India Bangladesh: বাংলাদেশের ওপরে বড় কোপ ভারতের! ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে কোন দুর্যোগ ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশের কপালে?

সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে মহম্মদ ইউনুস ভারতের ‘সেভেন সিস্টারের’ প্রসঙ্গ তোলেন। এমনকী সি জিন পিংয়ের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের সমুদ্রপথকে ব্যবহারের জন্য চিনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। বাংলার গা ঘেষে চিনের বন্দর গড়ার কথাও তোলেন প্রধান উপদেষ্টা। আর তাতেই চরম ক্ষুব্ধ ভারত। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কার্যত ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ বাংলাদেশে। বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা থেকে বাতিল করে দিয়েছে ভারত।

যার ফল স্বরূপ বাংলাদেশ আর ভারতের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে ব্যবসার সুযোগ পাবে না। আর তাতেই হাহাকার পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীকমহলে। আটকে গিয়েছে রফতানি। এমনকী যে সমস্ত মালবাহী ট্রাক ছিল সেগুলিও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশের মাথায় হাত পড়েছে দেশীয় পণ্য বিশেষত বস্ত্র রপ্তানির বিষয়কে কেন্দ্র করে। তবে ভারতের এহেন সিদ্ধান্তে বিচলিত না হয়ে একবারে উল্টো সুর শোনা গেল বাংলাদেশের গলায়।

আরও পড়ুন: Amit Shah: অমিত শাহের হুঁশিয়ারির পরেই অস্বস্তি বেড়েছে পাকিস্তানের! ভয়ে কোন পথ বেছে নিল পাকিস্তান?

বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের তরফে জানা গিয়েছে, ‘ভারত আচমকাই ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করলেও বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না’। উপরন্তু নিজেদের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ সরকার। যার ফলে বাণিজ্য ক্ষমতা আরও ফুলেফেপে উঠবে। ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের এর সুবিধা বাতিল করার পর বুধবার রাতেই এই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। এই বিষয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়।

আর এরপরেই বাণিজ্য উপদেষ্টা দাবি করে, ভারতের এহেন সিদ্ধান্তে নাকি কিছুই সমস্যা নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশের রফতানি বাজার যে ধ্বসের মুখে পড়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন বহু ব্যবসায়ীই। প্রসঙ্গত, ট্রান্সশিপমেন্টের এর এই সুবিধার মধ্যে স্থল,নৌ বা আকাশপথে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। বুধবার সেই চুক্তি সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হয় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এর তরফে।

ইতিমধ্যেই ভারতের এই পদক্ষেপের পর বাংলাদেশের তরফে পাল্টা কোনও ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া আসবে কিনা সে বিষয়ে জলঘোলা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা এর তরফে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ এখন সেসব নিয়ে ভাবছে না। বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশ এখন কিভাবে তাদের ব্যবসাকে আরও উন্নত করা যায় সেই চেষ্টাতেই মন দিয়েছে।