নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই একটি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) আছড়ে পড়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার নাম হতো রিমাল। যদিও রবিবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ওই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকে স্বস্তির খবর দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে উদ্বেগ নেই বলেই জানানো হলো। যদিও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কিনা তা স্পষ্ট না হলেও একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন তৈরি হয়েছে এবং সেটি ২২ মে নিম্নচাপে পরিণত হবে হলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি এই সাইক্লোনিক সার্কুলেশন নিয়ে রবিবার বিভিন্ন জেলার জন্য হলুদ এবং কমলা বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্ট (Cyclonic Circulation Alert) জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে রবিবার জানানো হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বিরাজ করছে। আর এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প রাজ্যের পরিমণ্ডলে প্রবেশ করছে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ২০ মে অর্থাৎ সোমবার ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমানের কোন কোন জায়গায়। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দক্ষিণবঙ্গের এই সকল জেলার জন্য হাওয়া অফিসের তরফ থেকে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে সোমবার ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা।
আরও পড়ুন ? Rangaroon: দার্জিলিংয়ের পাশেই রয়েছে ছোট্ট এক গ্রাম, যেখানে গেলে দূর হয়ে যাবে একঘেঁয়েমি ভাব
অন্যদিকে ২১ ও ২২ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে, হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। ওই দুদিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। দুদিনের জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
এবার যদি উত্তরবঙ্গের দিকে তাকানো যায় তাহলে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মত জেলায়। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের কোন কোন জেলায় ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের যেমন সম্ভাবনা রয়েছে ঠিক সেই রকমই আবার কোন কোন জেলায় ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।