রোজের একঘেয়ে জীবন থেকে একটু ছুটি পেলেই মন ছুঁয়ে দেখতে চায় তুলির টানে আকা শান্ত মনোরম পরিবেশকে। বছরের অধিকাংশ সময়েই তাই ভিড় থাকে পাহাড় বা সমুদ্রে। তা ছকে বাঁধা দীপুদা থেকে তো বহুবার ঘুরে এসেছেন, এবার দুই তিনদিনের ছুটিতে হাওয়া বদল করতে বেছে নিতে পারেন পুরুলিয়ার কাছেই অবস্থিত দুয়ারসিনিকে। রাঢ়বঙ্গের বুকে দাঁড়িয়ে মালভূমি অঞ্চলের অন্যতম সেরা আকর্ষণ দুয়ারসিনি। ছোট ছোট পাহাড়ের কোলের মধ্যে দেখা মিলবে শাল-পিয়ালের বন। একইসাথে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন জঙ্গল, পাহাড় ও নদী তিন প্রাকৃতিক সৃষ্টিকেই।
দুয়ারসিনির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে শান্ত সুন্দর সাতগুড়ুং নদী। নিরিবিলি নদীর তীরে কিছুটা ভাল সময় উপভোগ করতে পারেন। আবার গাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুরে দেখে আসতে পারেন টটকো জলাধার রেক। কাছাকাছির মধ্যে দর্শনীয় স্থান হিসেবে রয়েছে ময়ূরঝর্না ও আমলাশোল। একইসাথে গাড়ি ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন গালুডি জলাধার, বুরুডি জলাধার ও ধারাগিরি জলপ্রপাত এর উদ্দেশ্যে। এই জায়গা ঘাটশিলা থেকে কাছে হওয়ার দরুন গাড়িতে করে রওনা দিতে পারেন বিভূতিভূষণের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি গৌরীকুঞ্জ থেকেও। তাঁর লেখায় এই অঞ্চলের অরণ্যের বিষয়ে তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: RAC Ticket: হাতে RAC টিকিট থাকলেও মিলবে গোটা বেডরোল! ভারতীয় রেলের নয়া উদ্যোগ
কীভাবে পৌঁছানো যাবে দুয়ারসিনির কোলে?
খুব কম সময়েই কলকাতা থেকে বান্দোয়ানের সড়কপথে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বাস ধরতে হবে। বান্দোয়ান থেকে ছোট গাড়ি বা ট্রেকার দুয়ারসিনি পর্যন্ত রওনা দেয়। অন্যদিকে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ট্রেনে করেও হাওড়া থেকে রওনা দিতে পারেন। ওই ট্রেনে করে প্রথমে ঘাটশিলা বা গালুডি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে দুয়ারসিনির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন।
দুয়ারসিনিতে পর্যটকদের রাত্রিবাসেরও কিন্তু সু-ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বা বনবিভাগের নিজস্ব কটেজ রয়েছে পর্যটকদের জন্য। রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট থেকে দ্রুত এই কটেজ অনলাইনে বুকিং করা যায়।