Nepal Janata Party has chanted the ideology of Hinduism: প্রতিবেশী দেশে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে বিজেপির ম্যাজিক। দেড় দশকে এইরকম অভাবনীয় সাফল্য কল্পনা করা যায় না। তাহলে কি প্রতিবেশী দেশেও নিজের সংগঠনকে মজবুত করে ফেলেছে বিজেপি? রীতিমতো পদ্ম ঝড় দেখা দিয়েছে নেপালে। এর পিছনের আসল রহস্যটা কি? নেপাল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল দেশটিতে সম্প্রতি জনতা পার্টি বা এনজিপির (Nepal Janata Party) স্থানীয় স্তরের বেশ কয়েকটি নির্বাচন হয়। নির্বাচনের ফল রীতিমত চমকে দিয়েছে জনগণকে।
নেপাল জনতা পার্টি (Nepal Janata Party) একেবারে নবগঠিত একটি পার্টি যা দখল করেছে মোট ১৭টি আসন। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই নতুন গঠিত পার্টি নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র থেকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ছিনিয়ে নেন। বিজেপির আদলে তৈরি এটি একটি হিন্দুত্ববাদী দল। অবশ্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, হিন্দু ভোটের উপর ভর করেই সংগঠন বাড়াচ্ছে NJP। বর্তমানে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি খেমনাথ আচার্য রয়েছে নয়াদিল্লিতে।
পার্টির তরফ থেকে জোর গলায় বলা হয় যে, আগামীবারের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি পার্লামেন্টের অর্ধেকের বেশি আসন জয় করবে। এছাড়া, নেপালের আইনসভার House of Representative-র সদস্য সংখ্যা হলো ২৭৫, যার মধ্যে ১৩৮ কেন্দ্র জয়ের লক্ষ্য হলো NJP র। NJP–র প্রথম পথ চলা শুরু হয় ২০০৮ সালে। দলটি (Nepal Janata Party) সম্পূর্ণরূপে গড়ে উঠেছে বিজেপি আদলে। বিশেষজ্ঞদের কি বলছেন এই দলটি সম্পর্কে? আগামী দিনে NJP হয়তো নেপালে নিজের ক্ষমতা বিস্তার করতে সক্ষম হবে কারণ এই দলটি দ্রুতগতিতে বাড়াচ্ছে নিজেদের সংগঠন। আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একটা সময় অযোধ্যার রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি খেমনাথ। সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা RSS-র সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
হয়তো অনেকেই জানেন যে, গত শতাব্দী পর্যন্ত নেপাল ছিল হিন্দুরাষ্ট্র। বর্তমানে এভারেস্টের এই দেশটির সংবিধানে আমূল পরিবর্তন আসে। নেপালের পার্লামেন্ট এই দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু নেপালি জনগণের ৮১ শতাংশই হিন্দু। সরকারের সিদ্ধান্তকে এদেশে জনগণ মেনে নিতে পারেনি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন যে, এরাই NJP-কে (Nepal Janata Party)ঢেলে ভোট দিয়েছেন। এর পেছনে আরো একটি অন্যতম কারণ হলো, নেপালের উপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি। যা হিন্দুত্ববাদী দলের উত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ।
ভাষা বিশেষজ্ঞরা জানেন যে নেপালি ভাষার সঙ্গে হিন্দি ভাষার একটা মিল রয়েছে। এছাড়া নেপালে ভোজপুরী ও মৈথিলি ভাষার প্রচলন রয়েছে। তবে চীনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো এইসব ভাষার প্রভাব দূর করে মান্দারিন ভাষার প্রসার ঘটানো। নেপালি জনতা পার্টি এর বিরুদ্ধেও আন্দোলন চালাচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে দলের প্রধান কার্যালয় খুলেছে BJP র আদর্শে উদ্বুদ্ধ এই জাতীয়তাবাদী পার্টি। সারা দেশ জুড়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ এইখান থেকেই শুরু হয়েছে। এনজিপি পার্টির তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ৪০ হাজারের বেশি মানুষ তাঁদের হয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।