরসি আতঙ্ক মানুষকে যেভাবে তাড়া করছে তাতে রেশন কার্ডের ক্যাম্পে প্রতিদিন লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ভিড়ে পরিস্থিতি এমনই যে অনেকেই আবেদনপত্র জমা দিতে গিয়ে লাইন দেখে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রেশন কার্ড সংশোধনের জন্য ২৭ তারিখ পর্যন্ত যে সময়সীমা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত করা হচ্ছে। অনেক সময় রয়েছে, করে নিন সময়মতো।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, “দরকার হলে রেশন কার্ড সংশোধনের জন্য শিবির বাড়ানো হোক।” পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুটো ভাগে রেশন কার্ড করা হোক। অনেকে রেশন কার্ড রাখেন, অস্তিত্বের জন্য, ঠিকানার জন্য, কিন্তু তিনি রেশন তোলেন না। এঁদের নামে আলাদা রঙের কার্ড বানান।”

‘ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেলের’ জন্য আগামী দিনে যে রেশন কার্ডগুলি তৈরি হবে সেগুলিতে আধার কার্ডের লিঙ্ক করাতে হচ্ছে। তাই প্রত্যেক আবেদনকারীকে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড নিয়ে সঙ্গে রাখতে হবে। আবেদনপত্রেও দুটি কার্ডের নম্বর উল্লেখ থাকছে।

তবে ডিজিটাল রেশন কার্ডে নাম সংযোজন এবং সংশোধন সহ সমগ্র প্রক্রিয়াকে যেভাবে এনআরসি’র নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তাতে চিন্তিত প্রশাসনিক কর্তারাও। প্রশাসনের তরফ থেকেও মানুষকে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রতি রেশন গ্রাহককে আধার লিঙ্ক করতে হবে নিজ নিজ রেশন কার্ডের সাথে। তাই সকলে যাতে নির্ভুল রেশন কার্ড পান তার জন্য রাজ্য খুবই সাবধানে পা ফেলতে চাইছে। আর এ সকল সরকারি পদক্ষেপের ফলে সৃষ্টি হওয়া নানান গুজবে মানুষ আতঙ্কিত।

মুখ্যমন্ত্রীও মানুষকে অপপ্রচারে কান দিতে বারণ করেছেন। তবুও এই আতঙ্কে মানুষ যে অনেকটাই ভীত সন্ত্রস্ত তা পুজোর সময় আধার, ভোটার ও রেশন কার্ড সংশোধনের লাইন থেকেই স্পষ্ট ধারণা করা যায়। অনেকেই মনে করছেন যে একবার নির্ভুল কার্ড করিয়ে নিতে পারলে আর এনআরসি তালিকাতে নাম থাকবে। তাই জেলা থেকে শহর প্রায় সর্বত্রই পুজোর বাজার কিম্বা অনান্য কাজ ফেলে দলে দলে কার্ডের লাইনে দাড়াতে শুরু করছেন লোকজন।

নারদ কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদন : নারদ কাণ্ডে এই প্রথম গ্রেপ্তার সিবিআইয়ের হাতে। গ্রেপ্তার হলেন আইপিএস অফিসার এফএমএইচ মির্জা। ইতিমধ্যেই তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

সিবিআই প্রথম নারদ কাণ্ডে তার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তার কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করে সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাকে হেফাজতে নিয়ে জানতে চাইবে কি কারনে এই টাকার লেনদেন এবং কেন তিনি এই টাকা নিয়েছিলেন। এই আর্থিক লেনদেনের পিছনে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছেন তার সম্পর্কেও জানা হবে বলে জানা গিয়েছে। নারদ কাণ্ডে ধৃত এই আইপিএস অফিসারকে তোলা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, এখনো পর্যন্ত তাকে যে সকল প্রশ্ন করা হয়েছে সেই সকল প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার দেওয়া তথ্যে অজস্র অসঙ্গতি রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফ থেকে তার ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আরও বাড়াতে চাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

পুজোয় বৃষ্টি নিয়ে সাফ সাফ বার্তা দিলো আবহাওয়া দফতর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালির সেরা পুজো দুর্গাপুজো। আর এই পুজোর আগে আপামর বাঙালির একটাই ভয়, পুজোতে বৃষ্টি হবে না তো! আর পুজোর দিন কয়েক আগেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নিম্নচাপ। তিনদিন ধরে বিক্ষিপ্তভাবে কখনো ভারী, কখনো মাঝারি বৃষ্টি চলছে রাজ্য জুড়ে। বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধ নেই। আটকে পূজা মন্ডপের কাজ, আটকে শেষ কেনাকাটা।

আর এবার এরই মাঝে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হলো পুজোতে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি হতেই পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, মহালয়ার পর রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি আরও বাড়বে।

আবহবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির তীব্রতা কমবে কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না। এমন কি বৃষ্টি হতে পারে মহালয়াতেও। আর সেই বৃষ্টি দেবীপক্ষের দ্বিতীয় দিন থেকে আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে সেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যজুড়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকবে। তবে বাতাসের জলীয়বাষ্প থাকার কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তার ওপর রোদ শুরু হলে তাপমাত্রা বাড়বে তরতরিয়ে, যা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আবহাওয়া তৈরি করবে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মহালয়ায় বৃষ্টি হবে না এমন কথা হলফ করে বলা যাবে না। রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে আরও এক দফায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

অন্যদিকে আগামী ৪৮ ঘন্টায় বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবারের পুজো মাটি করতে পারে পুজোর আগের বৃষ্টি।

বড় খবর : পুজোর আগেই TET-এর তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোর আগেই চাকরি পরীক্ষার্থীদের জন্য সু-খবর দিল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৭৫ জনের তালিকা প্রকাশ করলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার সন্ধ্যায় এই তালিকা পর্ষদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে TET- এ ৬ টি প্রশ্নে ভুল ছিল। এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেই পুরো নাম্বার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

২০১৪ সালের এই TET পরীক্ষা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরেও একবছর থমকে থাকে এই নিয়োগ। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি আজ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে আদালতে হাজির হওয়ার হলফনামা দেন। কিন্তু তার আগেই অতি সক্রিয় হয়ে সংসদ গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় ১৭৫ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে গতকাল যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, “প্রশ্নের উত্তর ভুল মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবরের নির্দেশ মেনে ২০১৪ সালের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET), যার পরীক্ষা ২০১৫ সালের ১১ই অক্টোবর হয়েছিল, তার সঙ্গে যুক্ত ১৭৫ জন মামলাকারী পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট পূনর্মূল্যায়ন করে ফলাফল সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হল।”

গতকাল সন্ধ্যা ৭:৩০ টা থেকেই ফল জানার লিঙ্ক দিয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে। শীঘ্রই উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনের বিষয়ে নিয়ম মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করে হবে বলেও সংসদের তরফে জানানো হয়েছে৷

ফলাফল দেখার জন্য আপনাকে প্রথমে www.wbbpe.org যেতে হবে।

সেখানে দেওয়া বক্সের মধ্যে আপনার টেট পরীক্ষার ৯ ডিজিটের রোল নাম্বার দিতে হবে।

তারপর ‘Submit’ করতে হবে।

তারপরই আপনি দেখতে পাবেন Qualified or not Qualified.

Quantity তে নয়, Quality তে পুজোর সপ্তাহ খানেক আগেই পোশাক হাতে ওরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের দুর্গাপুজো মানে আলাদা অনুভূতি, রঙ-চঙে জামা পড়ে বন্ধুবান্ধব পরিবারের সাথে ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা, হৈ-হুল্লোড়। এই হৈ-হুল্লোড়ে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষেরা তাদের সামর্থ মত নিজের নিজের মতো করে দিনগুলোকে উপভোগ করেন। তা সত্ত্বেও আর্থিক অনটনে পিছিয়ে পড়া বেশকিছু ছোট্ট শিশুরা পুজো প্রতিযোগিতায় নিজেদের হারিয়ে ফেলে।

আমরা যখন হৈ-হুল্লোড়ে মতো থাকি তখনই তাদের দেখা যায় আনন্দে মাতোয়ারা মানুষদের সামনে হাত পাততে। তবে এই সকল দুঃস্থ শিশুদের কথা কেউ ভাবে। তাইতো এরকম বেশ কয়েকজন যুবকের উদ্যোগে পুজো শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগেই হাতে পেল নতুন জামা-কাপড়, তাও আবার বেশ উন্নত মানের।

সিউড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আজ সিউড়ির বারুইপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের হাতে তুলে দিলো নতুন জামা-কাপড়।

স্বেচ্ছাসেবী ওই সংস্থার অন্যতম সদস্য প্রিয়নীল পাল জানান, “পুজোর সময়ে বস্ত্র বিতরণ মানে শুধুই সয়ে সয়ে মানুষ জড়ো করে একটা যেকোনো কিছু পোশাক দিয়ে দেওয়া নয়। আমরা উপহার এই তত্ত্বে বিশ্বাসী Quantity তে নয়, আমরা quality তে। তাই শহরের নামী দামী শপিং মল থেকে ব্র্যান্ডেড পোশাক ক্রয় করে সরাসরি তুলে দিলাম গ্রামের ছোটো ছোটো শিশুদের হাতে। আমরা চাই ভেদাভেদ মুছে দিতে। তাই সেই চিন্তা থেকেই এই কাজ আমাদের। কারণ আমরা নিজেরা শপিং মল থেকে পোশাক পড়ব আর ওদের কম দামি নিম্ন মানের পোশাক দেবো! শুধু ওরা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শিশু বলে তা কখনো হয় না, তাই সুস্থ সমাজের একটা শিশু যেমন পোশাক পরে সেইরকম নামী দামী পোশাকই আমরা তুলে দিলাম এই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শিশুদের হাতে।”

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে LIC! বাজারে ছড়ছে গুজব, কি বলছেন এলআইসি কর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই বাজারে সাধারণ মানুষদের মধ্যে ছড়িয়েছে জীবন বীমা সংস্থা এলআইসি সংক্রান্ত একটি খবর। আর যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত এলআইসি জীবন বীমা সংস্থার পলিসি হোল্ডার থেকে শুরু করে এজেন্টরা। এলআইসি নিয়ে এই খবরে এত আতঙ্ক কিসের! আসলে খবরটি হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এলআইসি নাকি কোটি কোটি টাকা লোকসানে চলছে, আর এলআইসি তাদের সমস্যা বেশি দিন টেনে নিয়ে যেতে পারবে না, এমনকি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না।

তবে এই খবরের সত্যতা কতটা। রটে যাওয়া এই খবর আদৌ কতটা সত্য, বা কতটা মিথ্যা। যার প্রসঙ্গে অনুসন্ধান করতে আমরা সরাসরি যোগাযোগ করেছিলাম এলাইসির সিউড়ি শাখার ডেভেলপমেন্ট অফিসার চন্দন রুদ্রর সাথে। তিনি এই খবর সংক্রান্ত সমস্ত সত্য মিথ্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেন।

তাঁর কথা অনুযায়ী, “ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত গুজব, অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে ভারতীয় জীবন বীমা নিগম (Life Insurance Corporation of India) নাকি লোকসানে চলছে, ৫৭০০০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে, ফলে পলিসি হোল্ডারদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না। এই অপপ্রচারে জনসাধারণ কিছুটা বিভ্রান্তও হচ্ছেন।”

এরপর তিনি বলেন, “প্রথমেই বলে রাখি এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। ভারতীয় জীবনবীমা নিগম এদেশের নিরাপদতম অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান।”

এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু তথ্য দিয়ে তিনি বিষয়টি করেন। বলেন, “১৯৯১ সালে ভারতীয় বাজার খুলে যায় বিশ্বের কাছে। বিভিন্ন সেক্টরে নানা প্রাইভেট কোম্পানি আসে। ইনস্যুরেন্স মার্কেট খোলে ২০০০ সালে। বর্তমানে জীবন বীমা ক্ষেত্রে সরকারী এলআইসি ছাড়াও আরও ২৩টি প্রাইভেট কোম্পানি কাজ করছে। সময়ের সাথে সাথে, মূলত সরকারের ভুল আর্থিক নীতির জন্য, সরকারী সংস্থাগুলো প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে গেছে। সরকারী ব্যাঙ্ক, বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ব্যতিক্রম ভারতীয় জীবন বীমা নিগম। ভারতীয় জীবন বীমা নিগম শুধু এদেশের নয় পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বড় (পলিসি সংখ্যায়) জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। ৩১ শে মার্চ ২০১৯ এর হিসাব অনুযায়ী আমাদের চালু পলিসির সংখ্যা ২৯.০৯ কোটি, মোট সম্পত্তি ৩১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। পলিসি ও প্রিমিয়ামে আমাদের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ৭৪.৭১শতাংশ এবং প্রিমিয়ামে ৬৬.২৪ শতাংশ। ভারতীয় অর্থনীতি যখন খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখনও এই অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে আমাদের প্রিমিয়াম ইনকাম গ্রোথ অবিশ্বাস্য ৪৬.৫২ শতাংশ।”

তিনি আরও জানান, “শুধু তাই নয়, প্রিমিয়াম ইনকামের মার্কেট শেয়ার গতবারের থেকে ৭% বেড়ে ৭৩.০৬ শতাংশ। অর্থাৎ বাকি ২৩ টি প্রাইভেট কোম্পানির সম্মিলিত মার্কেট শেয়ার মাত্র ২৬.৯৪ শতাংশ।”

রটে যাওয়া ভুয়ো খবরের বিপক্ষে তিনি দাবি করেন, “আগেই বলেছি ৫৭০০০ কোটি টাকার ক্ষতির যে অপপ্রচার বাজারে চলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কুতর্কের খাতিরে সেটাকে সত্যি বলেও যদি ধরা হয় তাহলে দেখবেন তা এলআইসি’র মোট সম্পত্তির ২ শতাংশেরও কম। শুধুমাত্র ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সমস্ত পাওনা মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৫৭০০০ কোটি নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে সেটাও গতবারের উদ্বৃত্ত অর্থের মাত্র ১৬ শতাংশ।”

তাঁর দাবি, “ভারতীয় জীবনবীমা নিগম একটি জনকল্যাণকামী সংস্থা, তাই সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে এই সংস্থার অধিকাংশ অর্থ মূলত দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়, যার পরিমাণ ইতিমধ্যে ২২ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা কিছু টাকা শেয়ার মার্কেটেও ইনভেস্ট করি। শেয়ার মার্কেট সর্বদা পরিবর্তনশীল হওয়ায় আপনার আমানতও পরিবর্তিত হয়। একটা সহজ উদাহরণ নেওয়া যাক। ধরা যাক, আপনি ২ বছর আগে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ৩ মাস আগে আপনার ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছিল ১৩০ টাকা। বর্তমানে সেটা কমে হয়েছে ১২০ টাকা। এখন প্রশ্ন হল, আপনি উপরের উদাহরণ থেকে কি বলবেন যে আপনার ১০ টাকার ক্ষতি হয়েছে? নিশ্চয় নয়। আপনি বরং বলতে পারেন আপাতত ভাবে আপনার লাভ ৩০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা হয়েছে। আপনি তো শেয়ারটা বিক্রি করেননি তাহলে লাভ-ক্ষতির হিসেব কোথা থেকে আসবে? শেয়ার মার্কেট চাঙ্গা হলে আবার ওই ২০ টাকার লাভটা বেড়ে আবার ৪০ টাকা হতে পারে। ৫৭০০০ কোটি টাকা ক্ষতির অপপ্রচারটাও ঠিক এমনই। ভারতীয় জীবন বীমা নিগম বিগত চার বছরে শেয়ার মার্কেট থেকে যথাক্রমে ১১০০০ কোটি টাকা, ১৯০০০ কোটি টাকা, ২৫০০০ কোটি টাকা ও ২১০০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। সত্যিটা জানুন,মিথ্যাকে পরিত্যাগ করুন।”

হাতে গোনা কয়েকটা দিন, দুর্গা প্রতিমা বানাতে চরম ব্যস্ততা শিল্পীদের

লাল্টু : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। যে উৎসবের জন্য রয়েছে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। মৃৎশিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে চরম ব্যস্ত, তারই মাঝে বাঁধ সেজেছে নিম্নচাপ। মৃৎশিল্পীর প্রতিমা গড়ার ব্যস্ততার সেই চিত্র ধরা পড়লো হেতমপুরের মৃৎশিল্পী উৎপল সূত্রধর প্রতিমা তৈরির কারখানায়।

প্রতিবছরের মতাে এবছরও তিনি এখন ব্যস্ত। এবার তিনি ১০টি দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছেন। এই প্রতিমাগুলির অধিকাংশ বাইরের। যেমন সিউড়ি, রাজনগর, ডিসেরগড়, লাভপুর, ইলামবাজার, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ ইত্যাদি স্থানের। ক্লাবগুলির বরাত অনুযায়ী তিনি প্রতিমা তৈরি করেন। সারাবছর দুর্গাপুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। অবসর সময়ে সিমেন্ট বা ফাইবারের মূর্তি বানান। তার সঙ্গে সহকর্মীরূপে ১০ জন কাজ করেন।

ছােটোবেলা থেকেই তিনি প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে তিনি প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন।

থিম সম্পর্কে তিনি জানান, সিউড়িতে রাজস্থানী মডেল, বক্রেশ্বরে মধুবনী, ডিসেরগড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করেই তৈরি করেছেন প্রতিমা। আজ থেকে প্রায় ৪৫ দিন আগে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন।

বর্তমান বাজার সম্পর্কে তিনি জানান, “প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই পাল্লা দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। মহালয়ার দিন থেকেই তিনি প্রতিমা ক্লাবগুলির হাতে তুলে দেবেন।”

অন্যান্য সময়ে কালীপুজো বা সরস্বতী পূজার প্রতিমাও তৈরি করে থাকেন বলে জানান উৎপল সূত্রধর।

পুলিশি সফলতায় ফের উদ্ধার ৬ টি মোটরবাইক, গ্রেপ্তার ১

লাল্টু : আন্তঃরাজ্য বাইক চুরি চক্র আটকাতে বীরভূম পুলিশের একের পর এক অভিযান চলছে জেলা জুড়ে। দিন কয়েক আগেই সিউড়ি থানার অভিযানে উদ্ধার হয় ১৯টি চুরি যাওয়া মোটরবাইক। তারপর একের পর এক চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধার হতে থাকে দুবরাজপুর থানার অভিযানে।

কিছুদিন আগেই দুবরাজপুর থানার বিশেষ অভিযানে পুলিশ উদ্ধার করে চুরি যাওয়া ১১টি মোটরবাইক। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় ৪ জন। তাদের জিজ্ঞাসা করে শুরু হয় আবার অভিযান। নতুন করে অভিযান চালিয়ে আবার একজনকে গ্রেপ্তার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ, যিনিও আগের গ্রেপ্তার হওয়া দুষ্কৃতীদের সাথেই মোটরবাইক চুরি করতেন। আর এবারের অভিযানে উদ্ধার হয় আরও ৬টি চুরি যাওয়া মোটরবাইক।

ধৃত ওই ব্যক্তির নাম আক্রম মোল্লা ওরফে ডালিম। তার বাড়ি দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত সাজিনা গ্রামে। ধৃত ব্যক্তিকে আজ দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

খোয়াজ মহঃপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

লাল্টু : অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রামে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনায় ভেঙে পরে একটি কংক্রিটের বাড়ি। বাড়িটিতে সেখ নবির ও সেখ জিহু নামে দুই ব্যক্তি বসবাস করতেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পাশের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে আহত হয় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী সাহিনা খাতুনও।

ঘটনার ঘটনাস্থলে দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায়, ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা। ওই বাড়ির আশেপাশে আর কোন জায়গায় বিস্ফোরক রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনার পরই প্রাথমিকভাবে অনুমান মজুদ বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে এই বাড়িতে।

এই ঘটনার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, “বিজেপির গুন্ডারা বোমা রেখেছে, কি বলবো, ওরা এসব করছে।”

আবার অন্যদিকে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় জানান, “খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রাম দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য, ওই গ্রামে আমাদের কোন সংগঠন নেই। তৃণমূলের লোকেরা এত পরিমান বোমা মজুত রেখেছে রোজ যদি একটা করে বিজেপি কর্মীদের খুন করে তাহলে ওদের বোমা শেষ হবে না।”

তবে এই রাজনৈতিক তরজার মাঝে পুলিশ তাদের নিজেদের তদন্ত চালিয়ে যায়। ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য দুবরাজপুর থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হলেন শেখ জাহির হুসেন এবং শেখ জুম্মন। এরা সম্পর্কে দু ভাই, এদের বাবা শেখ নবিরের খোঁজ চালাচ্ছে দুবরাজপুর থানা পুলিশ।

আজ ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে আদালত তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

পাঁড়ুইয়ে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে গ্রেপ্তার ৮

হিমাদ্রি মন্ডল : গত রবিবার পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত শিমুলিয়া গ্রামে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ চরম আকার ধারন করে। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে ব্যাপক বোমা গুলির লড়াই। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয়।

তৃণমূল বিজেপি তাণ্ডবের পর দুই পক্ষের মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁড়ুই থানার পুলিশ। আজ তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশকে হেনস্থা করা, খুনের চেষ্টা, বিস্ফোরক মজুদ, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ১৪৩, ১৪৪, ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২, ৩০৭, ৩০৮, ৩,৪,৫ বিস্ফোরক আইন, ২৫, ২৭ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়।

ধৃত এই ৮ জনের মধ্যে লক্ষিন্দর বাউরী, শেখ মোজামবেল, শেখ সরীয়দ এই তিনজনের আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে জানানো হয়েছে বঙ্গোপসাগর এবং অসম এই দুই জায়গায় জোড়া ঘূর্ণাবর্তের অবস্থানের ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তরবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের বৃষ্টির পরিমাণ সব থেকে বেশি থাকবে। এছাড়াও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পঙেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকেছে এরাজ্যে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে।

কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, নদীয়া, বীরভূম সহ অন্যান্য জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য কোনও সর্তকতা জারি করা হয়নি।

ভর্তুকি পেতে রেশন কার্ডের সাথে করুন আধার লিঙ্ক, জানুন বিস্তারিত

নিজস্ব প্রতিবেদন : খাদ্য দপ্তরের ফুড কমিশনার মনোজ আগরওয়াল একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের বিষয়ে। সেই নির্দেশিকায় এই প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প এবং রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষার দুটি প্রকল্পে এরাজ্যে ৯ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের ডিজিটাল রেশন কার্ড রয়েছে। তবে এই কার্ড তৈরীর আরও প্রক্রিয়া চলার দরুন আগামী দিনে কার্ডের সংখ্যা আরও বাড়বে। রেশন দোকানে সরকারি প্রকল্পে এই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকি পেতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ করতে হবে। সপ্তাহে দুটি দিন বেছে নেওয়া হয়েছে এই সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।

ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের বিজ্ঞপ্তি খাদ্য দপ্তর গত ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখ জারি করে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে এই সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হবে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল এবং বুধবার রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পস) যন্ত্রে এই নথিভুক্তিকরণের কাজ করা হবে। ব্যাপক চাহিদার কারণ রেশন দোকানে ভিড় এড়াতে গ্রাহকরা এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় অফিসে গিয়েও।

রেশন দোকান সরকারিভাবে সোমবার ছুটি থাকায় সংযুক্তিকরণের ঐ দুদিন বাদে অন্যান্য দিনগুলিতে গ্রাহকরা রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, সমস্ত ডিজিটাল রেশন কার্ড গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণ বড় কাজ। এই কাজ সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগবে।

ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ না করলে আগামী দিনে রেশন দোকানে পাওয়া খাদ্যসামগ্রীতে সরকারি ভর্তুকি পাওয়া যাবে না। তবে কবে থেকে এই ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনো পরিষ্কারভাবে জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্র সরকার আধার সংযুক্তিকরণের জন্য সেপ্টেম্বর মাসকে সময়সীমা হিসেবে দিয়েছে।

এর আগেও এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সময়সূচি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারপরেও দফায় দফায় সেই সময়সূচী বাড়ানো হয়। আর এবারও এই সময়সূচি বাড়ানোর জন্য রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পরিবারের যেকোনো একজন সদস্য রেশন দোকানে অথবা খাদ্য দপ্তরের অফিসে গিয়ে পরিবারের সকল সদস্যের আধার সংযুক্তিকরণের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার সময় গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে যাচাই করা হবে ই-পস যন্ত্রে। পাশাপাশি গ্রাহকের মোবাইল নাম্বার ওই যন্ত্রে নথিভূক্ত করা হবে। রেশন নেওয়ার সময় ওই মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি আসবে যেটি ই-পস যন্ত্রে নথিভূক্ত করতে হবে। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে সরকারের এই পরিকল্পনা।

ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো বীরভূম

লাল্টু : এ যেন থামতেই চায় না, একের পর এক বিস্ফোরণ বীরভূমে, এবার ঘটনাস্থল খয়রাশোল। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানা এলাকার গাংপুর গ্রামে বাবলু মণ্ডলের বাড়িতে ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা।

বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে এলে দেখতে পাই তছনছ হয়ে গেছে পুরো বাড়ি। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই। বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন লোকপুর থানায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী, রাতভর টহলদারিতে রয়েছে লোকপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি গ্রামজুড়ে চলছে তল্লাশি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মজুদ বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ।

বিস্ফোরণ ঘটতে না ঘটতে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা, তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বাবলু মন্ডল বিজেপি সদস্য। পাশাপাশি বিজেপির দাবি বাবলু তৃণমূলের তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্য। বিজেপির সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ঘটনায় নিরঞ্জন মন্ডল এবং মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে লোকপুর থানার পুলিশ। যাদের আজ দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে বাড়ির মালিক বাবলু মণ্ডল পলাতক। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে লোকপুর থানার পুলিশ।

দিল্লী থেকে ফিরে NRC নিয়ে নবান্নে বিবৃতি মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেড় বছরের বাঁধ ভেঙে অবশেষে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এর আগে আড়াই বছর পূর্বে একান্ত বৈঠক হয়েছিল দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। দুজনকে একসাথে শেষ দেখা গিয়েছিল শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে একান্ত বৈঠক নয়, বৃহস্পতিবার তিনি একান্ত বৈঠক করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথেও। তারপরই আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিতে উঠে আসে এনআরসি প্রসঙ্গ।

এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এনআরসি নিয়ে রাজ্যে অহেতুক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, বাংলায় এনআরসি হবে না।

তিনি এও বলেন, “এনআরসি নিয়ে বিজেপি রাজ্যে অপপ্রচার করছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে এনআরসি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বাংলায় এনআরসি হবে না, আমরা করতে দিব না। সকলকে বলবো প্ররোচনায় কান দেবেন না।”

অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য আজ পরোক্ষভাবে উঠে আসে ভোটার ভেরিফিকেশন প্রসঙ্গও। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সবাই দেখে নেবেন ভোটার লিস্টে নাম আছে কিনা।”

এছাড়াও তিনি আজ নবান্ন থেকে বলেন, ময়নাগুড়িতে এনআরসি প্রসঙ্গে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাংলায় এনআরসি হবে না, আমরা করতে দিবো না। আপনাদের গায়ে হাতে দিতে গেলে মমতার গায়ে আগে হাত দিতে হবে।”

শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী! ঘরে ঘরে পাঠানো হবে কার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন : আসছে শারদীয় উৎসব, আর সেই উৎসবকে কাজে লাগিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতে ছবি এঁকে সেই ছবি দিয়ে কার্ড বানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর কাজে নেমে পড়লো তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা সেই কার্ড এবার দুর্গা পূজার আগে পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি তৃণমূল প্রতিনিধিদের হাত ধরে।

আকাশী নীল সাদা রংয়ের সেই কার্ডে মাতৃমূর্তির ছবি এঁকেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্ডের একদিকে রয়েছে ত্রিনয়নী মাতৃমূর্তির ছবি, অন্যদিকে শারদীয় শুভেচ্ছা বার্তা, রয়েছে দীপাবলীর বার্তাও।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যে ফুটে উঠেছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব। বাংলা ভাষার পক্ষে সওয়াল করে তিনি মাতৃমূর্তির অলংকার রূপে বাংলা অক্ষর মালাকে ফুটিয়ে তুলেছেন ছবিতে মাতৃমূর্তির অবয়বে। ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই এমন কার্ড দেখে মনে করছেন, রাজ্যের নাম বাংলা হওয়ার পক্ষে সওয়াল ফুটে উঠেছে এই কার্ডের মধ্যে।

কার্ডের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আপামর জনতার উৎসবের দিনগুলি সুখ-স্বাচ্ছন্দে কাটার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি সম্প্রীতি রক্ষার বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন। কার্ডের ভিতরের পাতায় শরতের আবহ বহনকারী কাশফুল এবং শিউলির ছবি রয়েছে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আপাতত এই কার্ডের অজস্র প্রতিলিপি ছাপানো হয়েছে। সেই কার্ডগুলি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার কাউন্সিলরদের। পাশাপাশি একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়কদেরও।

তবে শারদ শুভেচ্ছা শুধু তৃণমূল নয়, শারদ উৎসব উপলক্ষে বিজেপিও অজস্র স্টিকার ছাপিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সেই স্টিকার বাঙালির দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় প্রতীক পদ্মকে স্টিকারে রেখে উৎসব নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।

কিভাবে হবে ভোট গণনা! জেনে নিন খুঁটিনাটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসব প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের লড়াই শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ১১ ই এপ্রিল। মোট ৭টি দফায় ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ১৯ শে মে। ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের গণনা ২৩ মে। সেদিন সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে।

আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা আর তারপরই দেশের রাজনীতির সাথে সাথে বঙ্গ রাজনীতির গোটা অঙ্কের হিসাব পাওয়া যাবে। কার হবে জয়, কার হবে হার তা জানা যাবে আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ শে মে। ভোটের ফল কী হবে তা জানতে আমরা আগ্রহী ঠিকই। কিন্তু কিভাবে ভোট গণনা হয় বা ভোটগণনার পদ্ধতি কী তা কি আমরা জানি? অধিকাংশের উত্তরই হয়তো না হবে। তাহলে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভোটগণনার খুঁটিনাটি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দেশের ৫৪৩ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে মোট পাঁচটি পদ্ধতিতে। প্রথমেই গণনা করা হবে পোস্টাল ব্যালটের। অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে ৫৮ দিন গণনা কেন্দ্রে।

তারপর গণনা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। তিনটি খামের ভিতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট। প্রথমেই খোলা হবে একেবারেই প্রথমের খাম, তারপর দ্বিতীয় খাম, যেখানে থাকবে সার্ভিস ভোটের ডিক্লেয়ারেশন। তারপর তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট। এই খামের ভেতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে কিউআর কোড। এই কোডকে স্ক্যান করা হবে। যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে।

এরপর গণনা হবে ইভিএম। গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। এরপরই ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভায় প্রায় ১৪টি টেবিল ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড। এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা করা হবে। দেখা যায় যদি কোনো কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তাহলে সেই কন্ট্রোল ইউনিটের ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে।

কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষেই শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট বেছে নেওয়া হবে। যাদের আনা হবে স্ট্রং রুম। তারপর সেগুলি একসাথে গণনা হবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে আনুমানিক ২ ঘন্টা।

প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা। স্ট্রং রুমে থাকবে প্যারা মিলিটারি ফোর্স। এক প্লাটুনের কিছু বেশি সংখ্যায় থাকবে এই বাহিনী। স্ট্রং রুমের লাগোয়া থাকবে কাউন্টিং হল। কাউন্টিং হলের ভেতর থাকবে সিএপিএফ। কাউন্টিং হলের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। তার বাইরে থাকবে কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। এই জায়গা থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকবে পেদেস্ট্রিয়ান জোন। যেখানে থাকবেন পুলিশ আধিকারিক ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকরা। গণনাকেন্দ্র চত্বরে সমস্ত রকম গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারবেন। বাইরে ১৪৪ ধারা থাকবে গণনার দিন সকাল থেকেই। দেশের সমস্ত গণনাকেন্দ্রে একই নিয়ম লাগু থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে কোন রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে কড়া নজর থাকবে কমিশনের।

প্রতিটি রাউন্ডের গণনা শেষ হলেই রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে লিখে দিবেন একটি বোর্ডে। অন্যদিকে মাইকিং করেও বাইরে ঘোষণা করা হবে।

ঘোষণা শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর।

ভোটের কর্মীদের ভোটগণনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাছাই হয়। গণনার একসপ্তাহ আগে তাদের একটি গণনা কেন্দ্রের জন্য তাদের নির্বাচিত করা হয়। তারপর চলে তাদের প্রশিক্ষণ। কোন গণনা কেন্দ্রের জন্য একজন ভোট কর্মীকে সেখানে পাঠানো হবে তা তিনি গণনার ২৪ ঘন্টা আগে জানতে পারবেন।

ভোটগণনার দিন সকাল ৫ টায় ভোটকর্মীদের টেবিল দেওয়া হয়। প্রত্যেক গণনা টেবিলে থাকবে একজন করে সুপারভাইজার। এছাড়াও থাকবেন একজন সহকারী এবং একজন মাইক্রো অবজার্ভার।

প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনার জন্য থাকবেন একজন করে পর্যবেক্ষক। তারা রিপোর্ট দিবেন নির্বাচন কমিশনে। প্রতি রাউন্ড গণনা শেষে, পর্যবেক্ষকরা ফল মূল্যায়নের জন্য যেকোনও ২ টি ভোটিং যন্ত্র বেছে নেন। প্রত্যেক রাউন্ডের পর ভোট গণনার কার্যপ্রণালী একাধিক বার পরীক্ষা করার পর কমিশনে জানান। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে সাধারনের জন্য ফলের প্রবণতা জানাতে থাকেন। গণনার শেষে সংখ্যাগুলি ৩ বার করে পরীক্ষা করেন পর্যবেক্ষকরা, এবং প্রত্যেক টেবিলের ভোটগণনার কর্মীকে যাচাই করার পর রিটার্নিং অফিসারকে ফল ঘোষণা করতে বলা হয়।

পর্যবেক্ষকরা ছাড়া গণনাকেন্দ্রের ভিতর অন্য কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারেন না। ভোটগণনা চলাকালীন কোনও ভোট কর্মী সেখান থেকে বেরোতে বা ঢুকতে পারবেন না।