দেশের সবচেয়ে বেশি দিনের মুখ্যমন্ত্রী কে? ৯০ শতাংশ মানুষই ভুল জানেন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজনীতি হোক অথবা অন্য কোন ক্ষেত্র, সব জায়গাতেই মানুষ একে অপরকে টেক্কা দিতে চায়। ঠিক সেই ভাবেই সবচেয়ে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে টেক্কা দেওয়ার ইচ্ছে কোন মুখ্যমন্ত্রীর না নেই! তবে ইচ্ছে থাকলেই তো আর সব সময় সম্ভব হয় না। কারণ একজন মুখ্যমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ভর করে জনগণের রায়ের উপর।

Advertisements

এখন যদি প্রশ্ন করা হয় দেশের সবচেয়ে বেশি দিনের মুখ্যমন্ত্রী কে? এর উত্তর ৯০ শতাংশ মানুষেরই জানা নেই অথবা ভুল জানা রয়েছে। কেননা দেশের সবচেয়ে বেশি দিনের মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় যেমন রয়েছেন জ্যোতি বসু (Jyoti Basu), ঠিক সেই রকমই আবার সম্প্রতি জ্যোতি বসুকে টেক্কা দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক (Naveen Patnaik)। তাহলে কি দেশের সবচেয়ে বেশি দিনের মুখ্যমন্ত্রী এবার নবীন পট্টনায়ক! নাকি এই প্রতিযোগিতায় রয়েছেন অন্য কেউ!

Advertisements

ঠিকই ধরেছেন, কেননা এই তালিকায় এখনো পর্যন্ত জায়গা করতে পারেননি নবীন পট্টনায়ক। অন্যদিকে জ্যোতি বসুর আর জায়গা করার কোন সুযোগও নেই। সেইমত এখন দেশের সবচেয়ে বেশি দিনের মুখ্যমন্ত্রী হলেন পবন কুমার চামলিং। তিনি ২৪ বছর ১৬৬ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন। অন্যদিকে নবীন পট্টনায়ক এখন ২৩ বছর ১৪০ দিন পার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জ্যোতি বসু। তার রাজত্বকাল হলো ২৩ বছর ১৩৭ দিন।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ১৯৭৭ সালের ২১ জুন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কুর্সিতে বসেন এবং তারপর টানা পাঁচ বছর তিনি রাজত্ব করেন। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান এবং তার জায়গায় বসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

১৯৯৭ সালের রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন নবীন পট্টনায়ক। বাবা বিজু পট্টনায়কের মৃত্যুর এক বছর পর তিনি বিজু জনতা দল গঠন করেন। এরপর ২০০০ সালের ৫ মার্চ প্রথম তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উড়িষ্যার কুরসিতে বসেন। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন তিনি।

দেশের সবচেয়ে বেশি দিনের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং (Pawan Kumar Chamling) প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে। যে সময় সিকিমে ক্ষমতায় আসে সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। এরপর থেকে টানা ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু পরাজয়ের পর আর ষষ্ঠবারের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি।

Advertisements