Newspapers: আধুনিক যুগ হল তথ্য প্রযুক্তির যুগ, তাই এই যুগে দাঁড়িয়ে খবরের কাগজের পাতা উল্টে খবর পড়তে অনেকেই ভুলে গেছে। ব্যস্ত জীবনে পথ চলতে সবার হাতেই সময় খুব কম। বর্তমানের ডিজিটাল যুগে অনেকেই নিজেদের গ্যাজেটে খবর পড়তে বেশি পছন্দ করেন। তবে আধুনিক যুগেও এমন কিছু পাঠক এখনো রয়েছেন যারা সংবাদপত্র পড়তেই বেশি পছন্দ করেন। হাতে ধোঁয়াও ঢাকা আর সংবাদপত্র দুটো না হলে কিছুতেই সকাল যেন জমে ওঠেনা।
তবে যুগের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে সংবাদপত্রগুলো কিন্তু নিজেদেরকেও আধুনিকতার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। খবর পরিবেশন এনেছে অনেক বিভিন্নতা। কিন্তু কিছু জিনিস এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। যারা খবরের কাগজ (Newspapers) নিয়মিত পড়েন তারা লক্ষ্য করবেন পাতার নিচে চারটি রঙিন ডট থাকে। কখনো ভেবে দেখেছেন না কাগজের পাতায় এগুলো দেওয়ার আসল কারণ কি? কী উদ্দেশে সেগুলি দেওয়া থাকে কখনও জানতে ইচ্ছে করেনি? এগুলোর আদৌ কি কোন গুরুত্ব রয়েছে?
যখন সংবাদপত্র (Newspapers) ছাপানো হয় তখনই এই ডটগুলি সঠিক জায়গায় এবং সঠিক রং দিয়ে ছাপিয়ে দেওয়া হয়। সকলেই হয়তো জানেন যে, লাল, হলুদ এবং নীল এই রংগুলিকে অন্য রঙের মিশ্রণে তৈরি করা যায় না। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তিনটি প্রাথমিক রঙকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রঙ তৈরি করা যায়। মুদ্রণে এই তিনটি রঙের ব্যবহার করে নানা রঙ তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি চতুর্থ রঙ হিসাবে কালো রঙকে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন:Full Form of Boroline: ঠোঁট ফাটলেই মনে পড়ে বোরোলিনকে, কিন্তু জানেন এর ফুলফর্মটি কি
খেয়াল করে দেখবেন খবরের কাগজের নীচে থাকা ডটগুলি নীল, গোলাপি, হলুদ এবং কালো এই অনুসারে সাজানো থাকা। খবরের কাগজের নিচে এই নানারঙের ডট একে সংবাদপত্রে রঙিন ছবি এবং শিরোনাম তৈরি করা হয়। যখনই সংবাদপত্রের মুদ্রণ প্রক্রিয়া চলে তখন চারটি রঙের প্রতিটির জন্য পৃথক প্লেট ব্যবহার করা হয়। সংবাদপত্রের (Newspapers) পাতাগুলোকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করতে এই ডটগুলোর অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। খবরের কাগজের ছবিগুলিকে তীক্ষ্ণ এবং প্রাণবন্ত করতে ব্যবহার করা হয় এই প্লেটগুলি। কোন কারণে যদি প্লেটগুলো ভুলভাবে বসানো থাকে তাহলে কিন্তু ছবির রঙ ঠিক মতো দেখাবে না।
এই পদ্ধতি কিন্তু শুধুমাত্র সংবাদপত্রেই (Newspapers) নয়, বই এবং ম্যাগাজিন ছাপাতেও এই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়। প্রথম এই পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু হয় ১৯০৬ সালে, ঈগল প্রিন্টিং কোম্পানি এই পদ্ধতিতে ছাপা শুরু করে। সেই ধারা মেনেই সকলের এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে এবং বর্তমানেও তা বজায় রয়েছে।