হিমাদ্রি মণ্ডল : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকারের ফিরলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ‘দুয়ারে রেশন’ চালু করা হবে। আর এরপর তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তন করার সাথে সাথেই এই প্রকল্প শুরু করার তোড়জোড় শুরু হয়। সেই প্রকল্পেরই শুভ সূচনা হলো বৃহস্পতিবার।
গত মঙ্গলবার রাজ্য খাদ্য ভবনে এই প্রকল্প শুরু করা নিয়ে রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, খাদ্য সচিব পারভেজ সিদ্দিকী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা একটি জরুরি বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দ্রুত এই প্রকল্পকে চালু করার। প্রথমে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই প্রকল্পকে রাজ্যের ২৮টি জায়গায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বীরভূমের সিউড়ির হাটজানবাজারে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই প্রকল্প শুরু হলো।
কিভাবে দেওয়া হচ্ছে রেশন সামগ্রী
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার রেশন ডিলার থেকে রেশন সামগ্রী গাড়ি করে বহন করে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ক্যাম্প করে রেশন সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। যেখানে ক্যাম্প করা হচ্ছে সেখানে নিকটবর্তী এলাকার গ্রাহকরা আসছেন এবং লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন সামগ্রী বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে একেবারে বাড়ির দরজায় রেশন সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না, ক্যাম্প থেকেই রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দূরে রেশন দোকান যাওয়া থেকে কিছুটা হলেও সুরাহা হচ্ছে গ্রাহকদের।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে রেশন ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্প করে রেশন সামগ্রী বিতরণ করা হলেও যদি দেখা যায় কারোর বাড়িতে রেশন সামগ্রী বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই, সেক্ষেত্রে আমাদের কর্মচারীরাই তার বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবেন।