LIC তে চাকরির সুযোগ, একাধিক শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্ন চাকরি। আর তারা বিশেষ করে সরকারি চাকরির জন্য উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু দেশে দিনের পর দিন কর্মসংস্থানের অভাবে বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে মাঝে মাঝে বেশ কিছু নিয়োগও হয়, যাতে সুযোগ পান এই সকল বেকার যুবক যুবতীরা। আর এই নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার রাষ্ট্রায়াত্ত ইন্সুরেন্স সংস্থা এলআইসি তাদের কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করলো। তারা ২১৮টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।

অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার-AE, অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার -AAO, অ্যাসিস্টেন্ট আর্কিটেক্ট- AA সহ বিভিন্ন পদে তারা নিয়োগ করতে চলেছে।BETTech, BEE, MTT, MEE ডিগ্রিধারীরা এই পদগুলির জন্য আবেদন করতে পারবেন৷

অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (AE) : এই পদের জন্য মোট শূন্য আসন সংখ্যা ৫০। অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) পদের শূন্য আসন সংখ্যা -২৯, অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিকাল) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-১০, অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিকাল) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-১০, অ্যাসিস্টেন্ট আর্কিটেক্ট (এই) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৪, অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচারাল) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৪ অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিকাল/মেকানিকাল) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৩৷ অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডিমিনস্ট্রেটিভ অফিসার (এএও) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-১৬৮, অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডিমিনস্ট্রেটিভ অফিসার (এসিইউ) ওয়াইএল) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৩০, অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডিমিনস্ট্রেটিভ অফিসার (লিগাল) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৪০, অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডিমিনস্ট্রেটিভ অফিসার (রাজভাষা) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৮, অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডিমিনস্ট্রেটিভ অফিসার (আইটি) পদের জন্য শূন্য আসন সংখ্যা-৫০।

পদের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতন কাঠামো রয়েছে। আবেদন ফি জেনারেল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ৭০০ টাকা। তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ৭৫ টাকা। আবেদনের পর এই ফি জমা দিতে হবে ব্যাঙ্কে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, অনলাইনে মেন পরীক্ষা, ইন্টারভিউ ও শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে। এলআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.licindia.in -এ আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন করার বিষয়ে অথবা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।

১৬ই মার্চ থেকে বাতিল হতে পারে বেশকিছু ATM কার্ডের বিশেষ পরিষেবা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে এটিএম কার্ড সকলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই এটিএম কার্ড ডেবিট কার্ড হোক অথবা ক্রেডিট কার্ড। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নয়া নির্দেশিকা অনুসারে বিশেষ কিছু কার্ডের বেশকিছু বিশেষ পরিষেবা বন্ধ হতে পারে ১৬ই মার্চের পর থেকে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এহেন পদক্ষেপ দিনের পর দিন বেড়ে চলা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে বলে জানা গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পদক্ষেপ অনুসারে যেসকল এটিএম কার্ড কোন দিন অনলাইন কেনাকাটায় ব্যবহার করা হয়নি সেই সকল এটিএম কার্ডের অনলাইন লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও ১৬ ই মার্চের পর থেকে নতুন করে ইস্যু করা এটিএম কার্ডের ক্ষেত্রেও বেশ কতকগুলি নিয়ম বদলের কথা বলা হয়েছে।

চলতি বছর ১৫ই জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়, যাতে বলা হয়, নতুন যে সকল এটিএম কার্ড ইস্যু অথবা পুনর্নবীকরণ করা হবে সেগুলি কেবলমাত্র ঘরোয়া অর্থাৎ দেশের মধ্যে কেনাকাটার বন্দোবস্ত রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক লেনদেন, অনলাইন লেনদেন ইত্যাদির ক্ষেত্রে পরিষেবা পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের আলাদা করে আবেদন করতে হবে। আর আগামী ১৬ তারিখ থেকে এই সকল নিয়ম চালু হয়ে যাচ্ছে।

অর্থাৎ ১৬ তারিখের আগে পর্যন্ত যে সকল গ্রাহকরা তাদের এটিএম কার্ডে আন্তর্জাতিক, অনলাইন লেনদেন করেননি তারা আর পরবর্তী ক্ষেত্রে এই বিশেষ সুবিধাগুলি উঠাতে পারবেন না।

হোলিতে নোটে রং লেগে গেছে, রইলো RBI-এর নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দোল অথবা হোলি খেলার সময় রং তো লাগবেই। আর শরীরে, জামা কাপড়ে রং লাগার সাথে সাথে পকেটে থাকা নোটেও লেগে যায় রং। যা নিয়ে বড্ড অসুবিধায় পরতে হয় আমাদের। দোকানদাররা রং লাগানো কোনমতেই নিতে চান না। শুধু দোকানদাররা বলেই নয়, সবাই রং লাগানোর নিতে অস্বীকার করেন। আর যে কারণে আমরা খুঁজে পাইনা রং লাগা ওই নোট নিয়ে কি করবো?

তবে রং লাগানোর নোট পরিবর্তন বা বদলানো যেতে পারে ব্যাঙ্কে। কারণ ২০১৭ সালের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি নির্দেশিকা বলছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনো নোট পরিবর্তন বা বদলে দেওয়ার কথা অস্বীকার করতে পারে না। তবে সেই নোট অবশ্যই আসল হতে হবে, নকল হলে চলবে না। পাশাপাশি নোটের গায়ে কোন রকম রাজনৈতিক স্লোগান লেখা থাকা চলবে না।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য নোট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশিকা জারি করলেও পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে, নোট ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নোটে রং লাগানো অথবা নোংরা করা থেকে বিরত থাকতে হবে বা এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে চিঁড়ে না যায়। এতে দেশের জাতীয় সম্পদের ক্ষতি।

পাশাপাশি আরবিআইয়ের তরফ থেকে এটাও বলা হয়েছে, কোন ছেঁড়া বা রং লাগানো নোট বদলানোর সময় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে দেখে নিতে হবে সেই নোট ইচ্ছাকৃতভাবে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে কিনা। যদিও এমনটা বোঝা খুব কষ্টকর তবে একটু ভালোভাবে দেখলে তা বোঝাও সম্ভব। এছাড়াও বাতিল হয়ে যাওয়া নোট কোনভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

২০০ ও ২০০০ টাকার নোট বদলানোর নিয়ম

নতুন নির্দেশিকায় নোট বদলানোর ক্ষেত্রে ২০০ ও ২০০০ নোট সংযোজন করতে ২০০৯ সালের নোট রিফান্ড আইনের সংশোধন করেছে RBI। তাতে নতুন ২০০০ ও ২০০ টাকার নোট বদলের নতুন নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০০ টাকার ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যা বলা হয়েছে। যদি আপনার ২০০০ টাকার ছেঁড়া নোটের আকার ৮৮ বর্গ সেন্টিমিটার পর্যন্ত থাকে তাহলে আপনি ২০০০ টাকায় ফেরৎ পাবেন। সেরকমই যদি ৪৪ বর্গ সেন্টিমিটার পর্যন্ত নোটের অংশ সুরক্ষিত থাকে তাহলে অর্ধেক মূল্য ফেরত পাবেন। সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ২০০০ হাজার টাকার নোটের আকার ১০৯.৫৬ বর্গ সেন্টিমিটার।

২০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রেও একই রকম পদ্ধতি বা নিয়ম। নোটের ৭৮ বর্গ সেন্টিমিটার সুরক্ষিত থাকলে পাবেন পুরো মূল্য ও ৩৯ বর্গ সেন্টিমিটার সুরক্ষিত থাকলে পাবেন অর্ধেক টাকা।

ব্যাঙ্কে থাকা আপনার টাকা কতটা সুরক্ষিত, বিবৃতিতে জানালো RBI

নিজস্ব প্রতিবেদন : আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন মূলধন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন আকারে রেখে থাকি। কেউ জীবনের সঞ্চিত অর্থ ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সঞ্চয় করেন, কেউ আবার তাদের উপার্জনের সঞ্চিত অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট অথবা অন্যান্য বিভিন্ন উপায়ে ব্যাঙ্কে সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু ভারতে পরপর দুটি ব্যাঙ্ক পিএমসি ব্যাঙ্ক ও ইয়েস ব্যাঙ্কে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ায় রীতিমত শঙ্কিত দেশের ব্যাঙ্ক আমানতকারীরা। তাদের মধ্যেও একটাই প্রশ্ন, “আমাদের উপার্জিত অর্থ ব্যাঙ্কে রাখাটা সুরক্ষিত তো?”

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকেই মনে করছেন আর তাদের টাকা ব্যাঙ্কে রাখাটা আর নিরাপদ নয়। বছরের পর বছর ধরে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যাঙ্কে রাখার পর সেই ব্যাঙ্ক যদি হঠাৎ করে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে যায় তাহলে তাদের টাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে। আর এমন প্রশ্ন উঠতেই ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রশ্নের সম্মুখীন। তবে তারা অবশেষে ব্যাঙ্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের বিবৃতি প্রকাশ করল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে এমন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

ব্যাঙ্কের আমানত নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠার মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “দেশের প্রতিটি ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থ পুরোপুরি সুরক্ষিত।” অর্থাৎ এই বিবৃতির মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দেশের মানুষদের আশ্বস্ত করেছে।

পাশাপাশি তারা এও জানিয়েছে, “ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ প্রশ্ন তুলছে। যে ধরনের বিশ্লেষণের উপর এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সেই বিশ্লেষণ ত্রুটিপূর্ণ। কোন ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হবে কিনা তা মার্কেট ক্যাপ নয় বরং আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে মূলধনের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।”

তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যতই বিবৃতি প্রকাশ করুক না কেন মাত্র ছয় মাসের মধ্যে পরপর দুটি ব্যাঙ্কের এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিপুল পরিমাণে ভীতির সঞ্চয় হয়েছে তা অনস্বীকার্য। বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে কেন্দ্রের শাসনে আসার পর দেশে ডিজিটাল লেনদেনের ওপর বারংবার জোর দিয়েছে। কিন্তু এই মোদি সরকারের আমলেই পরপর দুবার ব্যাঙ্কের এই হাল হয় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ডিজিটাল লেনদেন নিয়েও। এখন দেখার বিষয় এই ভীতি মানুষের মন দূর করতে কি পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্র সরকার।

বাদ পড়লেন না জগন্নাথ দেব, শঙ্কায় Yes Bank-এ থাকা ৫৪৫ কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরের বিপুল পরিমাণ অর্থ ‘Yes Bank’-এ মজুত থাকায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে রয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট, আর ৪৭ কোটি টাকা রাখা ছিল ফ্লেক্সি অ্যাকাউন্টে। যদিও ফ্লেক্সি অ্যাকাউন্টের টাকা আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু আশঙ্কা ৫৪৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেখানকার প্রত্যেকটি দল।

গত এক বছর ধরে বিপুল পরিমাণে ঋণের বোঝা ও তহবিলে টান ধরায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কেন্দ্রের সাথে কথা বলে ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে পদক্ষেপ নেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দেয়, ৩রা এপ্রিলের মধ্যে ৫০০০০ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। যার ফলে সমস্যায় পড়েন ওই ব্যাঙ্কের প্রায় ২৯ লক্ষ গ্রাহক। এই সকল বেশিরভাগ গ্রাহকদের ওই ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্টের রয়েছে দু লক্ষ টাকার বেশি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশনা অনুসারে ৩ রা এপ্রিল পর্যন্ত ইয়েস ব্যাঙ্ক কোনো রকম ঋণও দিতে পারবে না। ব্যাঙ্কের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে বসানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কুমারকে প্রশাসক পদে।

আর ব্যাঙ্কের এই দুর্দশার কারণে শুক্রবার শেয়ারবাজার খুলতেই ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম ৮৫ শতাংশ পড়ে যায়। তবে তারই মাঝে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আশ্বাস দেন, ইয়েস ব্যাঙ্কে থাকা গ্রাহকদের টাকা সুরক্ষিত আছে। পাশাপাশি তিনি এও আশ্বস্ত করেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের এক বছরের বেতন মজুদ রয়েছে। আর এই আশ্বাসের পর এই কিছুটা হলেও শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। ইয়েস ব্যাঙ্কের এমন পরিস্থিতিতে ওই ব্যাঙ্কের সাথে যুক্ত থাকা মোবাইল ওয়ালেট, ই-কমার্স ও ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির উপরও প্রভাব পড়েছে।

তবে জগন্নাথ মন্দিরের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অর্থ কেন ইয়েস ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছিল তার সম্পর্কে জানা যায়, শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রাক্তন চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মন্দিরের টাকা ইয়েস ব্যাঙ্কে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল, এর ফলে বেশি সুদ পাওয়া যাবে। তবে এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে দাবি করেছেন পুরীর প্রাক্তন বিধায়ক বিজেডি নেতা মহেশ্বর মোহান্তি।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা সুরেশ রাওতারি অভিযোগ করেছেন, কেন তারা মন্দিরের সম্পত্তির অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে না রেখে বেসরকারি ব্যাঙ্কে রাখলেন। মন্ত্রীর সম্পত্তির অর্থের অপব্যবহার তারা সহ্য করবেন না বলেও জানান। এই অর্থ তাড়াতাড়ি উদ্ধার করতে হবে, আর তা না হলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে। মন্দিরের অর্থের এমন সংকট অবস্থায় একই সুর শোনা গেছে বিজেপি নেতা ভৃগু বক্সিপাত্রের মুখেও।

ছেঁড়া ফাটার চিন্তাকে দূর করে বাজারে আসছে নতুন ১০০ টাকার নোট

নিজস্ব প্রতিবেদন : নোট নিয়ে আমাদের সবসময় যে চিন্তা থাকে তাহলে ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ফেটে যাওয়া। আর এবার সেই ছেঁড়া ফাটা চিন্তা থেকে হয়তো মুক্তি মিলতে চলেছে। সর্বভারতীয় একটি সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বাজারে এমন এক ধরনের নোট আসতে চলেছে যা এত সহজে ছিঁড়বেও না অথবা ফাটবেও না। এমনকি সেই নোট জলে পড়ে গেলে গলেও যাবে না।এরকম বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ১০০ টাকার নতুন নোট হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আপনার হাতে আসতে পারে।

সর্বভারতীয় ওই সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী বলা হয়েছে, ভারতীয় বাজারে নতুন ধরনের ১০০ টাকার নোট আসতে চলেছে। যে নোট এখন থেকে ছিঁড়বে না বা ফাটবে না। জলে পড়লেও সহজে গলবে না। এই ১০০ টাকার নোট দেখতে হবে অবিকল এখনকার নোটের মতই হবে। কিন্তু এই নোটে থাকবে বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য। আর সেই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এই নোটগুলিকে পকেটে ভরে রাখলেও নষ্ট হবে না। আশা করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই বেগুনি রঙের এই নতুন নোট বাজারে আসতে পারে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ১ বিলিয়ন নোট ছাপাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই সকল রুটের বৈশিষ্ট্য।

দেশের পাঁচটি শহরে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই নোট চালু করা হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে।

বাজারে আসতে চলা নতুন ১০০ টাকার নোটে বার্নিশ করা থাকবে। যে কারণে এই নোট ছিঁড়বে না অথবা ফাটবে না। জলে পড়ে গেলেও গলবে না।

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় অনুরাগ সিং ঠাকুর নতুন এই নোটের বিষয়ে জানান। তিনি বলেন দেশের পাঁচটি শহর শিমলা, জয়পুর, ভুবনেশ্বর, মিসৌর ও কোচিতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই নোট চালানো হবে। এই নোট দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলেও বহুদিন পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য থাকবে।

নতুন এই ১০০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য

বাজারে আসতে চলার নতুন এই ১০০ টাকার নোট বর্তমান নোটের মতই গান্ধী সিরিজের হবে। এমনকি এই নোটের আকার আকৃতি ও ডিজাইন বর্তমান নোটের মতই থাকবে। কেবলমাত্র এই নোটগুলিতে বার্নিশ করা থাকবে। বর্তমানে বাজারে চলা নোটগুলি ২ থেকে ৩ বছর দীর্ঘায়ু হয়। কিন্তু আসতে চলা এই নতুন নোটের দীর্ঘায়ু হবে কম করে ৭ বছর। নতুন এই নোটগুলি বানাতে ২০ শতাংশ বাড়তি খরচা হবে। অর্থাৎ বর্তমানে ১০০ টাকার হাজারটি নোট ছাপাতে যেখানে খরচ হয় ১৫৭০ টাকা, সেখানে এই নোটগুলি ছাপাতে আরও ২০ শতাংশ আলাদা খরচ হবে।

মার্চে ১৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, ছুটির তালিকা দেখে কাজ সারুন

নিজস্ব প্রতিবেদন : মার্চ মাসে মোট দিনের সংখ্যা ৩১। তার মধ্যে ১৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। এর ফলে অবশ্য ভোগান্তির শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষদের। জাতীয় ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও আঞ্চলিক ছুটির মিলিয়ে মার্চে এই ব্যাঙ্ক বন্ধের দিন মোটামুটি ১৩। মার্চ মাসের সবথেকে বড় উৎসব দোল বা হোলি। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেই বেশ বড় করে পালন করা হয় এই উৎসব। এর ফলে কোনো কোনো অঞ্চলে আবার কোথাও কোথাও দু’দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। তাই ছুটির তালিকা দেখে কাজ সারুন।

রিসার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণা করা ছুটির তালিকা অনুযায়ী মার্চ মাসে ৮টি জাতীয় ছুটির দিন বা ন্যাশনাল হলিডে থাকবে, যেসব দিনে ভারতে বন্ধ থাকবে বন্ধ। তবে তার সাথেই আছে পাঁচটি আঞ্চলিক ছুটির দিন যার মধ্যে আছে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের গুধি পারোয়া বা উগারি, আবার ঝাড়খণ্ডে আছে সারহুল উৎসব ইত্যাদি।

পাঁচটি রবিবার ও দু’টি শনিবার সহ হোলি মিলিয়ে মার্চে ব্যাঙ্কের সর্বভারতীয় ছুটির দিন ৮টি। এরই সঙ্গে জুড়ছে কর্মীদের ধর্মঘটের জন্য বাড়তি ছুটি। বেতন বৃদ্ধির দাবি ও ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা সহ একাধিক দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি। একই দাবিতে গত ৩১ শে জানুয়ারি ধর্মঘটে শামিল হয়েছিল ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি। কিন্তু ওই ধর্মঘটের পর সরকার ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই ফের তারা টানা তিন দিনের ধর্মঘট ডাকে। যদিও এই ধর্মঘটের মার্চ মাসে হচ্ছে না জানায় ইউনিয়নগুলি।

মার্চ মাসে কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক জাতীয় ছুটি

  • ১লা মার্চ ২০২০ – রবিবার।
  • ৮ ই মার্চ – রবিবার
  • ১০ ই মার্চ – হোলি – মঙ্গলবার
  • ১৪ ই মার্চ – দ্বিতীয় শনিবার
  • ১৫ ই মার্চ – রবিবার
  • ২২ মার্চ – রবিবার
  • ২৮ মার্চ – চতুর্থ শনিবার
  • ২৯ মার্চ – রবিবার

আঞ্চলিক ছুটি

  • ৬ ই মার্চ – চাপচার কুট – শুক্রবার
  • ৯ ই মার্চ – হোলিকা দহন, দোলযাত্রা, হজরত আলির জন্মদিন – সোমবার
  • ১১ ই মার্চ – হোলি
  • ২৫ মার্চ – গুধী পারয়া, উগারী, প্রথম নবরাত্রা
  • ২৭ মার্চ – সরহুল

৬ ই মার্চের ছুটিটা আইজলের ব্যাঙ্কগুলির জন্য, ৯ ই মার্চের ছুটি অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবাংলার ব্যাঙ্কগুলির জন্য ১১ ই মার্চ বিহার ও ঝাড়খণ্ডের ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ থাকবে। ২৫ মার্চের ছুটি অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, লাদাখ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, গোয়া ও জম্মু কাশ্মীরের ব্যাঙ্কগুলির জন্য এবং  ২৭ ই মার্চের ছুটিটা শুধুমাত্র ঝাড়খণ্ডের ব্যাঙ্কগুলির জন্য। সব মিলিয়ে পুরো দেশে মার্চ মাসে ১৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

হাতে মাত্র ১ মাস, Aadhaar আর Pan লিঙ্ক না করালেই জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করিয়েছেন তো? আর কিন্তু বেশি সময় নেই। এই মার্চের ৩১ তারিখের মধ্যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক না করলে কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাবেন।

এই সময়ের মধ্যে সংযুক্তিকরণ না করা হলে কী কী সমস্যা হতে পারে জেনে নিন?
আপনি যদি ইতিমধ্যেই আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ডের লিঙ্ক না করান তাহলে ১ লা এপ্রিল আপনার প্যান কার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। এর সাথে আপনাকে দিতে হবে কিছু টাকা জরিমানাও।

২০১৯ এর ডিসেম্বরে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেসের (CBDT) পক্ষে থেকে একটি বিঞ্জপ্তি জারি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে আধার ও প্যান সংযুক্তিকরণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে। সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করে সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে।

আয়কর আইনের ২৭২B ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি প্যান কার্ড বাতিল হ‌ওয়ার পর‌ও তা ব্যবহার করেন তবে তার ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি জরিমানা হবে। এই নিয়ে আটবার সময়সীমা বাড়ানো হলো। এইবার আর দেরি করবেন না।CBDT বলেই দিয়েছে এইবারের পর আর তারা সময়সীমা বাড়াবে না। তাই এই চলতি মাসে যদি অবহেলা করে সংযুক্তিকরণ না করেন তাহলে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়বেন।

তাই সময় থাকতে অর্থাৎ আগামী একমাসের মধ্যেই আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড নম্বরটি লিঙ্ক করে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি মনে করেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বেড়ে যাবে, তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই, তাহলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারেন।

আধার ও প্যান আপনি কীভাবে সংযুক্তিকরণ করবেন জানেন তো?

এই পুরো পদ্ধতিটি দুভাবে সম্পন্ন করা যায়। একটি অনলাইনে অপরটি অফলাইনে। অনলাইনে আয়কর দপ্তরের সরকারি পোর্টালে আপনি লগ ইন করুন। এরপর আয়কর দপ্তরের হোম পেজে গিয়ে ‘লিঙ্ক আধার’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। অফলাইনে দুই রকমভাবে আপনি কাজটি করতে পারেন। কোনও তথ্য মিত্র কেন্দ্রে গিয়ে অ্যানেক্সচার-১ ফর্ম ফিলাপ করুন। অথবা আপনার মোবাইলে লিখুন, UIDPAN একটা স্পেস দিয়ে আপনার আধার নম্বর লিখে পুনরায় স্পেস দিয়ে প্যান নম্বর দিন। এই ম্যাসেজটি এবার ৫৬৭৬৭৮ বা ৫৬১৬১ নম্বরে পাঠাতে হবে। তাহলেই আপনার কাজ শেষ। তাই মার্চ মাস শেষ হ‌ওয়ার আগেই কাজটি শেষ করুন‌।

ডিজিটাল লেনদেনে নয়া পদক্ষেপ, জরিমানা এড়াতে সময়সীমা বেঁধে দিলো কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিজিটাল ইন্ডিয়ার একটা কথা নিশ্চয়ই সবাই শুনেছেন – ‘গো ক্যাশলেস’। এবার এই অর্থনৈতিক পদ্ধতির ভীতকে আরও মজবুত করার জন্য এবার নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করলো কেন্দ্র সরকার যা লাগু হতে চলেছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই।

এই নতুন নিয়ম অনুসারে যেসব ব্যবসায়ীদের বার্ষিক ব্যবসার লেনদেন ন্যুনতম ৫০ কোটি তারা গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্ট করার সুবিধা দেবে গ্রাহকদের। আর যদি তা দিতে না পারে তবে প্রতিদিন ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসুল দিতে হবে। RuPay ও UPI-র মাধ্যমে এই ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে কিন্তু থাকবে না Merchant Discount Rate (MDR)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমনের মতে এইরকম লেনদেনের ক্ষেত্রে BHIM UPI, UPI-QR Code, আধার পে ও নির্দিষ্ট কিছু ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।

সম্প্রতি Central Board of Direct Taxes (CBDT) একটি নির্দেশিকা জারি করেছে যাতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীদের এই পরিষেবা ২০২০ সালের ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে চালু করতেই হবে। ফিন্যান্স অ্যাক্ট 271DB অনুযায়ী যেসব ব্যবসায়ীরা ২০২০ সালের ৩১সে জানুয়ারির আগেই এই পরিষেবা চালু করবেন তাদের ক্ষেত্রে কোনো জরিমানা বা ফাইন ভরার দরকার পরবে না।

মোটের উপর বড় বড় ব্যবসায়ীদের এবার থেকে নিজে থেকেই ডিজিট্যাল পেমেন্টের অপশন রাখতে গ্রাহকদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে ও পাশাপাশি নিজেদেরকেও ডিজিট্যাল পেমেন্টের দিকে ঝুঁকতে হবে।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্‍ অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, বলছে ব্রিটেনের সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই সুর চড়া করছে কেন্দ্রের বিরোধী দলগুলি। দেশের জিডিপির বৃদ্ধির হার তলানিতে নেমে ৪.৫ শতাংশে ঠেকেছে।বিনিয়োগের হ্রাস ও বেকারত্ব নিয়ে সরব বিরোধীরা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এনিয়ে নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছে। ভারতের জিডিপি এখন নিম্নমুখী।

কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৬ সালে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের বিলাসবহুল দেশ জার্মানিকে! হ্যাঁ, এরকমই কিছু সমীক্ষা করেছে ব্রিটেনের একটি সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক রিসার্চ অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ বা CEBR। শুধু এই টুকুই নয়, এই সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩৪ সালে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ জাপানকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত ও পরিণত হবে দুনিয়ার তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে। তবে ওই সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে ২০১৯ সালেই ভারত অর্থনীতির দিক থেকে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে টপকে পরিণত হয়েছে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশে। কিন্তু চতুর্থ স্থানে পৌঁছাতে ভারতের ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।

ভারতের কেন্দ্র সরকার হিসেব দিয়েছে যে ২০২৪ সাল নাগাদ ভারতের অর্থনীতি হবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। কিন্তু ব্রিটেনের এই সংস্থার মতে তা হবে ২০২৬ সাল নাগাদ।

লাগছে না পিন! মানিব্যাগে ATM কার্ড থাকলেও খালি হচ্ছে অ্যাকাউন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন RFID সাইবার জালিয়াতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। এই সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া যায় সব টাকা। এই জালিয়াতির বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য, যেমন কিভাবে এই জালিয়াতি হয় ও তা রুখতে কি কি করা উচিত এই সমস্ত কথা জানিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওয়ারঙ্গল পুলিশ কমিশনার ডাঃ ভি রবীন্দ্র।

জেনে নিন এই ক্রাইম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য

• RFID, যার অন্য নাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID), সেটি মূলত একটি এটিএম কার্ড স্কিমিং। বর্তমানে নতুন কন্টাক্টলেস ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের চল রয়েছে, যার মাধ্যমে দুই হাজারের কম মূল্যের শপিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো কোড বা পিনের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় না কোনো OTP র। মেশিনের কাছে নিয়ে গেলেই অর্থের লেনদেন সম্পন্ন হয়। যারা এই ফ্রড করছেন, তারা গ্রাহকদের কাছাকাছি POS মেশিন নিয়ে যায়, ৪-৫ সেন্টিমিটার দূরে থেকে মেশিনে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করলেই মেশিন টাকা তুলে নেয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্ড আপনার কাছে থাকলেও, এমনকি মানিব্যাগে থাকলেও আপনার ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া যায়।RFID চিপ রিডার বাজারেও উপলব্ধ।

তাহলে এরকম ATM কার্ড আপনার কাছে থেকে থাকলে বাঁচবেন কিভাবে?

• এইরকম জালিয়াতি থেকে বাঁচার জন্য আপনার কার্ডটিকে অ্যালুমিনিয়ামের ফাইলে রাখতে পারেন। কারণ অ্যালুমিনিয়াম RFID ফ্রিকোয়েন্সিকে বাধা দেয়।

• অ্যালুমিনিয়াম ছাড়া আরও এমন কোনো বস্তু যা এই ফ্রিকোয়েন্সিকে আটকায়, সেরকম বস্তুর মধ্যে কার্ড ভরে রাখুন। কখনোই মানিব্যাগে ভরে রাখবেন না।

বছরের শেষে LIC নিয়ে শিশুদের জন্য নিয়ে এলো একটি দারুন পলিসি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন বছর আসার আগেই বড় ঘোষণা করলো LIC। শিশুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত ও নিশ্চিত করতে নতুন প্ল্যান আনলো LIC। যেখানে মাসে মাত্র ৪৮৭৭ টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি পেতে পারেন নিজের সন্তানের জন্য ১৯১০০০০ টাকা।

বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু এটাই সত্যিই LIC এর এই নিউ চিলড্রেন মানি ব্যাক প্ল্যান অনুযায়ী মাসে মাত্র ৪৮৭৭ টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি পেতে পারেন নিজের সন্তানের জন্য ১৯১০০০০ টাকা।

শিশুর পাঁচ বছর বয়স থেকে এই প্ল্যানের অনুযায়ী টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। ২০ বছর পর অর্থাৎ সন্তানের ২৫ বছর বয়স হলে পাওয়া যাবে ১৯১০০০০ টাকা। কোনো গ্রাহক ১০০০০০০ টাকার পলিসি করলে সেক্ষেত্রে সে পাবে ১৯১০০০০ টাকা।

শিশুর ০ বছর বয়স অর্থাৎ জন্মের পর থেকেই টাকা বিনিয়োগ করলে সর্বাধিক ১২ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১০০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে তবে সর্বাধিক টাকা জমা দেওয়ার কোনো সীমা নেই। তবে কোনো কারণবশত বিমা ধারকের প্রয়াত হলে উক্ত প্রিমিয়ামের পেমেন্ট সর্বনিম্ন ১০৫ শতাংশ হবে ও সেক্ষেত্রে সাধারণ ও বিশেষ বোনাস পাওয়া যাবে।

সুখবর, Pan কার্ডের সাথে Aadhaar লিঙ্কের সময়সীমা বাড়ালো আয়কর দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়কর বিভাগ সপ্তমবারের জন্য প্যান আধারের সাথে লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত শেষ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, এই সময়সীমার মধ্যে সমস্ত প্যান কার্ড ব্যবহারকারীদের অনলাইনে বা এসএমএসের মাধ্যমে আধারের সাথে লিঙ্ক করাতে হবে, নাহলে লিঙ্ক না করানো প্যানকার্ডগুলিকে অবৈধ বা ব্যবহারযোগ্য নয় বলে মানা হবে।

Central Board Of Direct Taxes (CBDT)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, লিঙ্ক না করানো প্যান কার্ডগুলিকে ৩১ শে ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, কোনো গ্রাহক আধার নম্বরের সাথে প্যান কার্ড যুক্ত করতে ব্যর্থ হলে সেই গ্রাহকের বরাদ্দ করা প্যান নাম্বারটি অবৈধ বলে মনে করা হবে। এই আইনের অন্যান্য যেসব নিয়ম তা মানা হবে। ধরে নেওয়া হবে ওই গ্রাহকের প্যান বরাদ্দের জন্য আবেদন করেননি।

তবে বছরের শেষ দিনের শুরুর সাতসকালেই এলো সুখবর। শুধু সুখবর নয় সেসকল মানুষের জন্য দারুণ খবর যাঁরা এখনও আধার-প্যান লিঙ্ক করাতে পারেননি। আধার-প্যান লিঙ্ক করানোর সময়সীমা আরও ৩ মাস বাড়ানাে হলাে। আধার-প্যান লিঙ্কের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২০-র ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে ৮ বার আধার-প্যান লিঙ্কের সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্রীয় বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস। আগামী ১ লা এপ্রিল থেকে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার ক্ষেত্রে আধার-প্যান লিঙ্ক বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়।

অর্থ বিল অনুসারে, আধারের সাথে লিঙ্ক না করানো প্যান কার্ডগুলি ৩১ শে মার্চের পরে বাতিল হতে পারে। আর এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ এরকম নিষ্ক্রিয় প্যান কার্ডগুলি আবার চালু করার অনুমতি নাও দিতে পারে। তবে এই বিষয়ে যেহেতু স্পষ্ট কোনো ঘোষণা না থাকায় লিঙ্ক করিয়ে নেওয়াটাই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমান আইন অনুসারে গ্রাহককে প্যানের পরিবর্তে আপনার আধার নম্বরটি ব্যবহার করতে হয়। ফলে গ্রাহক যদি আধার কার্ডের সাথে প্যানের সাথে লিঙ্ক না করিয়ে আয়কর রিটার্নের আবেদন করেন সেক্ষেত্রে গ্রাহককে একটি নতুন প্যান কার্ড সু-মোটো দেওয়া হতে পারে।

প্যান কার্ডের সাথে কিভাবে অধার লিঙ্ক করাবেন-

আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালের মাধ্যমে অথবা এসএমএসের মাধ্যমেও প্যানের সাথে আধার লিঙ্ক করাতে পারেন। ই-ফাইলিং পোর্টালের বাঁ দিকে একটি ‘Link Aadhaar’ অপশন রয়েছে, যেখানে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে আপনাকে প্যান, আধার নম্বর ও নাম দিতে হবে। এরপর আপনার মোবাইল ফোনে প্রেরিত কোনও ওটিপির মাধ্যমে সেটি যাচাই করা হবে।

এছাড়া গ্রাহকরা নিম্নলিখিত ফরম্যাট, ইউআইডিপিএন (স্পেস) (১২ ডিজিট আধার) (স্পেস) (১০ ডিজিটের প্যান) লিখে ৫৬৬৬৭৮ বা ৫৬১৬১ নম্বরে এসএমএসও পাঠাতে পারেন।

প্যানের সাথে আধার লিঙ্ক করার জন্য, আপনার নাম, লিঙ্গ এবং জন্ম তারিখ উভয় নথিতে একই হওয়া উচিত।

আধারের মূল তথ্যটির সাথে আধার নামের সাথে কোনও ছোটখাটো অমিলের ক্ষেত্রে, আধারের সাথে রেজিস্টার মোবাইলে একটি OTP (আধার ওটিপি) পাঠানো হবে।

যদি গ্রাহকের আধার কার্ডের নামটি প্যানে উল্লিখিত নামের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়, সেক্ষেত্রে লিঙ্ক ব্যর্থ হবে ও আপনাকে নাম বা প্যান ডাটাবেসে নাম পরিবর্তন করতে অনুরোধ করা হবে।

১লা জানুয়ারি থেকে কাজ নাও করতে পারে এই সব ATM কার্ড! নির্দেশ RBI-এর

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের সাথে নগদ টাকা নিয়ে রাস্তাঘাটে চলাচল করা কিংবা ব্যাঙ্কে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে টাকা তোলা দুটোই বর্তমানে প্রায় চলে না। মানুষ টাকা তোলার জন্য ব্যবহার করেন এটিএম ডেবিট কার্ড। বর্তমানে ডেবিট কার্ড মানুষের অন্যতম প্রয়োজন। কিন্তু ভাবুন তো আপনার ডেবিট কার্ডটি যদি ব্লক হয়ে যায়! হ্যাঁ, ৩১ ডিসেম্বরের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুসারে EVM না থাকা ডেবিট কার্ডগুলি ব্লক হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি থেকে তা কাজ নাও করতে পারে। ডেবিট মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড না হলে সেই কার্ডগুলো ব্লক করে দাওয়া হবে।

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের তার ম্যাগনেটিক চিপ কার্ড বদলে দিয়ে EMV বা পিন যুক্ত ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। আশা করা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াকরণের ফলে অনলাইন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ফ্রড এবং সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ কম হবে।

কিভাবে EVM বা পিন যুক্ত ডেবিট কার্ডের জন্য আপনার ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করবেন, জেনে নিন।

আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার ব্যাঙ্কের পোর্টালে নেট ব্যাঙ্কিং হয় সেখানে গিয়ে লগ ইন করতে হবে।

পরের ধাপে সেই পোর্টালের ‘e-Services’ নামের সেকশনে গিয়ে ‘ATM Card Services’ অপশনে ক্লিক করুন।

এরপর যে অংশটি খুলবে সেখানে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে ‘ATM Card Services’ অপশনে ক্লিক করুন ও আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন এবং তার সাথেই যে নামে ডেবিট কার্ড করাতে হন, নামটি নথিভুক্ত করুন এবং কার্ডের টাইপ নির্বাচন করুন।

এরপরের ধাপে টার্মস আর কন্ডিশন মেনে নিয়ে (accept) ‘Submit’-এ ক্লিক করুন এবং OTP বা আপনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন।

আরও একবার সমস্ত তথ্য দেখে নিয়ে ‘Submit’ করুন এবং শেষে স্ক্রিনে যে কনফারমেশন মেসেজ আসবে সেখানে আপনার ঠিকানা দিলেই সেই ঠিকানায় পৌঁছে যাবে নতুন EVM যুক্ত ডেবিট কার্ড।

এছাড়াও ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েও আবেদন করতে পারেন।

নতুন বছরে ২০ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, রইলো ছুটির তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরাতন বছর শেষ হতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন, আসছে নতুন বছর। আর নতুন বছর আসা মানেই উৎসবের বাড়তি খরচ। তবে এই আনন্দের মাঝে জেনে রাখা জরুরি যে, নতুন বছরে কত দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। কারণ ব্যাঙ্ক বন্ধ মানেই টাকা পয়সার লেনদেন বন্ধ। তাই টাকা-পয়সা লেনদেনের কাজ সারার আগে চেখে দেখে নিন সেই তালিকা। প্রয়োজন মত সেই দিনগুলি এড়িয়ে সেরে ফেলুন লেনদেনের কাজ।

২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২০ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে তার তালিকা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এগুলির মধ্যে অবশ্যই রবিবার বাদ রয়েছে। এছাড়াও বাদ রয়েছে মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবারের ছুটির দিন সংখ্যাটিও।

২৩ শে জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৩০ শে জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার : সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৯ ই মার্চ ২০২০, সোমবার : দোলযাত্রা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১০ ই এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার : Good Friday উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৪ ই এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার : বাংলা নববর্ষ, ডঃ আম্বেদকরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১ লা মে ২০২০, শুক্রবার : মে দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৭ই মে ২০২০, বৃহস্পতিবার : বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৮ ই মে ২০২০, শুক্রবার : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৫ শে মে ২০২০, সোমবার : ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১ লা আগস্ট ২০২০, শনিবার : ঈদ উদ জোহা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৫ ই আগস্ট ২০২০, শনিবার : স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৭ ই সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার : মহালয়া উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২রা অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার : গান্ধীজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৩ শে অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার : মহাসপ্তমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৪ শে অক্টোবর ২০২০, শনিবার : মহাষ্টমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৬ শে অক্টোবর ২০২০, সোমবার : বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৩০ শে অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার : লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৪ ই নভেম্বর ২০২০, শনিবার : কালীপূজা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৩০ শে নভেম্বর ২০২০, সোমবার : গুরু নানকের উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৫ শে ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার : ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

রবিবার পরায় যেসকল ছুটিগুলি ব্যাঙ্ক কর্মীদের বাদ গেল, সেগুলি হলো ১২ ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, ৩০ শে আগস্ট মহরম ও ২৫ শে অক্টোবর মহানবমী।

দেশজুড়ে বিভিন্ন রিজিওনাল অনুযায়ী ২০২০ সালের এই ব্যাঙ্ক ছুটির সংখ্যা ২০, তবে এটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য। এই ছুটির বিস্তৃত তালিকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছুটির তালিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে।

Pan কার্ড হারিয়ে গেছে! রইলো সহজেই রিপ্রিন্ট করার পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্যান কার্ড বা প্যান নাম্বার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একজন ভারতীয়র কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। ব্যাঙ্ক হোক অথবা সোনা, বাড়ি ক্রয় ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই এখন প্যান বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করতে গেলে অবশ্যই লাগবে প্যান। কিন্তু এই প্যান কার্ড হারিয়ে গেলে কি করবেন?

প্যান কার্ড হারিয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে, এ কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে এই সমস্যা থেকে রেহাইয়ের উপায় রয়েছে। প্যান কার্ড হারিয়ে গেলেও খুব সহজেই করা যাবে রিপ্রিন্ট। রিপ্রিন্ট অর্থাৎ ডুপ্লিকেট প্যান কার্ড বের করার জন্য অবশ্য বেশ কয়েকটি অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।

প্যান কার্ড রিপ্রিন্ট করার জন্য আপনার প্যান কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার রেজিস্টার থাকতে হবে। পাশাপাশি ইমেইল আইডি রেজিস্টার থাকলেও খুব ভালো হয়। আর এই রিপ্রিন্ট করার খরচ হবে ৫০ টাকা ভারতের যেকোনো স্থানে পাঠানোর জন্য। আর সেই প্যান কার্ড ভারতের বাইরে কোথাও পাঠানোর জন্য খরচ হবে ৯৫৯ টাকা।

রিপ্রিন্টের অর্ডার দেওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে https://www.tin-nsdl.com/সাইটে। যেখানে বেশ কয়েকটি অপশন এর মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন ‘Reprint for Pan Card’। যেখানে ক্লিক করলেই আপনি পৌঁছে যাবেন পরবর্তী পর্যায়ে। তারপর সেখানে চাওয়া হবে আপনার প্যান নাম্বার, আধার নাম্বার, জন্মের মাস ও সাল। এগুলি সঠিকভাবে দেওয়ার পর ক্যাপচা কোড দিয়ে সাবমিট করতে হবে।

এরপর ধাপে ধাপে সব পর্যায়গুলি সম্পন্ন করতে হবে। এগুলি করার সময় আপনার মোবাইল নাম্বার বা ইমেল আইডিতে একটি ওটিপি পাঠাবে আয়কর দপ্তর। যেটি সঠিকভাবে দিয়ে আপনাকে প্ৰমাণ করতে প্যানটি আপনার। এরপর ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডের অর্ডার দিলে সেই প্যান কার্ডটি আপনার সেই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে আয়কর দপ্তর, যে ঠিকানাটি তাদের কাছে রয়েছে। এছাড়াও যদি আপনার তাড়া থাকে তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে লিঙ্ক থেকে e-Pan ডাউনলোড করে নিতে পারেন৷

বিশেষ উল্লেখ্য, পুরনো প্যান কার্ডে যে তথ্য ছিল সেই তথ্যে কোনও বদল করা যাবে না এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ডুপ্লিকেট প্যান নম্বরের কোনও কিছু আপডেট করা যাবে না৷ নাম, ঠিকানা সব কিছু আগের মতোই থাকবে।

যেখানে সেখানে মোবাইল চার্জ করেন! খোয়াতে পারেন অ্যাকাউন্টের টাকা! সতর্ক করলো SBI

সাবধান! এই একটা ভুলের জন্য খুইয়ে ফেলতে পারেন সর্বস্ব। সতর্ক করলো SBI

নিজস্ব প্রতিবেদন : পাবলিক চার্জিং স্টেশন থেকে নিজেদের মোবাইল চার্জ করলে আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন আপনার সব টাকা! এই সতর্কীকরণ দেওয়া হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসবিআই জানিয়েছে যে, চার্জিং পয়েন্টে আপনি ফোন রাখলে হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেহেতু বর্তমানে ইন্ডিয়া ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে পরিণত হয়েছে তাই ব্যাঙ্ক যাওয়ার সমস্যা কমাতে নিজের স্মার্টফোনেই এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে গ্রাহকরা, সেখানেই থাকে সব নথিপত্র। ব্যাঙ্কও এখন ওই মুঠোফোনে বন্দী, নেট ব্যাঙ্কিং থেকে মানি ট্রানসঙ্কশন সবই হয় ফোনে। আর সেই কারণেই হ্যাকাররা আপনার ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে নিতে নজর রাখছে আপনার মোবাইল ফোনের উপরই।

বর্তমানে স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট সবখানেই চার্জিং স্টেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে বিনামূল্যে চার্জ করানো যায় ফোনে এবং এসব স্থানগুলিকে টার্গেট করেছে হ্যাকাররা। স্মার্টফোন ম্যালওয়্যার নামের ভাইরাস ঢুকিয়ে আপনার সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে তারা। এইরকম জুশ জ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য সতর্কবাণী দিয়েছে SBI।

বর্তমানে মোবাইলফোন মানুষের সাথে ভীষণভাবে জড়িয়ে। সেই ফোনের চার্জ কমে গেলে চার্জিং পয়েন্ট খোঁজেন সবাই এবং যে চার্জিং স্টেশনগুলিতে বিনামূল্যে চার্জ করা যায় মোবাইল সেসব জায়গায় অনায়াসে চার্জে বসিয়ে দেন সবাই। কিন্তু সেই চার্জিং USB মোবাইল ফোনে ঢুকলে আপনার অজান্তেই আপনার ফোনের তথ্য নথি সব ফটো, ভিডিও সব হাতিয়ে নেবে হ্যাকাররা। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ এই একটা ভুলের জন্য খুইয়েছেন অনেককিছু।

চারটি বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্কতা এই জুশ জ্যাকিং থেকে বাঁচাতে পারে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেছে এসবিআই।

১. যদি একান্তই কোনো প্রয়োজনে চার্জিং স্টেশন থেকে চার্জ করতে হয় নিজের USB ব্যবহার করুন।

২. পাবলিক চার্জিং স্টেশনে মোবাইল চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক আউটপুট থেকেই চার্জ করুন। 

৩. পোর্টেবল ব্যাটারি কেনার সময় ভরসা করবেন চেনা ভেন্ডারদের।

৪. মোবাইল চার্জ করার জন্য পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখুন। এছাড়াও

• আপনার মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের পাসওয়ার্ড কিছু সময় অন্তর বদলে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে SBI।

• আপনার প্রোফাইল শেষ কখন লগ ইন করা হয়েছে সেই বিষয় সতর্ক থাকুন। মোবাইলের মেজেস অ্যালার্ট অন রাখুন।

তবে শুধু SBI নয়, অন্যান্য ব্যাঙ্কের গ্রাহকদেরও এই বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।

Online -এ কেনাকাটা করলে SBI দিচ্ছে ৪৫% পর্যন্ত ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া শুরু করেছে YONO Shopping Festival। যাতে গ্রাহকরা ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন অনলাইনে কেনাকাটায় বা হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে। এই অফার শুরু হয়েছে গত ১০ই ডিসেম্বর থেকে, চলবে আগামী ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এই সময়সীমার মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা yono অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করলে পাবেন ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ফেষ্টিভেল উপলক্ষে এই অফারে সোনা কিনলেও পাওয়া যাচ্ছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এমনটাই জানা গেছে এসবিআই তরফ থেকে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে করা পোস্টে।

এসবিআইয়ের এই অফারে ১৭ টি কমার্শিয়াল সাইট থেকে গ্রাহকরা অনলাইনে কেনাকাটা করে এই ছাড় পেতে পারেন। কেনাকাটা ছাড়াও হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেও বিপুল ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এসবিআই এই ফেস্টিভেল অফার ছাড়াও সারা বছরই কোনো না কোনো আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে yono অ্যাপ ব্যবহারকারীদের।

NEFT-তে বড়সড় বদল, গ্রাহকদের সুবিধার্থে নিয়ম পরিবর্তনের ঘোষণা করলো RBI

NEFT পেমেন্টের তারিখ, সময় ও নিয়মের একদম নতুন আপডেট, বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা।

নিজস্ব প্রতিবেদন : আপনি কি একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ইলেকট্রনিকালি ফান্ড পাঠানোর জন্য ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার (NEFT) সিস্টেম ব্যবহার করেন? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনার জন্য এইখানে রয়েছে সুখবর!

শেষ বিবরণ অনুসারে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) ঘোষণা করে জানিয়েছে যে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে NEFT সিস্টেমকে রাউন্ড-দ্য-ক্লক ভিত্তিতে পাওয়া যাবে।

NEFT সিষ্টেমটি মূলত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (যেই ব্যাঙ্কগুলি এই সিস্টেমের মধ্যে পরে) ইলেকট্রনিকালি ফান্ড ট্রান্সফার করতে ব্যবহার করা হয়।

RBI এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “ছুটির দিন সহ বছরের প্রত্যেকটি দিনেই এই সিস্টেমটি পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্কগুলির অফিসিয়াল ব্যাঙ্কিং আওয়ারের পরেও NEFT লেনদেনগুলি ব্যাঙ্কগুলির ‘স্ট্রেট থ্রু প্রসেসিং (STP)’ ব্যবহার করে অটোমেটিক ভাবে লেনদেনের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন আরবিআই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঠিক কি কি নির্ধারিত করে জানিয়েছে

NEFT থাকবে 24×7 ভিত্তিতে।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে উপরোক্ত সুবিধাটি ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে শুরু হবে।

সদস্য ব্যাঙ্কগুলিকে নিম্নলিখিতটি নোট করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, প্রতিদিন ৪৮ টি আধ ঘন্টার ব্যাচ থাকবে। রাত ১২ টা থেকে পরের রাত ১২ টা, এইভাবে চলবে প্রতিদিন। সিস্টেমটি ছুটির দিন সহ বছরের সব দিন উপলভ্য থাকবে। ব্যাঙ্কগুলির স্বাভাবিক ব্যাঙ্কিংয়ের পরে এনইএফটি লেনদেনগুলি ব্যাঙ্কগুলির দ্বারা ‘স্ট্রেট থ্রু প্রসেসিং (STP)’ ব্যবহার করে লেনদেনের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সদস্য ব্যাঙ্কগুলি সমস্ত NEFT ক্রেডিটের পর গ্রাহককে পজিটিভ কনফার্মেশন মেসেজ (N10) পাঠাবে।

এই পদক্ষেপটি রয়েছে পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম অ্যাক্ট, ২০০৭ (২০০৭ সালের অ্যাক্ট ৫১) এর সেকশন ১৮ ও সেকশন ১০(২) এর অধীনে।

Pan Card -এর সাথে Aadhaar লিঙ্ক করার শেষ সময়সীমা জানালো আয়কর দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়কর বিভাগ সপ্তমবারের জন্য প্যান আধারের সাথে লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়িয়েছে, যার মেয়াদ শেষ হবে ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯। এই সময়সীমার মধ্যে সমস্ত প্যান কার্ড ব্যবহারকারীদের অনলাইনে বা এসএমএসের মাধ্যমে আধারের সাথে লিঙ্ক করাতে হবে, নাহলে লিঙ্ক না করানো প্যানকার্ডগুলিকে অবৈধ বা ব্যবহারযোগ্য নয় বলে মানা হবে।

Central Board Of Direct Taxes (CBDT)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লিঙ্ক না করানো প্যান কার্ডগুলিকে ৩১ শে ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো গ্রাহক আধার নম্বরের সাথে প্যান কার্ড যুক্ত করতে ব্যর্থ হলে সেই গ্রাহকের বরাদ্দ করা প্যান নাম্বারটি অবৈধ বলে মনে করা হবে। এই আইনের অন্যান্য যেসব নিয়ম তা মানা হবে। ধরে নেওয়া হবে ওই গ্রাহকের প্যান বরাদ্দের জন্য আবেদন করেননি।

অর্থ বিল অনুসারে, আধারের সাথে লিঙ্ক না করানো এই জাতীয় সমস্ত প্যান কার্ডগুলি ৩১ শে ডিসেম্বরের পরে বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ এরকম নিষ্ক্রিয় প্যান কার্ডগুলি আবার চালু করার অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু যেহেতু এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা না হওয়ায় লিঙ্ক করিয়ে নেওয়াটাই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমান আইন অনুসারে গ্রাহককে প্যানের পরিবর্তে আপনার আধার নম্বরটি ব্যবহার করতে হয়। ফলে গ্রাহক যদি আধার কার্ডের সাথে প্যানের সাথে লিঙ্ক না করিয়ে আয়কর রিটার্নের আবেদন করেন সেক্ষেত্রে গ্রাহককে একটি নতুন প্যান কার্ড সু-মোটো দেওয়া হতে পারে।

প্যান কার্ডের সাথে কিভাবে অধার লিঙ্ক করাবেন-

আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালের মাধ্যমে বা এসএমএসের মাধ্যমে প্যান আধার সাথে লিঙ্ক করাতে পারেন। ই-ফাইলিং পোর্টালের বাঁ দিকে একটি ‘লিঙ্ক আধার’ অপশন রয়েছে, যেখানে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে আপনাকে প্যান, আধার নম্বর এবং নাম জমা করতে হবে। এরপর আপনার মোবাইল ফোনে প্রেরিত কোনও ওটিপির মাধ্যমে সেটি যাচাই করা হবে।

এছাড়া গ্রাহকরা নিম্নলিখিত ফরম্যাট, ইউআইডিপিএন (স্পেস) (১২ ডিজিট আধার) (স্পেস) (১০ ডিজিটের প্যান) লিখে ৫৬৬৬৭৮ বা ৫৬১৬১ নম্বরে এসএমএসও পাঠাতে পারেন।

প্যানের সাথে আধার লিঙ্ক করার জন্য, আপনার নাম, লিঙ্গ এবং জন্ম তারিখ উভয় নথিতে একই হওয়া উচিত।

আধারের মূল তথ্যটির সাথে আধার নামের সাথে কোনও ছোটখাটো অমিলের ক্ষেত্রে, আধারের সাথে রেজিস্টার মোবাইলে একটি OTP (আধার ওটিপি) পাঠানো হবে।

যদি গ্রাহকের আধার কার্ডের নামটি প্যানে উল্লিখিত নামের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়, সেক্ষেত্রে লিঙ্ক ব্যর্থ হবে এবং আপনাকে নাম বা প্যান ডাটাবেসে নাম পরিবর্তন করতে অনুরোধ করা হবে।

ATM -এ আপনার টাকাকে আরও সুরক্ষিত করতে কড়া পদক্ষেপ RBI -এর

নিজস্ব প্রতিবেদন : রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার দ্বি-মাসিক ‘উন্নয়নমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি সম্পর্কিত বিবৃতি’র মাধ্যমে সম্প্রতি জানিয়েছে যে, আরবিআই বাধ্যতামূলক বেসলাইন সাইবার কন্ট্রোল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কয়েকটি ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলি অনেকক্ষেত্রেই এটিএম স্যুইচ অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন পরিষেবা সরবরাহকারীদের উপর নির্ভর করে। এই পরিষেবা সরবরাহকারীদের যেহেতু অর্থ লেনদেনের সাথে সম্পর্ক সেহেতু দেখা যায় নানান ক্ষেত্রে তাদের সাইবার মাধ্যমে হুমকির শিকার হতে হয়। সেই কারনেই আরবিআই বাধ্যতামূলক বেসলাইন সাইবার কন্ট্রোল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে গ্রাহক নিশ্চিন্তে পরিষেবা সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।

নতুন নির্দেশিকায় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে যে, বাধ্যতামূলক নির্দেশিকাগুলিতে স্বাভাবিক ব্যবস্থায় অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার স্থাপনার প্রক্রিয়া ও তার পরিবর্তন, ধারাবাহিক নজরদারি এবং কন্ট্রোল চালু করার প্রক্রিয়া যাতে ঠিকভাবে করা যায় তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রয়োগের প্রয়োজন হবে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য এবং পরিস্থিতি অনুসারে স্থাপনের প্রক্রিয়া এবং অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারগুলিকে পরিবর্তনের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রয়োগের প্রয়োজন হবে, তার সাথেই অবিচ্ছিন্ন নজরদারি, সংবেদনশীল তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বিল্ডিং ক্ষমতা এবং ঘটনার প্রতিক্রিয়া এই প্রক্রিয়াটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে বলে আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ এর মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করবে বলেও জানিয়েছে।

SBI চালু করলো Flexi Deposit, ইচ্ছামত টাকা জমান, সুবিধা নিন

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বৃহত্তম লেনদেনকারী সংস্থা এসবিআই চালু করলো ফ্লেক্সি ডিপোজিট স্কিম। এই প্রক্রিয়ায় যে কোনো ব্যক্তি নিজের সুবিধা অনুযায়ী প্রতিমাসে আলাদা আলাদা পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখতে পারবেন।

এর আগেও এসবিআই বিভিন্ন সঞ্চয় সম্পর্কিত প্রকল্প চালু করে। এই নতুন ফ্লেক্সি ডিপোজিট স্কিম অনুসারে প্রতি মাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ জমা করার প্রয়োজন হয় না। ব্যক্তি নিজের সুবিধা মত প্রতিমাসে অর্থ জমা করতে পারবেন। এর ফলে সবথেকে বেশি সুবিধা হবে খুচরো ছোট ব্যবসায়ীদের, যাদের প্রতি মাসে আয়ের হিসেব নির্দিষ্ট থাকেনা।
এসবিআইয়ের এই ফ্লেক্সি ডিপোজিট প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হলো –

১) এই স্কিমটি একক বা যৌথ ভাবে খোলা যেতে পারে। এই প্রকল্পের জন্য কেউ পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে মেয়াদ বেছে নিতে পারেন। এই স্কিমটি এসবিআইয়ের সমস্ত শাখায় পাওয়া উপলব্ধ। দেশের যে কোনও শাখায় স্থানান্তর করা যেতে পারে এই ডিপোজিটকে।

২) ডিপোজিটের পরিমাণ হিসেবে গ্রাহক যে কোনও একটি ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা দিতে পারেন। এই জমা দেওয়া অর্থ এক মাসের মধ্যে যে কোনও সময় এবং যতবার খুশি জমা করা যায়। বছরে ন্যুনতম ৫০০০ এবং সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা জমা করা যাবে।

৩) ফ্লেক্সি ডিপোজিটে প্রযোজ্য সুদের হার মেয়াদি ডিপোজিটের সমান হিসেবে গণ্য হবে। কেউ যদি ফ্লেক্সি ডিপোজিট স্কিমে পাঁচ বছরের মেয়াদ বেছে নেন তাহলে পাঁচ বছরের ডিপোজিটের ওপর নির্ধারিত সুদের হার তাকে দেওয়া হবে।কিন্তু এক্ষেত্রে এসবিআই কর্মী এবং পেনশনারদের প্রযোজ্য হারের উপর ১% অতিরিক্ত সুদ দেওয়া হবে। প্রবীণ নাগরিকরা সমস্ত ডিপোজিটের উপর ৫০ টি বেসিক পয়েন্ট পাবেন।

৪) কোনো গ্রাহক যদি আর্থিক বছরে ন্যূনতম আমানত জমা দিতে ব্যর্থ হন, তবে জরিমানা হিসেবে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ জমা করতে হবে।

৫) এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনো ব্যাক্তি লোন হিসেবে মূল আমানতের ৯০% নিতে পারবে।

মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে ৩৬০০০ টাকা পেনশন, কেন্দ্র সরকারের নয়া প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিমের অন্তর্গত একটি প্রকল্পটির, যার নাম প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার৷ জাতীয় পেনশন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রেখে এই প্রকল্পটি লঞ্চ করা হয়েছে। যাতে মাসে মাত্র ১০০ টাকা বিনিয়োগেই পাওয়া যাবে বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকার পেনশন। ৬০ বছর পরে নিশ্চিত পেনশনের টাকা পাওয়ার সুযোগ সুবিধা থাকছে।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষেরা, যেমন রিকশা চালক, ফুটপাতে যিনি ব্যবসা করেন, যিনি পরিচারক বা পরিচারিকার কাজ করেন, মিড ডে মিলের দলে কাজ করেন, ধোপার কাজ করেন এই রকম পেশার সাথে যুক্ত মানুষেরা যাঁদের মাসিক আয় ১৫,০০০ টাকার কম এই প্রকল্পে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। এই প্রকল্প তাদের জন্যও, যাদের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। সেই সমস্ত ব্যবসাদাররাও এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ৬০ বছর পর মাসে ৩০০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে ৩৬০০০ টাকা পেনশন পাবেন। তবে ব্যবসাদারদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের একটি সীমানা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পটি শুরু করতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন, পাশাপাশি থাকতে হবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট অথবা জনধন যোজনা অ্যাকাউন্ট। এগুলি থাকলে মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটেই এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করা যাবে। কোন ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর হলে প্রতি মাসে তাকে কম করে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ বছরে ১২০০ টাকা বিনিয়োগ। এইভাবে প্রতিমাসে সঞ্চয় করলে দেখা যাবে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর বয়সে সঞ্চয় দাঁড়াচ্ছে ৩৬০০০ টাকা।

এরপর ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ওই ব্যক্তি মাসে ৩০০০ টাকা নিশ্চিত পেনশন স্কিমে পড়বেন। কোন পেনশনভোগী মারা গেলে তার স্ত্রী ৫০% অর্থাৎ ১৫০০ টাকা করে মাসে পেনশন পাবেন।

পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টের ATM কার্ডের সুবিধা – অসুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষে প্রায় দেড় লক্ষ পোস্ট অফিসের শাখা রয়েছে। এই সকল পোস্ট অফিসের শাখায় রয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও। দেশের বহু মানুষ পোস্ট অফিসকে সঞ্চয়ের সবথেকে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবেও মনে করেন। তাই তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রাখতে ভরসা করেন পোস্ট অফিসেই। এছাড়াও পোস্ট অফিসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে খরচ খুবই কম। মাত্র ১০০ টাকাতেই খোলা যায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায় বার্ষিক ৪ শতাংশ সুদ।

তবে ১০০ টাকাতে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা গেলেও চেক অথবা ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড সুবিধা নিতে গেলে অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ মিনিমাম ব্যালেন্সের নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। তবে এই এটিএম অথবা ডেবিট কার্ডে রয়েছে বিশেষ কয়েকটি সুবিধা যা অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় আকর্ষণীয়, পাশাপাশি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে নিয়মাবলী।

পোস্ট অফিসের দেওয়া এটিএম কার্ডের শর্ত

১) পোস্ট অফিসের এটিএম কার্ডে গ্রাহকরা দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা তুলতে পারেন।

২) গ্রাহক তার এটিএম কার্ড দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ফ্রি-তে টাকা তুলতে পারেন। তারপর অন্যান্য ব্যাঙ্কের মতই চার্জ কাটা হয়।

৩) পোস্ট অফিসের এটিএম কার্ডে একবারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট বহন করার যে খরচ তার তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা।

৪) পোস্ট অফিসের এটিএমে দিনে ৫ টি লেনদেন ফ্রি থাকে।

৫) পোস্ট অফিসের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা তুললে মাসে ৩ টি লেনদেন ফ্রি হয়।

৬) কোনও গ্রাহক কোনও মাসে ৩ বারের বেশি অন্য এটিএম থেকে টাকা তুললে ২০ টাকা করে কাটা হয়। সঙ্গে কাটা হয় আলাদা করে জিএসটি চার্জ।

৭) পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় চেকবুক চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন। ঠিক তেমনই এটিএম কার্ড চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন।

৮) পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট কেউ চাইলে এক ডাকঘর থেকে অন্য ডাকঘরে পরিবর্তন করতে পারেন।

State Bank-এর মিনিমাম ব্যালেন্সের নিয়ম পরিবর্তন, না মানলে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের অ্যাকাউন্টে গ্রাহকদের মিনিমাম ব্যালেন্স রাখার ক্ষেত্রে নিয়মই বেশ কিছু রদবদল আনলো। নভেম্বর মাস থেকে এই নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শহর অনুযায়ী আলাদা আলাদা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর তা না জানলে গ্রাহকদের দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। তবে জরিমানার পরিমাণ ধার্য হবে ব্যাঙ্ক শাখার উপর নির্ভর করে।

মেট্রো শহরের এসবিআইয়ের গ্রাহকদের প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতেই হবে৷ যদি অ্যাকাউন্টে মাসে ন্যূনতম ব্যালেন্স না থাকে তাহলে ১০ থেকে ১৫ টাকার সঙ্গে জিএসটি চার্জ জরিমানা হিসাবে দিতে হবে৷

আধা শহরের গ্রাহকদের প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা রাখতেই হবে৷ আধা শহরে জরিমানা হিসাবে ৭.৫ টাকা থেকে ১২ টাকা জিএসটি দিতে হবে৷

গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম ব্যালান্স রাখতে হবে ১,০০০ টাকা। আর সেটা বজায় না রাখলে ৫ থেকে ১০ টাকা জরিমানা দিতে হবে সঙ্গে জিএসটিও দিতে হবে৷

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্সের পরিমান বা অঙ্ক অনেকটাই বেশি। তবে উল্লেখ্য, বেসরকারি ব্যাঙ্কের তুলনায় তা অনেকটাই কম। দেশের চারটি বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আইসিআইসিআই, এইচডিএফসি, কোটাক এবং অ্যাক্সিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা রাখা বাধ্যতামূলক।

ATM থেকে টাকা বেরোলো না, অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হল! RBI এর নতুন নিয়মে গ্রাহকরা পাবেন ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ATM এ গিয়ে অনেক সময় গ্রাহকদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যাগুলি যেমন এটিএম থেকে টাকা না পাওয়া, অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে অথচ টাকা পাওয়া উঠছে না, আবার অনেক সময় এটিএম থেকে টাকা বের হলো না অথচ দেখা গেল অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হলো। এরকম হাজারো সমস্যা দূর করতে RBI বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে।

এটিএম থেকে টাকা বের না হওয়া সত্ত্বেও অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হলে বলা হয় ৭ দিনের মধ্যে সেই টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। কিন্তু কেটে নেওয়া এই টাকা সব সময় যে সময়মতো অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, তাও নয়! সময় মতো তো দূরের কথা, অজস্র গ্রাহকের অভিযোগ রয়েছে টাকা ফেরত না পাওয়ার। আর এবার এই সমস্যা দূরীকরণে আরবিআইয়ের নতুন দাওয়াই।

আরবি আইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটার পিছনে থাকে বেশ কয়েকটি কারণ। যেমন লিঙ্কের বারবার ব্যাঘাত ঘটলে, এটিএম ক্যাশ না থাকলে, সেশনের টাইম আউট হয়ে গেলে ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে আরও অন্যান্য কয়েকটি কারণ। আর এসকল কারণে টাকা কেটে নিয়েও টাকা ফেরত না পাওয়ার মতো বিস্তর অভিযোগের কথা জানিয়েছে আরবিআই।

এই সমস্যার চিরতরে সমাধানের জন্য আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে –

১) কোন গ্রাহক এটিএমে টাকা তুলতে গেলে যদি সেই গ্রাহক এটিএম থেকে টাকা না পান, অথচ তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিলে ব্যাঙ্ক সেই ট্রানজেকশন পাঁচ দিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। কিন্তু তারপরেও যদি ব্যাঙ্ক ওই গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে যতদিন পর্যন্ত ওই গ্রাহক টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ততদিন তাকে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

২) কার্ড থেকে কার্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অথচ যার কাছে টাকা পৌঁছানোর কথা তার কাছে পৌঁছাল না। তাহলে ব্যাঙ্ক সেই ট্রানজেকশন একদিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে।কিন্তু তারপরেও যদি টাকা ফেরত অথবা না পৌঁছায় তাহলে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহককে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩) Point of Sale অর্থাৎ POS এর ক্ষেত্রেও যদি এমন ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলো অথচ মার্চেন্টের কাছে কোন কনফার্মেশন পাওয়া না গেলে পাঁচ দিনের মধ্যে সেই টাকা অটো রিভার্সেল বাধ্যতামূলক। যদি এমনটা না হয় তাহলে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহককে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৪) IMPS এর ক্ষেত্রে টাকা ট্রান্সফার করার পর যদি টাকা না পৌঁছায় তাহলে একদিনের মধ্যে সেই টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অটো রিভার্সেলের দায়িত্ব ব্যাঙ্কের।যদি এমনটা না হয় তাহলে সমস্যার সমাধান অবধি গ্রাহককে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আপনার কাছেও নেই তো জাল ৫০ টাকার নোট! চিনুন ১৪টি উপায়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিগত তিন বছর ধরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বেশিরভাগ নোটের আকার, রং এবং চেহারায় পরিবর্তন এনেছে। বেশিরভাগ পুরাতন নোট বদলে বাজারে চলছে নতুন নোট। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নতুন অঙ্কের নোটও বাজারে চালু করা হয়েছে। নতুন সুরক্ষা বিশিষ্ট এই সকল নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চালু করেছে, যাতে এর অনুলিপি করা দুঃসাধ্যকর হয়। অর্থাৎ বাজারে জালিয়াতি বন্ধ করা যায় এবং জালিয়াতির সাথে যুক্ত কারবারিদের লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জাল নোট কারবার চলছেই।

বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ মানুষ বড় নোটের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। বড় নোট লেনদেনের ক্ষেত্রে তারা পাঁচবার সেটিকে দেখে নেই। ফলে নতুন নোটের ক্ষেত্রে জাল অনেকাংশেই ধরা পড়ে যায়, এতেও লোকসানের সম্মুখীন জাল নোট কারবারিরা। তাই তারা সেইসব নোটের দিকে বর্তমানে নজর দিয়েছে, যে সকল অঙ্কের নোটগুলি মানুষ সাধারণত না দেখেই পকেটে পুরে নেয়। যেমন ছোট নোট ৫০ টাকা।

কিন্তু জানেন কি! ছোট হোক অথবা বড় যে কোন অঙ্কের বেশি পরিমাণে জাল নোট নিয়ে ধরা পড়লে করার শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন আপনিও। তাই বাজারে যে কোন অঙ্কের নোট লেনদেনের আগে অবশ্যই যাচাই করুন আসল না নকল। নতুন নোট ৫০ টাকার সুরক্ষার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৪ টি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে, যা আসল এবং জাল নোট চিহ্নিত করে। এই ১৪ টি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য …

  • নোটের মান দেখে।
  • দেবনাগরী লিপিতে নোটে অঙ্কের মান।
  • নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি।
  • আরবিআই, ভারত, ভারত এবং ছোট আকারে ৫০ লেখা।
  • ভারত এবং আরবিআইয়ের সুরক্ষা দাগ।
  • মহাত্মা গান্ধী ছবির ডান পাশের গ্যারান্টি ধারা, আরবিআইয়ের গভর্নরের স্বাক্ষর, প্রতিশ্রুতি ধারা এবং আরবিআই লোগো।
  • ডান দিকে অশোক স্তম্ভের স্বাক্ষর।
  • মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি এবং ইলেক্ট্রোটাইপ ফর্ম্যাটে লেখা।
  • বাম দিক থেকে ডান দিকে সরানো নম্বর প্যানেল।
  • নোটের পিছনে বাম দিকে নোট মুদ্রণের বছর।
  • স্লোগান সহ স্বচ্ছ ভারত লোগো।
  • মাঝখানে লেজেন্ড প্যানেল।
  • রথের সাথে হাম্পী চিত্র।
  • দেবনাগরী লিপিতে লিখিত নোটের মূল্য।

কমলো রেপো রেট! রেপো রেট আসলে কি? রেট কমার সুবিধা আর অসুবিধা

ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য সুখবর। অনলাইনে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পুরোপুরি চার্জ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আজ এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কের কাছে পৌঁছে যাবে এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, এটিএম থেকে পাঁচবারের বেশি টাকা তুলতে গেলে একটা নির্দিষ্ট চার্জ কেটে নেয় ব্যাঙ্ক। আগামিদিনে সেই চার্জ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমতে পারে বলে এদিন আশা দেখিয়েছে আরবিআই।

আজ নতুন ঋণনীতি ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক৷ যেখানে সুদের হার ০.২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে টানা তিনবার কমল রেপো রেট৷ বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর রেপো রেট দাঁড়াল ৫.৭৫ শতাংশে৷ যা বিগত ৯ বছরে সর্বনিম্ন বলে জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷

আগে রেপো রেটের হার ছিল ৬ শতাংশ৷ তা কমে হল ৫.৭৫ শতাংশ৷ রেপো রেট কমে যাওয়ার অর্থ সুদের হার কমে যাওয়া৷ এতে সুবিধা ও অসুবিধা দুই আছে৷

রেপো রেট কি?

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাকে বলে রেপো রেট। ব্যাঙ্কগুলি যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে টাকা ধার পায়, তাহলে তারাও কম সুদে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টাকা ধার দিতে পারবে। ধরে নেওয়া হয়, রেপো রেট কমালে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কারণ তখন বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা অল্প সুদে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষও ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে ধার নিয়ে নানা ভোগ্যপণ্য কিনতে পারে।

রেপো রেট কীভাবে ঠিক হয়?

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটি স্থির করে রেপো রেট কী হবে। কমিটিতে থাকেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও সরকার মনোনীত চার সদস্য। কমিটি দু’মাস অন্তর বৈঠকে বসে। সেখানেই স্থির হয়, রেপো রেট কী হবে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর একাই রেপো রেট স্থির করতেন। তার আগে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করতে হত। পরে মনিটারি পলিসি কমিটি তৈরি হয়।

সুবিধা ও অসুবিধা

আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের পর ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমিয়ে দেবে৷ এর ফলে হাসি ফুটতে পারে মধ্যবিত্তের মুখে। কারণ, যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে গৃহঋণ নিয়েছেন বা ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন, তাঁদের জন্য সুদের হার বেশ কিছুটা লাঘব হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যাঁরা গৃহঋণের জন্য আবেদন করেছেন. তাঁদেরও সুদের হার কমতে পারে।

রেপো রেট কমার কয়েকটি কুফল আছে। এর ফলে বাজারে কাঁচা টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার মূল্য বাড়তে পারে।

এক নজরে ৪ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য –

১) ডিজিটাল লেনদেনের ব্যাপারে সকলে যাতে আরও বেশি করে আগ্রহী হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নিল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

২) স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এনইএফটির জন্য ১ থেকে ৫ টাকা এবং আরটিজিএস-এর জন্য ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নিত। কিন্তু এবার থেকে আর কোন টাকায় নেওয়া যাবে না।

৩) এটিএম লেনদেন করার ব্যাপারে যে নিয়ম আছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন তৈরি হয়েছে বলে মনে করে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আর তাই সেই কাজ করার জন্য একটি কমিটিও করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

৪) এটিএম ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা পেরিয়ে গেলে যে পরিমাণ টাকা দিতে হয় তা ভবিষ্যতে আর নাও লাগতে পারে।

১ টাকার কয়েন নিয়ে বড় খবর, না জানলে বিপদে পড়বেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোট ১ টাকার কয়েন নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর, যা না জানলে বিপদে পড়তে পারেন। শুধু বিপদে পড়াই নয় হতে পারে জরিমানা এবং জেল হেফাজতও। বাড়ি থেকে ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে বাজারে বা অন্যান্য জায়গায় গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বর্তমানে ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই একটি নিয়ম জারি করে দিয়েছেন, যদিও সেই নিয়ম নিয়ে কোনো ঘোষণা এখনো পর্যন্ত হয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে ট্রেনে, বাসে কোথাও ছোট এক টাকার কয়েন নিতে চাই না কেউই। রিজার্ভ ব্যাংকের ঘোষণা ছাড়াই এই ছোট এক টাকার কয়েন বর্তমানে অচল। কিন্তু ইতিমধ্যে এই ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে এলো নতুন আপডেট।

ছোট এক টাকার কয়েন চালু করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে এই ছোট এক টাকার কয়েন এখনো পর্যন্ত বাতিল ঘোষণা করা হয়নি। সুতরাং আপনি যদি একজন ভারতীয় নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে এই ছোট এক টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। হতে পারে জরিমানা থেকে কারাদণ্ড। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এক টাকার ছোট কয়েনকে এখনো পর্যন্ত বাতিল ঘোষণা করেনি, তাই কোন ভারতীয় ব্যবসায়ী বা কোন ভারতীয় নাগরিক এক টাকার ছোট কয়েন নিতে আপত্তি করলে তার বিরুদ্ধে ১২৪(এ) – ধারা অনুযায়ী দেশদ্রোহীতার অভিযোগে মামলা হতে পারে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে তার ৩ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।”

আপনি যদি বাজারে ছোট এক টাকার কয়েন বের হন আর কোনো ব্যবসায়ী বা যে কেউ সেই কয়েন নিতে অস্বীকার করলে সরাসরি অভিযোগ জানান স্থানীয় পুলিশ অথবা ন্যাশনাল কনজ্যুমার ফোরামের টোল ফ্রি নাম্বারে। ন্যাশনাল কনজ্যুমার ফোরামের টোল ফ্রি নাম্বার টি হল ১৮০০১১৪০০০.

ন্যাশনাল কনজ্যুমার ফোরাম আপনার থেকে অভিযোগ পেলে সং থানায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবে এবং এক টাকার ছোট কয়েন নিতে অস্বীকার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সুতরাং আপনি একজন ব্যবসায়ী হন অথবা ক্রেতা এক টাকার ছোট কয়েন নিতে অস্বীকার করলে বিপদে পড়তে পারেন। যতদিন না ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই ছোট এক টাকার কয়েনকে বাতিল ঘোষণা করছে ততদিন বাজারে সচল ছোট এক টাকার কয়েন।