নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য গরমের যে ছুটি (Summer Vacation) রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে আগাম নির্ধারিত করা হয়েছিল তার অনেক আগে থেকেই এই বছর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত ছিল ৬ মে থেকে ছুটি পড়বে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও যেভাবে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পায় তাতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা দপ্তর সিদ্ধান্ত বদল করে।
দক্ষিণবঙ্গে যখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে ৪২-৪৩ ডিগ্রিতে পড়তে শুরু করে তখনই রাজ্য শিক্ষা দপ্তর তড়িঘড়ি স্কুল সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২২ এপ্রিল থেকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা পড়ে যায়। তবে এবার আবহাওয়া বদল এসেছে আর পুনরায় স্কুল খোলার (School Reopen) সময় এসে গেছে। পুনরায় কবে স্কুল খুলবে (School Reopen Date), সেই বিষয়েই এবার আপডেট পাওয়া গেল।
২২ এপ্রিল থেকে স্কুল সহ রাজ্যের সরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে কবে সেগুলি পুনরায় খোলা হবে তা নিয়ে কোন ঘোষণা করা হয়নি। এক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পূর্বের সূচি অনুযায়ী ৬ মে থেকে স্কুল ছুটি হওয়ার পর তা ২ জুন খুলবে এমনটাই জানা যাচ্ছিল। কিন্তু ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ রাখতেই দেখা যায় ২ জুন পড়েছে রবিবার। যে কারণে রবিবার তো আর স্কুল খুলতে পারেনা।
অন্যদিকে গরম ছাড়াও এখন দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্যেও চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত দফা লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ধাপে ধাপে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়ায় বদল এলেও মে মাসে স্কুল খোলার কোন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের তরফ থেকে। মূলত জুন মাসেই স্কুল খুলবে এমনই খবর মিলেছে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে।
সাত দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা লোকসভা নির্বাচন রয়েছে ১ জুন শনিবার। আর এই ভোটের সমস্ত কাজকর্ম শেষ করেই ৩ জুন অর্থাৎ সোমবার পুনরায় স্কুল সহ সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা পুনরায় খুলবে বলেই জানা যাচ্ছে। আবার কোন কোন সূত্র আশঙ্কা করছে, যেহেতু ৩ জুন সোমবারের পর আবার মঙ্গলবার ৪ জুন রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল, সেক্ষেত্রে পুনরায় স্কুল খোলার তারিখ আরও এক দু’দিন পিছিয়ে গেলেও যেতে পারে। কেননা ভোটের কারণে এখনো বহু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পাশাপাশি ভোটের কাজে ব্যস্ত অনেক সরকারি কর্মীরা।