নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তথ্য অনুযায়ী বছরে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। যদি প্রতিদিনের হিসেবে আসা যায় তাহলে এই সংখ্যাটা দাঁড়ায় প্রায় দু’কোটি। এই বিপুলসংখ্যক মানুষদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য রেলের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। রেলের তরফ থেকে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা মূলত যাত্রীদের আরো স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে যাত্রা করানোর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।
ঠিক সেই রকমই এবার পূর্ব রেলের তরফ থেকে এমন এক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো যার ফলে পূর্ব রেলের একটি রুটের ১৪৩ কিলোমিটার রেলপথে সাঁই সাঁই করে ছুটবে ট্রেনগুলি। এর ফলে ট্রেনগুলি আরও যথাসময়ে পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে। মূলত সঠিক সময়ে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের থেকে নানান অভিযোগ শোনা যায়, নতুন এই ব্যবস্থাপনার ফলে এই সকল অভিযোগের অনেকটাই অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পূর্ব রেলের আওতায় থাকা সীতারামপুর এবং ঝাঁঝার মধ্যে ১৪৩ কিলোমিটার ডবল লাইনে রেলের তরফ থেকে ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি করে ১৩০ কিলোমিটার (Train Speed Increased) করা হয়েছে। এই রুট দিয়ে আসানসোল ডিভিশনের ৭৪টি মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও ৩৯ টি পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। এই সকল প্রত্যেকটি ট্রেন এবার যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা পাবে, অন্ততপক্ষে তাদের সময় অনেকটাই বেঁচে যাবে।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য অনুযায়ী যে সকল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন এই রুটে যাতায়াত করে তাদের সময় অন্ততপক্ষে ৮ মিনিট বাঁচবে এবং অন্যান্য যে সকল এলএইচবি ট্রেন যাতায়াত করে তাদের সময় ১১ থেকে ১২ মিনিট বাঁচবে। অজস্র ট্রেন রয়েছে যেগুলি এই রুটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় বাঁচানোর পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের সঠিক সময়ে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও সুবিধা পাবে।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে ১৪৩ কিলোমিটার রাস্তায় ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করার ফলে যে সকল ট্রেনের যাত্রীরা উপকৃত হবেন সেগুলি হল হাওড়া-নিউ দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি-হাওড়া পূর্বা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-বালিয়া-শিয়ালদা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-জয়নগর-শিয়ালদা এক্সপ্রেস সহজ ৭৪টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ৩৯ টি পণ্যবাহী ট্রেন।