Pan কার্ড হারিয়ে গেছে! রইলো সহজেই রিপ্রিন্ট করার পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্যান কার্ড বা প্যান নাম্বার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একজন ভারতীয়র কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। ব্যাঙ্ক হোক অথবা সোনা, বাড়ি ক্রয় ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই এখন প্যান বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করতে গেলে অবশ্যই লাগবে প্যান। কিন্তু এই প্যান কার্ড হারিয়ে গেলে কি করবেন?

প্যান কার্ড হারিয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে, এ কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে এই সমস্যা থেকে রেহাইয়ের উপায় রয়েছে। প্যান কার্ড হারিয়ে গেলেও খুব সহজেই করা যাবে রিপ্রিন্ট। রিপ্রিন্ট অর্থাৎ ডুপ্লিকেট প্যান কার্ড বের করার জন্য অবশ্য বেশ কয়েকটি অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।

প্যান কার্ড রিপ্রিন্ট করার জন্য আপনার প্যান কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার রেজিস্টার থাকতে হবে। পাশাপাশি ইমেইল আইডি রেজিস্টার থাকলেও খুব ভালো হয়। আর এই রিপ্রিন্ট করার খরচ হবে ৫০ টাকা ভারতের যেকোনো স্থানে পাঠানোর জন্য। আর সেই প্যান কার্ড ভারতের বাইরে কোথাও পাঠানোর জন্য খরচ হবে ৯৫৯ টাকা।

রিপ্রিন্টের অর্ডার দেওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে https://www.tin-nsdl.com/সাইটে। যেখানে বেশ কয়েকটি অপশন এর মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন ‘Reprint for Pan Card’। যেখানে ক্লিক করলেই আপনি পৌঁছে যাবেন পরবর্তী পর্যায়ে। তারপর সেখানে চাওয়া হবে আপনার প্যান নাম্বার, আধার নাম্বার, জন্মের মাস ও সাল। এগুলি সঠিকভাবে দেওয়ার পর ক্যাপচা কোড দিয়ে সাবমিট করতে হবে।

এরপর ধাপে ধাপে সব পর্যায়গুলি সম্পন্ন করতে হবে। এগুলি করার সময় আপনার মোবাইল নাম্বার বা ইমেল আইডিতে একটি ওটিপি পাঠাবে আয়কর দপ্তর। যেটি সঠিকভাবে দিয়ে আপনাকে প্ৰমাণ করতে প্যানটি আপনার। এরপর ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডের অর্ডার দিলে সেই প্যান কার্ডটি আপনার সেই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে আয়কর দপ্তর, যে ঠিকানাটি তাদের কাছে রয়েছে। এছাড়াও যদি আপনার তাড়া থাকে তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে লিঙ্ক থেকে e-Pan ডাউনলোড করে নিতে পারেন৷

বিশেষ উল্লেখ্য, পুরনো প্যান কার্ডে যে তথ্য ছিল সেই তথ্যে কোনও বদল করা যাবে না এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ডুপ্লিকেট প্যান নম্বরের কোনও কিছু আপডেট করা যাবে না৷ নাম, ঠিকানা সব কিছু আগের মতোই থাকবে।

যেখানে সেখানে মোবাইল চার্জ করেন! খোয়াতে পারেন অ্যাকাউন্টের টাকা! সতর্ক করলো SBI

সাবধান! এই একটা ভুলের জন্য খুইয়ে ফেলতে পারেন সর্বস্ব। সতর্ক করলো SBI

নিজস্ব প্রতিবেদন : পাবলিক চার্জিং স্টেশন থেকে নিজেদের মোবাইল চার্জ করলে আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন আপনার সব টাকা! এই সতর্কীকরণ দেওয়া হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসবিআই জানিয়েছে যে, চার্জিং পয়েন্টে আপনি ফোন রাখলে হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেহেতু বর্তমানে ইন্ডিয়া ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে পরিণত হয়েছে তাই ব্যাঙ্ক যাওয়ার সমস্যা কমাতে নিজের স্মার্টফোনেই এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে গ্রাহকরা, সেখানেই থাকে সব নথিপত্র। ব্যাঙ্কও এখন ওই মুঠোফোনে বন্দী, নেট ব্যাঙ্কিং থেকে মানি ট্রানসঙ্কশন সবই হয় ফোনে। আর সেই কারণেই হ্যাকাররা আপনার ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে নিতে নজর রাখছে আপনার মোবাইল ফোনের উপরই।

বর্তমানে স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট সবখানেই চার্জিং স্টেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে বিনামূল্যে চার্জ করানো যায় ফোনে এবং এসব স্থানগুলিকে টার্গেট করেছে হ্যাকাররা। স্মার্টফোন ম্যালওয়্যার নামের ভাইরাস ঢুকিয়ে আপনার সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে তারা। এইরকম জুশ জ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য সতর্কবাণী দিয়েছে SBI।

বর্তমানে মোবাইলফোন মানুষের সাথে ভীষণভাবে জড়িয়ে। সেই ফোনের চার্জ কমে গেলে চার্জিং পয়েন্ট খোঁজেন সবাই এবং যে চার্জিং স্টেশনগুলিতে বিনামূল্যে চার্জ করা যায় মোবাইল সেসব জায়গায় অনায়াসে চার্জে বসিয়ে দেন সবাই। কিন্তু সেই চার্জিং USB মোবাইল ফোনে ঢুকলে আপনার অজান্তেই আপনার ফোনের তথ্য নথি সব ফটো, ভিডিও সব হাতিয়ে নেবে হ্যাকাররা। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ এই একটা ভুলের জন্য খুইয়েছেন অনেককিছু।

চারটি বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্কতা এই জুশ জ্যাকিং থেকে বাঁচাতে পারে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেছে এসবিআই।

১. যদি একান্তই কোনো প্রয়োজনে চার্জিং স্টেশন থেকে চার্জ করতে হয় নিজের USB ব্যবহার করুন।

২. পাবলিক চার্জিং স্টেশনে মোবাইল চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক আউটপুট থেকেই চার্জ করুন। 

৩. পোর্টেবল ব্যাটারি কেনার সময় ভরসা করবেন চেনা ভেন্ডারদের।

৪. মোবাইল চার্জ করার জন্য পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখুন। এছাড়াও

• আপনার মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের পাসওয়ার্ড কিছু সময় অন্তর বদলে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে SBI।

• আপনার প্রোফাইল শেষ কখন লগ ইন করা হয়েছে সেই বিষয় সতর্ক থাকুন। মোবাইলের মেজেস অ্যালার্ট অন রাখুন।

তবে শুধু SBI নয়, অন্যান্য ব্যাঙ্কের গ্রাহকদেরও এই বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।

Online -এ কেনাকাটা করলে SBI দিচ্ছে ৪৫% পর্যন্ত ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া শুরু করেছে YONO Shopping Festival। যাতে গ্রাহকরা ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন অনলাইনে কেনাকাটায় বা হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে। এই অফার শুরু হয়েছে গত ১০ই ডিসেম্বর থেকে, চলবে আগামী ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এই সময়সীমার মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা yono অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করলে পাবেন ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ফেষ্টিভেল উপলক্ষে এই অফারে সোনা কিনলেও পাওয়া যাচ্ছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এমনটাই জানা গেছে এসবিআই তরফ থেকে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে করা পোস্টে।

এসবিআইয়ের এই অফারে ১৭ টি কমার্শিয়াল সাইট থেকে গ্রাহকরা অনলাইনে কেনাকাটা করে এই ছাড় পেতে পারেন। কেনাকাটা ছাড়াও হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেও বিপুল ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এসবিআই এই ফেস্টিভেল অফার ছাড়াও সারা বছরই কোনো না কোনো আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে yono অ্যাপ ব্যবহারকারীদের।

NEFT-তে বড়সড় বদল, গ্রাহকদের সুবিধার্থে নিয়ম পরিবর্তনের ঘোষণা করলো RBI

NEFT পেমেন্টের তারিখ, সময় ও নিয়মের একদম নতুন আপডেট, বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা।

নিজস্ব প্রতিবেদন : আপনি কি একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ইলেকট্রনিকালি ফান্ড পাঠানোর জন্য ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার (NEFT) সিস্টেম ব্যবহার করেন? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনার জন্য এইখানে রয়েছে সুখবর!

শেষ বিবরণ অনুসারে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) ঘোষণা করে জানিয়েছে যে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে NEFT সিস্টেমকে রাউন্ড-দ্য-ক্লক ভিত্তিতে পাওয়া যাবে।

NEFT সিষ্টেমটি মূলত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (যেই ব্যাঙ্কগুলি এই সিস্টেমের মধ্যে পরে) ইলেকট্রনিকালি ফান্ড ট্রান্সফার করতে ব্যবহার করা হয়।

RBI এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “ছুটির দিন সহ বছরের প্রত্যেকটি দিনেই এই সিস্টেমটি পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্কগুলির অফিসিয়াল ব্যাঙ্কিং আওয়ারের পরেও NEFT লেনদেনগুলি ব্যাঙ্কগুলির ‘স্ট্রেট থ্রু প্রসেসিং (STP)’ ব্যবহার করে অটোমেটিক ভাবে লেনদেনের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন আরবিআই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঠিক কি কি নির্ধারিত করে জানিয়েছে

NEFT থাকবে 24×7 ভিত্তিতে।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে উপরোক্ত সুবিধাটি ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে শুরু হবে।

সদস্য ব্যাঙ্কগুলিকে নিম্নলিখিতটি নোট করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, প্রতিদিন ৪৮ টি আধ ঘন্টার ব্যাচ থাকবে। রাত ১২ টা থেকে পরের রাত ১২ টা, এইভাবে চলবে প্রতিদিন। সিস্টেমটি ছুটির দিন সহ বছরের সব দিন উপলভ্য থাকবে। ব্যাঙ্কগুলির স্বাভাবিক ব্যাঙ্কিংয়ের পরে এনইএফটি লেনদেনগুলি ব্যাঙ্কগুলির দ্বারা ‘স্ট্রেট থ্রু প্রসেসিং (STP)’ ব্যবহার করে লেনদেনের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সদস্য ব্যাঙ্কগুলি সমস্ত NEFT ক্রেডিটের পর গ্রাহককে পজিটিভ কনফার্মেশন মেসেজ (N10) পাঠাবে।

এই পদক্ষেপটি রয়েছে পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম অ্যাক্ট, ২০০৭ (২০০৭ সালের অ্যাক্ট ৫১) এর সেকশন ১৮ ও সেকশন ১০(২) এর অধীনে।

Pan Card -এর সাথে Aadhaar লিঙ্ক করার শেষ সময়সীমা জানালো আয়কর দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়কর বিভাগ সপ্তমবারের জন্য প্যান আধারের সাথে লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়িয়েছে, যার মেয়াদ শেষ হবে ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯। এই সময়সীমার মধ্যে সমস্ত প্যান কার্ড ব্যবহারকারীদের অনলাইনে বা এসএমএসের মাধ্যমে আধারের সাথে লিঙ্ক করাতে হবে, নাহলে লিঙ্ক না করানো প্যানকার্ডগুলিকে অবৈধ বা ব্যবহারযোগ্য নয় বলে মানা হবে।

Central Board Of Direct Taxes (CBDT)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লিঙ্ক না করানো প্যান কার্ডগুলিকে ৩১ শে ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো গ্রাহক আধার নম্বরের সাথে প্যান কার্ড যুক্ত করতে ব্যর্থ হলে সেই গ্রাহকের বরাদ্দ করা প্যান নাম্বারটি অবৈধ বলে মনে করা হবে। এই আইনের অন্যান্য যেসব নিয়ম তা মানা হবে। ধরে নেওয়া হবে ওই গ্রাহকের প্যান বরাদ্দের জন্য আবেদন করেননি।

অর্থ বিল অনুসারে, আধারের সাথে লিঙ্ক না করানো এই জাতীয় সমস্ত প্যান কার্ডগুলি ৩১ শে ডিসেম্বরের পরে বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ এরকম নিষ্ক্রিয় প্যান কার্ডগুলি আবার চালু করার অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু যেহেতু এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা না হওয়ায় লিঙ্ক করিয়ে নেওয়াটাই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমান আইন অনুসারে গ্রাহককে প্যানের পরিবর্তে আপনার আধার নম্বরটি ব্যবহার করতে হয়। ফলে গ্রাহক যদি আধার কার্ডের সাথে প্যানের সাথে লিঙ্ক না করিয়ে আয়কর রিটার্নের আবেদন করেন সেক্ষেত্রে গ্রাহককে একটি নতুন প্যান কার্ড সু-মোটো দেওয়া হতে পারে।

প্যান কার্ডের সাথে কিভাবে অধার লিঙ্ক করাবেন-

আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালের মাধ্যমে বা এসএমএসের মাধ্যমে প্যান আধার সাথে লিঙ্ক করাতে পারেন। ই-ফাইলিং পোর্টালের বাঁ দিকে একটি ‘লিঙ্ক আধার’ অপশন রয়েছে, যেখানে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে আপনাকে প্যান, আধার নম্বর এবং নাম জমা করতে হবে। এরপর আপনার মোবাইল ফোনে প্রেরিত কোনও ওটিপির মাধ্যমে সেটি যাচাই করা হবে।

এছাড়া গ্রাহকরা নিম্নলিখিত ফরম্যাট, ইউআইডিপিএন (স্পেস) (১২ ডিজিট আধার) (স্পেস) (১০ ডিজিটের প্যান) লিখে ৫৬৬৬৭৮ বা ৫৬১৬১ নম্বরে এসএমএসও পাঠাতে পারেন।

প্যানের সাথে আধার লিঙ্ক করার জন্য, আপনার নাম, লিঙ্গ এবং জন্ম তারিখ উভয় নথিতে একই হওয়া উচিত।

আধারের মূল তথ্যটির সাথে আধার নামের সাথে কোনও ছোটখাটো অমিলের ক্ষেত্রে, আধারের সাথে রেজিস্টার মোবাইলে একটি OTP (আধার ওটিপি) পাঠানো হবে।

যদি গ্রাহকের আধার কার্ডের নামটি প্যানে উল্লিখিত নামের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়, সেক্ষেত্রে লিঙ্ক ব্যর্থ হবে এবং আপনাকে নাম বা প্যান ডাটাবেসে নাম পরিবর্তন করতে অনুরোধ করা হবে।

ATM -এ আপনার টাকাকে আরও সুরক্ষিত করতে কড়া পদক্ষেপ RBI -এর

নিজস্ব প্রতিবেদন : রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার দ্বি-মাসিক ‘উন্নয়নমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি সম্পর্কিত বিবৃতি’র মাধ্যমে সম্প্রতি জানিয়েছে যে, আরবিআই বাধ্যতামূলক বেসলাইন সাইবার কন্ট্রোল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কয়েকটি ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলি অনেকক্ষেত্রেই এটিএম স্যুইচ অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন পরিষেবা সরবরাহকারীদের উপর নির্ভর করে। এই পরিষেবা সরবরাহকারীদের যেহেতু অর্থ লেনদেনের সাথে সম্পর্ক সেহেতু দেখা যায় নানান ক্ষেত্রে তাদের সাইবার মাধ্যমে হুমকির শিকার হতে হয়। সেই কারনেই আরবিআই বাধ্যতামূলক বেসলাইন সাইবার কন্ট্রোল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে গ্রাহক নিশ্চিন্তে পরিষেবা সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।

নতুন নির্দেশিকায় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে যে, বাধ্যতামূলক নির্দেশিকাগুলিতে স্বাভাবিক ব্যবস্থায় অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার স্থাপনার প্রক্রিয়া ও তার পরিবর্তন, ধারাবাহিক নজরদারি এবং কন্ট্রোল চালু করার প্রক্রিয়া যাতে ঠিকভাবে করা যায় তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রয়োগের প্রয়োজন হবে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য এবং পরিস্থিতি অনুসারে স্থাপনের প্রক্রিয়া এবং অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারগুলিকে পরিবর্তনের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রয়োগের প্রয়োজন হবে, তার সাথেই অবিচ্ছিন্ন নজরদারি, সংবেদনশীল তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বিল্ডিং ক্ষমতা এবং ঘটনার প্রতিক্রিয়া এই প্রক্রিয়াটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে বলে আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ এর মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করবে বলেও জানিয়েছে।

SBI চালু করলো Flexi Deposit, ইচ্ছামত টাকা জমান, সুবিধা নিন

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বৃহত্তম লেনদেনকারী সংস্থা এসবিআই চালু করলো ফ্লেক্সি ডিপোজিট স্কিম। এই প্রক্রিয়ায় যে কোনো ব্যক্তি নিজের সুবিধা অনুযায়ী প্রতিমাসে আলাদা আলাদা পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখতে পারবেন।

এর আগেও এসবিআই বিভিন্ন সঞ্চয় সম্পর্কিত প্রকল্প চালু করে। এই নতুন ফ্লেক্সি ডিপোজিট স্কিম অনুসারে প্রতি মাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ জমা করার প্রয়োজন হয় না। ব্যক্তি নিজের সুবিধা মত প্রতিমাসে অর্থ জমা করতে পারবেন। এর ফলে সবথেকে বেশি সুবিধা হবে খুচরো ছোট ব্যবসায়ীদের, যাদের প্রতি মাসে আয়ের হিসেব নির্দিষ্ট থাকেনা।
এসবিআইয়ের এই ফ্লেক্সি ডিপোজিট প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হলো –

১) এই স্কিমটি একক বা যৌথ ভাবে খোলা যেতে পারে। এই প্রকল্পের জন্য কেউ পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে মেয়াদ বেছে নিতে পারেন। এই স্কিমটি এসবিআইয়ের সমস্ত শাখায় পাওয়া উপলব্ধ। দেশের যে কোনও শাখায় স্থানান্তর করা যেতে পারে এই ডিপোজিটকে।

২) ডিপোজিটের পরিমাণ হিসেবে গ্রাহক যে কোনও একটি ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা দিতে পারেন। এই জমা দেওয়া অর্থ এক মাসের মধ্যে যে কোনও সময় এবং যতবার খুশি জমা করা যায়। বছরে ন্যুনতম ৫০০০ এবং সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা জমা করা যাবে।

৩) ফ্লেক্সি ডিপোজিটে প্রযোজ্য সুদের হার মেয়াদি ডিপোজিটের সমান হিসেবে গণ্য হবে। কেউ যদি ফ্লেক্সি ডিপোজিট স্কিমে পাঁচ বছরের মেয়াদ বেছে নেন তাহলে পাঁচ বছরের ডিপোজিটের ওপর নির্ধারিত সুদের হার তাকে দেওয়া হবে।কিন্তু এক্ষেত্রে এসবিআই কর্মী এবং পেনশনারদের প্রযোজ্য হারের উপর ১% অতিরিক্ত সুদ দেওয়া হবে। প্রবীণ নাগরিকরা সমস্ত ডিপোজিটের উপর ৫০ টি বেসিক পয়েন্ট পাবেন।

৪) কোনো গ্রাহক যদি আর্থিক বছরে ন্যূনতম আমানত জমা দিতে ব্যর্থ হন, তবে জরিমানা হিসেবে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ জমা করতে হবে।

৫) এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনো ব্যাক্তি লোন হিসেবে মূল আমানতের ৯০% নিতে পারবে।

মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে ৩৬০০০ টাকা পেনশন, কেন্দ্র সরকারের নয়া প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিমের অন্তর্গত একটি প্রকল্পটির, যার নাম প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার৷ জাতীয় পেনশন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রেখে এই প্রকল্পটি লঞ্চ করা হয়েছে। যাতে মাসে মাত্র ১০০ টাকা বিনিয়োগেই পাওয়া যাবে বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকার পেনশন। ৬০ বছর পরে নিশ্চিত পেনশনের টাকা পাওয়ার সুযোগ সুবিধা থাকছে।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষেরা, যেমন রিকশা চালক, ফুটপাতে যিনি ব্যবসা করেন, যিনি পরিচারক বা পরিচারিকার কাজ করেন, মিড ডে মিলের দলে কাজ করেন, ধোপার কাজ করেন এই রকম পেশার সাথে যুক্ত মানুষেরা যাঁদের মাসিক আয় ১৫,০০০ টাকার কম এই প্রকল্পে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। এই প্রকল্প তাদের জন্যও, যাদের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। সেই সমস্ত ব্যবসাদাররাও এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ৬০ বছর পর মাসে ৩০০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে ৩৬০০০ টাকা পেনশন পাবেন। তবে ব্যবসাদারদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের একটি সীমানা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পটি শুরু করতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন, পাশাপাশি থাকতে হবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট অথবা জনধন যোজনা অ্যাকাউন্ট। এগুলি থাকলে মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটেই এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করা যাবে। কোন ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর হলে প্রতি মাসে তাকে কম করে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ বছরে ১২০০ টাকা বিনিয়োগ। এইভাবে প্রতিমাসে সঞ্চয় করলে দেখা যাবে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর বয়সে সঞ্চয় দাঁড়াচ্ছে ৩৬০০০ টাকা।

এরপর ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ওই ব্যক্তি মাসে ৩০০০ টাকা নিশ্চিত পেনশন স্কিমে পড়বেন। কোন পেনশনভোগী মারা গেলে তার স্ত্রী ৫০% অর্থাৎ ১৫০০ টাকা করে মাসে পেনশন পাবেন।

পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টের ATM কার্ডের সুবিধা – অসুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষে প্রায় দেড় লক্ষ পোস্ট অফিসের শাখা রয়েছে। এই সকল পোস্ট অফিসের শাখায় রয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও। দেশের বহু মানুষ পোস্ট অফিসকে সঞ্চয়ের সবথেকে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবেও মনে করেন। তাই তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রাখতে ভরসা করেন পোস্ট অফিসেই। এছাড়াও পোস্ট অফিসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে খরচ খুবই কম। মাত্র ১০০ টাকাতেই খোলা যায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায় বার্ষিক ৪ শতাংশ সুদ।

তবে ১০০ টাকাতে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা গেলেও চেক অথবা ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড সুবিধা নিতে গেলে অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ মিনিমাম ব্যালেন্সের নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। তবে এই এটিএম অথবা ডেবিট কার্ডে রয়েছে বিশেষ কয়েকটি সুবিধা যা অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় আকর্ষণীয়, পাশাপাশি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে নিয়মাবলী।

পোস্ট অফিসের দেওয়া এটিএম কার্ডের শর্ত

১) পোস্ট অফিসের এটিএম কার্ডে গ্রাহকরা দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা তুলতে পারেন।

২) গ্রাহক তার এটিএম কার্ড দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ফ্রি-তে টাকা তুলতে পারেন। তারপর অন্যান্য ব্যাঙ্কের মতই চার্জ কাটা হয়।

৩) পোস্ট অফিসের এটিএম কার্ডে একবারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট বহন করার যে খরচ তার তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা।

৪) পোস্ট অফিসের এটিএমে দিনে ৫ টি লেনদেন ফ্রি থাকে।

৫) পোস্ট অফিসের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা তুললে মাসে ৩ টি লেনদেন ফ্রি হয়।

৬) কোনও গ্রাহক কোনও মাসে ৩ বারের বেশি অন্য এটিএম থেকে টাকা তুললে ২০ টাকা করে কাটা হয়। সঙ্গে কাটা হয় আলাদা করে জিএসটি চার্জ।

৭) পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় চেকবুক চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন। ঠিক তেমনই এটিএম কার্ড চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন।

৮) পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট কেউ চাইলে এক ডাকঘর থেকে অন্য ডাকঘরে পরিবর্তন করতে পারেন।

State Bank-এর মিনিমাম ব্যালেন্সের নিয়ম পরিবর্তন, না মানলে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের অ্যাকাউন্টে গ্রাহকদের মিনিমাম ব্যালেন্স রাখার ক্ষেত্রে নিয়মই বেশ কিছু রদবদল আনলো। নভেম্বর মাস থেকে এই নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শহর অনুযায়ী আলাদা আলাদা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর তা না জানলে গ্রাহকদের দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। তবে জরিমানার পরিমাণ ধার্য হবে ব্যাঙ্ক শাখার উপর নির্ভর করে।

মেট্রো শহরের এসবিআইয়ের গ্রাহকদের প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতেই হবে৷ যদি অ্যাকাউন্টে মাসে ন্যূনতম ব্যালেন্স না থাকে তাহলে ১০ থেকে ১৫ টাকার সঙ্গে জিএসটি চার্জ জরিমানা হিসাবে দিতে হবে৷

আধা শহরের গ্রাহকদের প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা রাখতেই হবে৷ আধা শহরে জরিমানা হিসাবে ৭.৫ টাকা থেকে ১২ টাকা জিএসটি দিতে হবে৷

গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম ব্যালান্স রাখতে হবে ১,০০০ টাকা। আর সেটা বজায় না রাখলে ৫ থেকে ১০ টাকা জরিমানা দিতে হবে সঙ্গে জিএসটিও দিতে হবে৷

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্সের পরিমান বা অঙ্ক অনেকটাই বেশি। তবে উল্লেখ্য, বেসরকারি ব্যাঙ্কের তুলনায় তা অনেকটাই কম। দেশের চারটি বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আইসিআইসিআই, এইচডিএফসি, কোটাক এবং অ্যাক্সিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা রাখা বাধ্যতামূলক।

ATM থেকে টাকা বেরোলো না, অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হল! RBI এর নতুন নিয়মে গ্রাহকরা পাবেন ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ATM এ গিয়ে অনেক সময় গ্রাহকদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যাগুলি যেমন এটিএম থেকে টাকা না পাওয়া, অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে অথচ টাকা পাওয়া উঠছে না, আবার অনেক সময় এটিএম থেকে টাকা বের হলো না অথচ দেখা গেল অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হলো। এরকম হাজারো সমস্যা দূর করতে RBI বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে।

এটিএম থেকে টাকা বের না হওয়া সত্ত্বেও অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হলে বলা হয় ৭ দিনের মধ্যে সেই টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। কিন্তু কেটে নেওয়া এই টাকা সব সময় যে সময়মতো অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, তাও নয়! সময় মতো তো দূরের কথা, অজস্র গ্রাহকের অভিযোগ রয়েছে টাকা ফেরত না পাওয়ার। আর এবার এই সমস্যা দূরীকরণে আরবিআইয়ের নতুন দাওয়াই।

আরবি আইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটার পিছনে থাকে বেশ কয়েকটি কারণ। যেমন লিঙ্কের বারবার ব্যাঘাত ঘটলে, এটিএম ক্যাশ না থাকলে, সেশনের টাইম আউট হয়ে গেলে ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে আরও অন্যান্য কয়েকটি কারণ। আর এসকল কারণে টাকা কেটে নিয়েও টাকা ফেরত না পাওয়ার মতো বিস্তর অভিযোগের কথা জানিয়েছে আরবিআই।

এই সমস্যার চিরতরে সমাধানের জন্য আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে –

১) কোন গ্রাহক এটিএমে টাকা তুলতে গেলে যদি সেই গ্রাহক এটিএম থেকে টাকা না পান, অথচ তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিলে ব্যাঙ্ক সেই ট্রানজেকশন পাঁচ দিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। কিন্তু তারপরেও যদি ব্যাঙ্ক ওই গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে যতদিন পর্যন্ত ওই গ্রাহক টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ততদিন তাকে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

২) কার্ড থেকে কার্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অথচ যার কাছে টাকা পৌঁছানোর কথা তার কাছে পৌঁছাল না। তাহলে ব্যাঙ্ক সেই ট্রানজেকশন একদিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে।কিন্তু তারপরেও যদি টাকা ফেরত অথবা না পৌঁছায় তাহলে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহককে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩) Point of Sale অর্থাৎ POS এর ক্ষেত্রেও যদি এমন ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলো অথচ মার্চেন্টের কাছে কোন কনফার্মেশন পাওয়া না গেলে পাঁচ দিনের মধ্যে সেই টাকা অটো রিভার্সেল বাধ্যতামূলক। যদি এমনটা না হয় তাহলে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহককে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৪) IMPS এর ক্ষেত্রে টাকা ট্রান্সফার করার পর যদি টাকা না পৌঁছায় তাহলে একদিনের মধ্যে সেই টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অটো রিভার্সেলের দায়িত্ব ব্যাঙ্কের।যদি এমনটা না হয় তাহলে সমস্যার সমাধান অবধি গ্রাহককে রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আপনার কাছেও নেই তো জাল ৫০ টাকার নোট! চিনুন ১৪টি উপায়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিগত তিন বছর ধরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বেশিরভাগ নোটের আকার, রং এবং চেহারায় পরিবর্তন এনেছে। বেশিরভাগ পুরাতন নোট বদলে বাজারে চলছে নতুন নোট। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নতুন অঙ্কের নোটও বাজারে চালু করা হয়েছে। নতুন সুরক্ষা বিশিষ্ট এই সকল নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চালু করেছে, যাতে এর অনুলিপি করা দুঃসাধ্যকর হয়। অর্থাৎ বাজারে জালিয়াতি বন্ধ করা যায় এবং জালিয়াতির সাথে যুক্ত কারবারিদের লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জাল নোট কারবার চলছেই।

বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ মানুষ বড় নোটের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। বড় নোট লেনদেনের ক্ষেত্রে তারা পাঁচবার সেটিকে দেখে নেই। ফলে নতুন নোটের ক্ষেত্রে জাল অনেকাংশেই ধরা পড়ে যায়, এতেও লোকসানের সম্মুখীন জাল নোট কারবারিরা। তাই তারা সেইসব নোটের দিকে বর্তমানে নজর দিয়েছে, যে সকল অঙ্কের নোটগুলি মানুষ সাধারণত না দেখেই পকেটে পুরে নেয়। যেমন ছোট নোট ৫০ টাকা।

কিন্তু জানেন কি! ছোট হোক অথবা বড় যে কোন অঙ্কের বেশি পরিমাণে জাল নোট নিয়ে ধরা পড়লে করার শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন আপনিও। তাই বাজারে যে কোন অঙ্কের নোট লেনদেনের আগে অবশ্যই যাচাই করুন আসল না নকল। নতুন নোট ৫০ টাকার সুরক্ষার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৪ টি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে, যা আসল এবং জাল নোট চিহ্নিত করে। এই ১৪ টি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য …

  • নোটের মান দেখে।
  • দেবনাগরী লিপিতে নোটে অঙ্কের মান।
  • নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি।
  • আরবিআই, ভারত, ভারত এবং ছোট আকারে ৫০ লেখা।
  • ভারত এবং আরবিআইয়ের সুরক্ষা দাগ।
  • মহাত্মা গান্ধী ছবির ডান পাশের গ্যারান্টি ধারা, আরবিআইয়ের গভর্নরের স্বাক্ষর, প্রতিশ্রুতি ধারা এবং আরবিআই লোগো।
  • ডান দিকে অশোক স্তম্ভের স্বাক্ষর।
  • মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি এবং ইলেক্ট্রোটাইপ ফর্ম্যাটে লেখা।
  • বাম দিক থেকে ডান দিকে সরানো নম্বর প্যানেল।
  • নোটের পিছনে বাম দিকে নোট মুদ্রণের বছর।
  • স্লোগান সহ স্বচ্ছ ভারত লোগো।
  • মাঝখানে লেজেন্ড প্যানেল।
  • রথের সাথে হাম্পী চিত্র।
  • দেবনাগরী লিপিতে লিখিত নোটের মূল্য।

কমলো রেপো রেট! রেপো রেট আসলে কি? রেট কমার সুবিধা আর অসুবিধা

ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য সুখবর। অনলাইনে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পুরোপুরি চার্জ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আজ এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কের কাছে পৌঁছে যাবে এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, এটিএম থেকে পাঁচবারের বেশি টাকা তুলতে গেলে একটা নির্দিষ্ট চার্জ কেটে নেয় ব্যাঙ্ক। আগামিদিনে সেই চার্জ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমতে পারে বলে এদিন আশা দেখিয়েছে আরবিআই।

আজ নতুন ঋণনীতি ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক৷ যেখানে সুদের হার ০.২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে টানা তিনবার কমল রেপো রেট৷ বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর রেপো রেট দাঁড়াল ৫.৭৫ শতাংশে৷ যা বিগত ৯ বছরে সর্বনিম্ন বলে জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷

আগে রেপো রেটের হার ছিল ৬ শতাংশ৷ তা কমে হল ৫.৭৫ শতাংশ৷ রেপো রেট কমে যাওয়ার অর্থ সুদের হার কমে যাওয়া৷ এতে সুবিধা ও অসুবিধা দুই আছে৷

রেপো রেট কি?

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাকে বলে রেপো রেট। ব্যাঙ্কগুলি যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে টাকা ধার পায়, তাহলে তারাও কম সুদে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টাকা ধার দিতে পারবে। ধরে নেওয়া হয়, রেপো রেট কমালে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কারণ তখন বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা অল্প সুদে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষও ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে ধার নিয়ে নানা ভোগ্যপণ্য কিনতে পারে।

রেপো রেট কীভাবে ঠিক হয়?

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটি স্থির করে রেপো রেট কী হবে। কমিটিতে থাকেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও সরকার মনোনীত চার সদস্য। কমিটি দু’মাস অন্তর বৈঠকে বসে। সেখানেই স্থির হয়, রেপো রেট কী হবে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর একাই রেপো রেট স্থির করতেন। তার আগে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করতে হত। পরে মনিটারি পলিসি কমিটি তৈরি হয়।

সুবিধা ও অসুবিধা

আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের পর ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমিয়ে দেবে৷ এর ফলে হাসি ফুটতে পারে মধ্যবিত্তের মুখে। কারণ, যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে গৃহঋণ নিয়েছেন বা ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন, তাঁদের জন্য সুদের হার বেশ কিছুটা লাঘব হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যাঁরা গৃহঋণের জন্য আবেদন করেছেন. তাঁদেরও সুদের হার কমতে পারে।

রেপো রেট কমার কয়েকটি কুফল আছে। এর ফলে বাজারে কাঁচা টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার মূল্য বাড়তে পারে।

এক নজরে ৪ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য –

১) ডিজিটাল লেনদেনের ব্যাপারে সকলে যাতে আরও বেশি করে আগ্রহী হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নিল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

২) স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এনইএফটির জন্য ১ থেকে ৫ টাকা এবং আরটিজিএস-এর জন্য ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নিত। কিন্তু এবার থেকে আর কোন টাকায় নেওয়া যাবে না।

৩) এটিএম লেনদেন করার ব্যাপারে যে নিয়ম আছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন তৈরি হয়েছে বলে মনে করে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আর তাই সেই কাজ করার জন্য একটি কমিটিও করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

৪) এটিএম ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা পেরিয়ে গেলে যে পরিমাণ টাকা দিতে হয় তা ভবিষ্যতে আর নাও লাগতে পারে।

১ টাকার কয়েন নিয়ে বড় খবর, না জানলে বিপদে পড়বেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোট ১ টাকার কয়েন নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর, যা না জানলে বিপদে পড়তে পারেন। শুধু বিপদে পড়াই নয় হতে পারে জরিমানা এবং জেল হেফাজতও। বাড়ি থেকে ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে বাজারে বা অন্যান্য জায়গায় গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বর্তমানে ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই একটি নিয়ম জারি করে দিয়েছেন, যদিও সেই নিয়ম নিয়ে কোনো ঘোষণা এখনো পর্যন্ত হয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে ট্রেনে, বাসে কোথাও ছোট এক টাকার কয়েন নিতে চাই না কেউই। রিজার্ভ ব্যাংকের ঘোষণা ছাড়াই এই ছোট এক টাকার কয়েন বর্তমানে অচল। কিন্তু ইতিমধ্যে এই ছোট এক টাকার কয়েন নিয়ে এলো নতুন আপডেট।

ছোট এক টাকার কয়েন চালু করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে এই ছোট এক টাকার কয়েন এখনো পর্যন্ত বাতিল ঘোষণা করা হয়নি। সুতরাং আপনি যদি একজন ভারতীয় নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে এই ছোট এক টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। হতে পারে জরিমানা থেকে কারাদণ্ড। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এক টাকার ছোট কয়েনকে এখনো পর্যন্ত বাতিল ঘোষণা করেনি, তাই কোন ভারতীয় ব্যবসায়ী বা কোন ভারতীয় নাগরিক এক টাকার ছোট কয়েন নিতে আপত্তি করলে তার বিরুদ্ধে ১২৪(এ) – ধারা অনুযায়ী দেশদ্রোহীতার অভিযোগে মামলা হতে পারে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে তার ৩ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।”

আপনি যদি বাজারে ছোট এক টাকার কয়েন বের হন আর কোনো ব্যবসায়ী বা যে কেউ সেই কয়েন নিতে অস্বীকার করলে সরাসরি অভিযোগ জানান স্থানীয় পুলিশ অথবা ন্যাশনাল কনজ্যুমার ফোরামের টোল ফ্রি নাম্বারে। ন্যাশনাল কনজ্যুমার ফোরামের টোল ফ্রি নাম্বার টি হল ১৮০০১১৪০০০.

ন্যাশনাল কনজ্যুমার ফোরাম আপনার থেকে অভিযোগ পেলে সং থানায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবে এবং এক টাকার ছোট কয়েন নিতে অস্বীকার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সুতরাং আপনি একজন ব্যবসায়ী হন অথবা ক্রেতা এক টাকার ছোট কয়েন নিতে অস্বীকার করলে বিপদে পড়তে পারেন। যতদিন না ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই ছোট এক টাকার কয়েনকে বাতিল ঘোষণা করছে ততদিন বাজারে সচল ছোট এক টাকার কয়েন।