New Delhi Plan 365: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করার পর থেকে গোটা বাংলাদেশে যেন অরাজকতা শুরু হয়। জায়গায় জায়গায় লুট, ডাকাতি থেকে শুরু করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করতে শুরু করে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত তথা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে যেমন কোন মানুষ ভারতে আসতে পারছেন না, তেমন ভারত থেকে কোন পণ্য আমদানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। যার ফলে ক্রমশ অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। তাই নরেন্দ্র মোদী আনতে চলেছেন ভারত প্ল্যান ৩৬৫।
এই অর্থনৈতিক দুর্বলতার মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মৌলবাদরা। মৌলবাদীরা হিন্দুদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে। ভারত বিরোধী নানারকম ছোট বড় কান্ড ঘটিয়ে চলেছে। এমনকি তাদের এই কর্মকাণ্ডের কাছে ইউনুস সরকারকেও যেন তুচ্ছ বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কলকাতা দখল তথা ভারত আক্রমণের হাক পাড়ছে তারা। অবশেষে বাধ্য হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নয়া দিল্লি প্ল্যান ৩৬৫’ (New Delhi Plan 365) কার্যকরী করার কথা ভাবছেন। যার ফলে এক সেকেন্ডে জব্দ হতে পারে গোটা বাংলাদেশ।
ভারত প্ল্যান ৩৬৫ (New Delhi Plan 365) কী জানতে চান? অভ্যুত্থানের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বস্ত্র শিল্প বাংলাদেশে ক্রমাগতই উন্নতি লাভ করতে থাকে। একটা সময় বস্ত্র শিল্পের সফলতা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছিল। যার ফলে বাংলাদেশেই বিভিন্ন ধরনের বিদেশি কোম্পানির টেক্সটাইল অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ চীনের ঠিক পরবর্তী স্থান দখল করতে পেরেছিল বৃহত্তম টেক্সটাইল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর থেকে এই সমস্ত ভালো ভালো জিনিস মুছে যেতে শুরু করে বাংলাদেশের বুক থেকে। আর এই দুর্বলতাকে হাতিয়ার করে নিতে চাইছে ভারত।
আরও পড়ুন:India-Bangladesh Update: ভারতের চাল দেশে ঢোকাতে রাজি নয় বাংলাদেশ, কোন দেশের উপর করছে ভরসা
ভারতের বর্তমান প্রধান লক্ষ্য হলো, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের টেক্সটাইলের যে রপ্তানির যোগসূত্র রয়েছে তা বিচ্ছিন্ন করা। আমেরিকা, ইউরোপের মতো তাবড় তাবড় দেশে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় যাতে বাংলাদেশকে এক ধাক্কায় প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দিতে পারে সেই চেষ্টাই করছে ভারত। ২০২৫ সালে যখন ট্রাম্প শপথ নেবেন সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে বিদেশ সফরে বেরোবেন। আর সেই সময়ই ব্যবহার করবেন আসল ব্রহ্মাস্ত্র।
বাংলাদেশের মূল রপ্তানি যখন বন্ধ হতে থাকবে তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও খুব দ্রুত হারে হ্রাস পেতে থাকবে। আর যার ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে বাংলাদেশ। আর ভারতও সবদিক থেকে চেষ্টা করবে বাংলাদেশের রপ্তানিতে হস্তক্ষেপ করার। তাই বাংলাদেশ যদি এভাবেই ভারতের পেছনে লেগে পড়ে থাকে, তবে খুব শীঘ্রই এক বিরাট অর্থনৈতিক সংগ্রামের সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে।