Private Tuition: নির্দেশ অমান্য প্রাইভেট টিউশন, সরকারের কোপে এই জেলার ৯১ জন শিক্ষক!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

91 teachers have received notice from the government for disobeying the instruction of private tuition: সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি শিক্ষকরা করতে পারবে না কোন রকম প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition)। কিন্তু সরকারের এই নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রীতিমতো বহু শিক্ষক এখনো করে যাচ্ছেন প্রাইভেট টিউশন। সেই অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের ৯১ জন শিক্ষককে চিঠি পাঠাল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস। ৯১ জন শিক্ষককে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে।

Advertisements

পূর্ব বর্ধমানের ওই স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের কাছে শিক্ষা দপ্তরের মেমো নম্বর উল্লেখ করে পাঠানো হয়েছে মেল। চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নিয়োগপত্রের ফটোকপি নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে দেখা করতে হবে। সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি (Private Tuition) করা নিয়ে এর আগে অনেকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে আমল করেনি কিছু কিছু শিক্ষক।

Advertisements

চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শুরু করে গেছে শিক্ষক মহলে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক মন্তব্য করেছেন যে, যেসব সরকারি শিক্ষকরা সরকারি নিয়ম না মেনে প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) পড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এইসব শিক্ষককে তাদের নিয়োগ পত্রের ফটোকপি নিয়ে নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে আসতে বলা হয়েছে। শিক্ষকরা এসে জানাবেন তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা তা লিপিবদ্ধ করে শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দেবো। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Teacher Lost His Job: কপাল খারাপ হলে যা হয় আর-কী! ঘরের কাছে স্কুল চাইতে গিয়েই এবার চাকরি গেল এই শিক্ষকের

শিক্ষা দপ্তর সূত্রে এটাও সামনে এসেছে যে, প্রাইভেট টিউশন যেসব তরুণ তরুণীদের প্রধান রোজগার সেই সংগঠন বহু দিন অভিযোগ করছেন যে স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি (Private Tuition) পড়িয়ে তাদের ভাত মারার চেষ্টা করছেন। ওই তরুণ-তরুণীরা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁরা হাইকোর্টে মামলাও করেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন তালিত গৌরেশ্বর হাই স্কুলের রসায়নের শিক্ষক সজল দে।

চিঠির প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, তিনি আগে টিউশনি পড়াতেন তবে সরকারি নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে তিনি আর তা পড়ান না। হয়তো আগে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কৃষ্ণপুর হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সামসুদ্দোহা বলেন, তিনি পাঁচ বছর আগেও ইংলিশ পড়াতেন। যখন প্রাইভেট টিউটরদের সংগঠন আন্দোলন করা শুরু করেন তখন তিনি তা বন্ধ করে দেন। এখনো কেন তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তা তিনি বুঝতে পারছেন না। ২ মে আগে দেখা করার সময় দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে গিয়ে তিনি তার বক্তব্য পেশ করবেন।

Advertisements