কনুই থেকে নেই দু হাত, তবুও বোলিংয়ে কামাল, অসামান্য প্রতিভা কিশোরের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইচ্ছা থাকলে হয়না বলে এমন কিছু নেই! এই বচন আমরা প্রতিনিয়তই শুনে থাকি। কিন্তু তার বাস্তবতা কতটা? লড়াইয়ের ময়দানে নানান অজুহাতে আমরা ছেড়ে আসি জীবনের প্রতিযোগিতাকে। কিন্তু তার মাঝেও সেই ইচ্ছেশক্তির বলে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যায় প্রতিভাবান কিছু হাতে গোনা মানুষ।

হাতেগোনা অবশ্যই, কারণ এমন জ্বলন্ত উদাহরণ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে এমনই এক জ্বলন্ত উদাহরণের প্রতীক হিসাবে ভারতের অন্যতম ক্রিকেট তারকা ঋদ্ধিমান সাহা এক প্রতিবন্ধী কিশোরের বোলিংয়ের ভিডিও তুলে ধরেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, “Doesn’t stop him from playing cricket.” অর্থাৎ “কোনও কিছুই তাঁকে ক্রিকেট খেলা থেকে আটকাতে পারছে না।” আর সত্যিই তাই।

মাত্র ১১ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটি দেখলে অনুপ্রেরণা পাবেন জীবনে লড়াই করার। এই ছবি আমাদের রাজ্যের কলকাতারই কোন এক গলির। ভিডিও দেখে বুঝতে পারবেন, ওই কিশোরের দুটি হাতের কনুইয়ের উপর থেকে নিচের অংশ নেই। অথচ তারপরেও অফুরন্ত উদ্যমে করে চলেছেন বোলিং। তার অবিরাম জীবন শক্তি হার মানিয়েছে সকলকে। দুই হাতের কনুইয়ে সে চেপে ধরেছে বল আর ছুটে চলেছে বোলিংয়ের উদ্দেশ্যে, সঠিক লক্ষ্যে বল ছুঁড়ে দিচ্ছে। ক্রিকেট যেন তার জীবনের লড়াইকে এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছে।

মানবিকতার অনন্য নজির : মুরগির ছানাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা ওই ছোট্ট শিশুর পুরস্কৃত

নিজস্ব প্রতিবেদন : সাইকেল চালাতে গিয়ে প্রতিবেশীর মুরগির বাচ্চাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ছিল সে। তারপর কোন কিছু না ভেবেই এই মুরগি ছানাকে তুলে নিয়ে গেছিল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। তার কাছে যেটুকু অর্থ ছিল সেই অর্থ দিয়েই চিকিৎসার আর্জি জানিয়েছিল হাসপাতালে।

ছোট্ট ওই মিজো শিশুর এমন কান্ড কারখানা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর চমকে দেয় গোটা দেশকে, মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টটি।

পথদুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে পথ চলতি সাধারণ মানুষেরা বেশিরভাগ সময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এখানে মানবিকতার অভাব বলাটা ভুল হবে, ব্যস্ত জীবনে ঝামেলা এড়াতে এমনটাই করেন বেশিরভাগ মানুষ।

কিন্তু সেই ভীতু অথবা ঝামেলাকে এড়িয়ে চলার মত মানুষদের মধ্যে পড়ে না এই ছোট্ট শিশুটি। মিজোরামের এই ছোট্ট শিশু। সে জানে কিভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। সম্প্রতি এমনই একটি পোস্ট ফেসবুকে করেন এক ব্যক্তি, আর তার পরেই সেই পোষ্টটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ একটাই, ছোট্ট ঐ শিশুটির মানবিকতা এবং দায়িত্ব হার মানিয়েছে গুরুজনদের।

সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তার সাইকেলে ধাক্কা লাগে একটি ছোট্ট মুরগির ছানার। আহত ওই ছানাটাকে সে রাস্তায় ফেলে কাপুরুষের মত পালিয়ে যায় নি। বরং তাকে যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে গিয়েছে হাসপাতালে। তার কাছে থাকা সমস্ত টাকা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে চিকিৎসার আর্জি।

তারপর জানা গিয়েছে, ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই ওই ছোট্ট শিশু তার মানবিকতার পুরস্কার পেয়ে গেল। মিজোরামের সাইরাংয়ের ছোট্ট ওই শিশু ডেরেক সি লালছানহিমাকে পুরস্কৃত করল তার স্কুল। দেওয়া হয়েছে একটি শংসাপত্র। লেখা আছে ‘ওয়ার্ড অফ অ্যাপ্রিশিয়েসন’। শংসাপত্রের সেই ছবি পোস্ট করার পর সেটিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

বর্তমান পৃথিবীতে হাজারো অমানবিকতার ছবির মাঝে এমন মানবিকতার উদাহরণ ডেরেক সকলের সামনে তুলে ধরে টাটকা বাতাসের মত। তার শিশু মনের পবিত্রতা সকলের কাছে প্রশংসা পেয়েছিল, আর সেই প্রশংসার পুরস্কারও জুটে গেল এবার।

আহত মুরগি ছানাকে নিয়ে হাসপাতালে : কুর্নিশ এই ছোট্ট শিশুকে

নিজস্ব প্রতিবেদন : পথদুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে পথ চলতি সাধারণ মানুষেরা বেশিরভাগ সময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এখানে মানবিকতার অভাব বলাটা ভুল হবে, ব্যস্ত জীবনে ঝামেলা এড়াতে এমনটাই করেন বেশিরভাগ মানুষ।

কিন্তু সেই ভীতু অথবা ঝামেলাকে এড়িয়ে চলার মত মানুষদের মধ্যে পড়ে না এই ছোট্ট শিশুটি। মিজোরামের এই ছোট্ট শিশু। সে জানে কিভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। সম্প্রতি এমনই একটি পোস্ট ফেসবুকে করেন এক ব্যক্তি, আর তার পরেই সেই পোষ্টটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ একটাই, ছোট্ট ঐ শিশুটির মানবিকতা এবং দায়িত্ব হার মানিয়েছে গুরুজনদের।

সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তার সাইকেলে ধাক্কা লাগে একটি ছোট্ট মুরগির ছানার। আহত ওই ছানাটাকে সে রাস্তায় ফেলে কাপুরুষের মত পালিয়ে যায় নি। বরং তাকে যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে গিয়েছে হাসপাতালে। তার কাছে থাকা সমস্ত টাকা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে চিকিৎসার আর্জি।

সম্প্রতি ফেসবুকে করা ওই পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট এই শিশুটির এক হাতে রয়েছে একটি মুরগির ছানা এবং অন্য হাতে রয়েছে দশ টাকার একটি নোট।

আসলে ওই শিশুটি চিকিৎসা করানোর জন্য মুরগি ছানাটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। কারণ ও নিজেই ওই মুরগি ছানাটিকে ধাক্কা মেরে ছিল। তাই আহতের চিকিৎসা করাতে এসে আহতকে নিয়ে হাসপাতালে।

ছোট্ট শিশুদের মন জলের মত সরল হয়। তাদের মনের মধ্যে থাকে না কোন পাপের স্থান, তাই নিস্পাপ শিশুদের ভগবানের অন্য রূপ হিসেবেও দেখা হয়। আর তাই বোধ হয় প্রাপ্ত বয়স্কদের মত দায় এড়ানোর চেষ্টা করেনি এই ছোট্ট শিশুটি।

খরচ বাঁচাতে বড় সিদ্ধান্ত বিএসএনএলের : দুশ্চিন্তায় কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় বাজারে টেলিকম সংস্থার অন্যতম সংস্থা হল বিএসএনএল। বেসরকারি অন্যান্য সংস্থাগুলি বাজারে তাদের জায়গা করে নেওয়ার পর অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিএসএনএল। কর্মীদের বেতন বাকি এবং অন্যান্য অনেকগুলি সংস্থায় বর্তমানে জর্জরিত বিএসএনএল। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা বড় সিদ্ধান্ত নিল খরচ বাঁচানোর তাগিদে।

কর্মীদের বিপুল বেতন বাকি থাকলেও সূত্রের খবর এপ্রিল মে মাসের ২৯০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে। সংস্কার আধিকারিকের সূত্র থেকে জানা গেছে, ব্যবসা থেকে ৫০০ থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যে অর্থের বিনিময়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।

তবে এরই মাঝে দুঃসংবাদের খবর প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক ডেকান হেরাল্ড সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে। সর্বভারতীয় ওই সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, খরচ বাঁচাতে ৫৪০০০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএনএল সংস্থা। পাশাপাশি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অবসরের বয়স। বয়স কমিয়ে নামানো হয়েছে ৫৮ বছরে। ওই বিপুলসংখ্যক কর্মীদের ভিআরএস বা স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ৫০ বছরের উর্ধ্বের কর্মীদের নিয়ম লাগু করা হয়েছে। অবসরের বয়স ৬০ বছর থেকে ৫৮ বছর করা হলে, সংস্থার কমবে ৩৩৫৬৮ জন করবে। আর যাতে করে সস্তার খরচ কমবে ১৩৮৯৫ কোটি টাকা।

কুর্নিশ ‘চৌকিদার’কে : ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্তব্যে অটল ট্রাফিক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে ধরা পড়েছে এক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের নিয়মাবর্তিতা। ৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি পুলিশের তরফ থেকে তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করার পর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়, কুর্নিশ নেটিজেনদের।

মাত্র ৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ প্রবল ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তাঁর কর্তব্যে অটল। মাথার উপর বৃষ্টি ভেঙে পড়েছে, সাথে দমকা হাওয়া। সাধারণ পথচারীরা যখন এক চিলতে ছাদ খুঁজছেন মাথা ঠেকাবার জন্য, ঠিক সে সময়ে এমন সমস্ত ঝঞ্ঝাকে তোয়াক্কা না করে নিজের কর্তব্যে অটল থাকতে দেখা গেল মিঠুন দাস নামে এক ট্রাফিক অফিসারকে। ঘটনাটি ঘটেছে আসামের গুয়াহাটিতে।

ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকলেও রাস্তায় যান চলাচলের কমতি ছিল না। একের পর এক গাড়ির আনাগোনা ছিল সেই মুহূর্তে। আর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যান চলাচলের সময় যেন কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য ছাদ হীন পুলিশের ট্রাফিক প্ল্যাটফর্মের উপর দাঁড়িয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন। ঠিক যেন চৌকিদারের মত।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার পর ভাইরাল হয়ে পড়ে, কুর্নিশ জানাতে শুরু করেন নেটিজনেরা। খোদ আসাম পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ভিডিওটি আপলোড করে প্রশংসা করা হয়েছে। স্পেশাল ডিজিপি (আইন ও শৃঙ্খলা) কুলাধর সৈকিয়া বলেন, মিঠুনের মতো আমাদের পুলিশরা কোনও রেকর্ড ছাড়াই প্রতিদিন এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন।

সামনেই দাতা সাহেব মেলা : মেলায় একগুচ্ছ চমক প্রশাসনের

ফের প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে পাথর চাপুরীর দাতা বাবা মেহেবুব শাহ ওয়ালী (রঃআঃ) পবিত্র ঊরুস মোবারক ও মেলা। আগামী ২৪ শে মার্চ, এর উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি পি বি সালিম। উপস্থিত থাকবেন জেলা সংখ্যালঘু আধিকারিক শামস তবরেজ আনসারী সহ জেলার অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাা গিয়েছে, বিগত বছরের মত এবারও পাথর চাপুরীর ১২৭ তম পবিত্র ঊরুস মোবারক ও মেলা প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ বিদেশের প্রায় ৬ লক্ষাধিক ধর্ম প্রান জাতি, বর্ন, ধর্ম মানুষ উপস্থিত হবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। মেলার পরিচ্ছন্নতা রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। মেলাকে এবছর প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে।

প্লাস্টিক গ্লাস, কাপ, থার্মোকলের পাতা, ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় ক্লাবকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে এই প্লাস্টিক মুক্ত রাখার ব্যাপারে। এছাড়া কয়েকশ সাফাই কর্মীর সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর ডাস্টবিন রাখা হবে। মেলা এলাকাই যাতে ধুলো না উড়ে তার জন্য গাড়িতে করে জল দেওয়া হবে। প্রায় ৫০০ টি অস্থায়ী শৈচালয় নির্মাণ করা হচ্ছে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা সহ। ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যমেরা ও ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে নজর দারী করা হচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণের আলোকসজ্জা আগত পর্যটকদের নজর কাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। চুরি, পকেট মারি রুখতে সাদা পোশাকের ও মহিলা পুলিশ পর্যাপ্ত সংখ্যায় রাখা হবে। জেলা সংখ্যালঘু আধিকারিক শামস তবরেজ আনসারী বলেন, “পাথরচাপুরীতে আগত পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে সমস্ত ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে যাতে কোন অসুবিধা না হয়। পরিবেশ প্লাস্টিক মুক্ত আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। শৌচালয় ও পর্যাপ্ত পানীয় জল ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

হোলি খেলা শুরুর পিছনে থাকা পৌরাণিক কাহিনী

বসন্ত এসেছে দুয়ারে আর তারই হাত ধরে এসেছে পলাশের লাল ফুল। আর তাই রঙের উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি গুটিগুটি পায়ে আমাদের আনন্দ দিতে হাজির। এই রঙের উৎসবের সারা ভারতব্যাপী নামে নানান ব্যাপকতা। কোথাও এই উৎসব ‘হোলি’ খেলা, আবার কোথাও তা ‘দোলপূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।

হোলি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ‘হোলা’ শব্দ থেকে। আর এই হোলা কথার অর্থ হল আগাম ফসলের প্রত্যাশায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা। আবার অনেকের মতে হোলি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘হোলকা’ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো অর্ধপক্ক শস্য। ভারতের কিছু প্রদেশ যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা প্রভৃতি জায়গায় অর্ধ পক্ক গম ও ছোলা খাওয়ার রীতিও আছে।

“দোল পূর্ণিমা”র উৎপত্তি সম্পর্কে পৌরাণিক মত

হিরণ্যকশিপু নামের এক দৈত্য রাজা বাস করত পুরাকালে। সে ছিল মহর্ষি কশ্যপ ও তাঁর পত্নী দিতির পুত্র। তার ভক্তিতে খুশি হয়ে ভগবান ব্রহ্মা রাজা হিরণ্যকশিপুকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছিল। কিন্ত এই বিশেষ ক্ষমতা পেয়ে পরবর্তী কালে অত্যন্ত অহংকারী হয়ে ওঠে হিরণ্যকশিপু। ব্রহ্মার বরে হিরণ্যকশিপু দেবতা ও মানব বিজয়ী হয়ে দেবতাদের অবহেলা করতে শুরু করে। এই দৈত্য রাজা তখন তার প্রজাদের বিষ্ণুর এবং অন্যান্য সকল দেবতাদের উপাসনা বন্ধ করে সমগ্র রাজ্যে নিজের উপাসনা করতে বাধ্য করে।

হিরণ্যকশিপুর এক পুত্র ছিল। তার নাম প্রহ্লাদ, সে ছিল ছোটবেলা থেকেই প্রকৃত বিষ্ণু ভক্ত। সে তার পিতার আদেশে কখনই বিষ্ণুর উপাসনা ত্যাগ করে পিতার উপাসনা করতে রাজি ছিল না। হিরণ্যকশিপু পুত্রের এইরূপ আচরণে অত্যন্ত ক্রোধিত হয়েছিল। তাই সে নিজের সন্তানকে মারার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে মেরে ফেলার জন্যে  কখনো তার খাবারে বিষ প্রয়োগ করে, আবার কখনো  মত্ত হাতীর পায়ের নীচে তার পুত্র প্রহ্লাদকে ফেলে দেয়। কিন্তু বিষ্ণু ভক্ত প্রহ্লাদ প্রতিবারই বেঁচে যায়। তাই সে তার পুত্রকে বিষধর সাপেদের সঙ্গেও কারারুদ্ধ করে রাখে, কিন্তু কোনভাবেই তাকে হত্যা করতে সক্ষম হয় না। শেষমেষ কোনো উপায় না দেখে তার বোনকে তার একমাত্র পুত্রকে মারতে বলেন।

তার বোনের নাম ছিল হোলিকা। হোলিকার এক বিশেষ মন্ত্রপূত শাল ছিল যা তাকে সবসময় আগুন থেকে রক্ষা করত। তাই দৈত্য রাজা হিরণ্যকশিপু ভেবেছিল বোন তার একমাত্র পুত্রকে নিয়ে আগুনে বসবে আর আগুনের তাপে তার সন্তানের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটেছিল। দাদার আদেশে হোলিকা এক বিশাল অগ্নিকুন্ডে ভাইপো প্রহ্লাদকে নিয়ে বসে। কিন্তু ঈশ্বর যার সহায় তাকে মারার ক্ষমতা কারো কি আছে? তাই অগ্নিকুন্ডে প্রবেশ করার পর অদ্ভুতভাবে, আগুনে পুড়ে হোলিকার মৃত্যু হয়। বেঁচে যায় ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত প্রহ্লাদ। হোলিকার মন্ত্রপূত শাল, যা তাকে আগুনের হাত থেকে রক্ষা করত তা তাকে আগুন থেকে রক্ষা করতে পারে নি। রক্ষা করেছিল প্রহ্লাদকে।

কথিত আছে, প্রহ্লাদ আগুন প্রবেশ করলে অনেক জোরে চারিদিক থেকে শক্তিশালী বাতাস বইতে থাকে এবং সেই মায়াবী শাল হোলিকার পরিবর্তে প্রহ্লাদকে ঘিরে  রাখে। আগুনে পুড়ে হোলিকার মৃত্যু হয়। হোলিকা দহনের পর নৃসিংহরুপ ধারণ করে ভগবান বিষ্ণু হিরণ্যকশিপুরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে দু টুকরো করে ফেলে হত্যা করে। আর তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় হোলি উৎসব।

দোলের আগের দিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ অগ্নিকুন্ডের আয়োজন করা হয়,যা চাঁচর বা নেড়াপোড়া নামে পরিচিত।তাই অনেকেই এই উৎসবকে অশুভের উপর শুভের জিত বা খারাপের উপর ভালোর জিত বলেও বর্ণনা করে।ভারতের পাঞ্জাবের মুলতানের সূর্য মন্দির এই ঘটনার সাক্ষ্য  বহন করে।

“দোল পূর্ণিমা”র উৎপত্তি সম্পর্কে বৈষ্ণব মত

আবার ‘দোল পূর্ণিমা’র উৎপত্তি সম্পর্কে বাঙালি বা বৈষ্ণব মতেও এক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সাধারণত ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথীতে রাত্রি বেলায় হয় দোল উৎসব। এই উৎসবে প্রধানত  রাধাকৃষ্ণের চরণে ভক্তিভরে আবির দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়, তার সাথে চলে কীর্তন ও ভজন। পরে সেই নানা রঙের আবির মাখিয়ে সবাইকে রাঙানো হয়।

বৈষ্ণব মত অনুযায়ী এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও অন্যান্য সখীদের সঙ্গে আবির বা গুলাল নিয়ে মেতেছিলেন রং খেলায়। তাই এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মূলত পশ্চিমবঙ্গে ও উত্তরপ্রদেশে দোল পূর্ণিমা মহা ধুমধামে পালন করা হয়। আবার অনেকের মতে এই ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথীতে শ্রীকৃষ্ণের মানবরূপী অবতার শ্রী চৈতন্যদেব নদিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাই এই  পূর্ণিমাকে অনেক বৈষ্ণব গৌর পূর্ণিমাও বলে থাকেন। তবে উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন সাধারণত পালন করা হয়।

চলে গেলেন সদাহাস্য অভিনেতা চিন্ময় রায়

চলে গেলেন বিশিষ্ট অভিনেতা চিন্ময় রায়। রবিবার রাত দশটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বেশ কয়েককাল ধরেই তিনি অভিনয় জগৎ থেকে দূরে ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁকে আর অভিনয় করতে দেখা যায়নি। পারিবারিক সূত্রের খবর, নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন চিন্ময় রায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।

গত বছর জুন মাসে তিনি ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে। কী ভাবে পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা, তা নিয়ে অনেক জলঘোলা হলেও সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে তার পর থেকেই বেশ ভেঙে পড়েছিল তাঁর শরীর।

চিন্ময় রায়ের স্ত্রী গত হয়েছেন অনেক দিন আগে। পরিবার বলতে রয়েছেন তাঁর এক মেয়ে এবং এক ছেলে। মেয়ে থাকেন চেন্নাইতে। তিনি কলকাতায় আসার পরেই চিন্ময়বাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ফিল্ম দুনিয়ায় সত্তরের দশকে পা রাখেন তিনি। অচিরেই সে সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে ওঠেন। বহু সিনেমায় তাঁর কমেডি চরিত্রে অভিনয় আজও মনে রেখেছেন মানুষ।

থিয়েটারের মঞ্চ থেকে অভিনয় শুরু করে এক সময় সিনেমাতে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন চিন্ময় রায়। তপন সিংহের ‘গল্প হলেও সত্যি’ দিয়ে শুরু করেই সবার নজর কাড়েন তিনি। এরপর ‘মৌচাক’, ‘হাটেবাজারে’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর মতো অসংখ্য ছবিতে তিনি দাপিয়ে অভিনয় করেছেন।

এবারের ভোটে বুথ কাঁপাবে ভিভিপ্যাট! ভিভিপ্যাট কী? এটি কীভাবে কাজ করে?

লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে৷ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম সাত দফায় লোকসভার ভোটগ্রহণ হতে চলছে পশিমবঙ্গে। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে শাসক হোক বা বিরোধী, ইভিএম নিয়ে চাপানউতোরের শেষ নেই।

নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের পাশেই থাকবে ভিভিপ্যাট। সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এই ভিভিপ্যাটের গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। কিন্তু, আপনি কী জানেন এই ভিভিপ্যাট আসলে কী? আসুন জেনে নিই ভিভিপ্যাটের খুঁটিনাটি।

২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে প্রথম এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়। এর ফলে বুথের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের শেষে মিলিয়ে নিতে পারবেন, ক’টা প্রকৃত ভোট হয়েছে আর ক’টা ভোট জমা পড়েনি। এতে অনেক ক্ষেত্রেই পুনর্নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়া যায়।

গত কয়েকটি ভোটে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছিল ‘ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলিং’ বা ভিভিপ্যাট। কিন্তু সব ইভিএম-এ ছিল না ভিভিপ্যাট। সার্বিক ভাবে লোকসভা ভোটে সব ইভিএম-এ ভিভিপ্যাট ব্যবহার হচ্ছে এই প্রথম।

মূলত ভোটযন্ত্রে কারচুপি বা তা ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা সহজেই ধরা যাবে এটির মাধ্যমে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। কী ভাবে কাজ করে এটি?

সঠিক ব্যক্তির ভোটদান নিশ্চিত করে এই ভিভিপ্যাট। এটিতে একটি প্রিন্টার থাকে, যেটি ভোটারদের মনোনীত প্রার্থীদের রেকর্ড রাখে। ডিসপ্লে ইউনিট দেখায় কোনও ভুল হয়েছে কি না। এ ছাড়াও ভিভিপ্যাটে প্রার্থীর সিরিয়াল নম্বর, নাম, সংশ্লিষ্ট প্রতীক থাকে।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভিএম যন্ত্রের পাশেই থাকবে এই ভিভিপ্যাট যন্ত্রটি। ভোট দিতে নির্দিষ্ট জায়গায় বোতামে চাপ দেওয়ার পরেই লাল আলো জ্বলে উঠবে। একটি ‘বিপ’ শব্দও শুনতে পাবেন ভোটার। এর পরেই ভোটার যে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, সেই প্রার্থীর নাম, ক্রমিক সংখ্যা ও প্রতীক ভিভিপ্যাটের ব্যালট স্লিপে ছাপানো অক্ষরে দেখা যাবে।
এই অবস্থায় ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত তা দেখতে পাবেন ভোটার। তার পরে সেই তথ্য সম্বলিত স্লিপ মুদ্রণ যন্ত্রের ড্রপবক্সে পড়ে যাবে। যদি ভিভিপ্যাট ঠিক ভাবে কাজ না করে অথবা ইভিএমের লাল আলো না জ্বলে, কিংবা আওয়াজ না হয়, তা হলে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গোয়া নির্বাচনেও তা ব্যবহার করা হয়েছিল।

VVPAT কি? আপনি নিজের ভোটাধিকার নিয়ে কতটা সচেতন! চলছে শিবির

লাল্টু : লোকসভা নির্বাচন ইলেক্টোরাল লিটারেসি ক্লাব সদস্যদের নিয়ে সচেতনতা শিবির রাজ্যের জেলায় জেলায়।

এ রাজ্যে ৭ দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট। শেষ দফায় ভোট ১৯ মে। ভোটের ফল জানা যাবে ২৩ মে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। স্কুল কলেজে গড়ে উঠেছে ইলেক্টোরাল লিটারেসি ক্লাব। জাতীয় নির্বাচন কমিশন গত ২৫ শে জানুয়ারি ২০১৮ “জাতীয় ভোটার দিবসে “ইলেক্টোরাল লিটারেসি ক্লাব’ নামে এক প্রকল্পের সূচনা করেন।বীরভূম জেলাতেও বেশকিছু স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই ক্লাব। এই ক্লাবের সদস্যরা তাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনকে ‘ভোটাধিকার সম্পর্কে ‘ইভিএম সম্পর্কে’ VVPAT (VOTER VERIFIABLE PAPER AUDIT TRAIL) সম্পর্কে সচেতন করছে। এমনই এক কর্মশিবির অনুষ্ঠিত হলো বীরভূমের প্রাচীনতম কলেজ দুবরাজপুর ব্লকের ‘হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে’। বিডিও অনিরুদ্ধ রায়, কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই কর্ম শিবিরে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে নতুন ভোটারদের সচেতন করা হয়। উৎসাহের সঙ্গে ভোটদান প্রক্রিয়া হাতে কলমে শিখে নেন ছাত্রছাত্রীরা। এবার থেকে তারাও ভোটারদের সচেতন করতে এলাকায় এলাকায় বেরিয়ে পড়বে এই ইলেক্টোরাল লিটারেসি ক্লাবের সদস্যরা। অবাধ ভোটদানের উদ্দেশ্যে জেলা জুড়ে বেড়েছে তাই প্রশাসনিক তৎপরতা।

নোট সরিয়ে বাজারে আসছে ২০ টাকার কয়েন! দেখুন Exclusive ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর তাঁর আমলে সবথেকে বড় পদক্ষেপ হলো ‘নোটবন্দি’। যে ‘নোটবন্দি’ আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। আর এই নোটবন্দির পর থেকে দেশে নতুন নতুন রঙের, নতুন নতুন ঢঙের নানান নোট মানুষের হাতে আসতে থাকে। কখনো ২০০০ টাকা, কখনো ৫০০ টাকা। কখনো আবার ১০ টাকার নতুন নোট, কখনো আবার ১০০ টাকার নতুন নোট। তবে এবার নোটের দিন শেষ। নোটকে সরিয়ে বাজারে আসতে চলেছে ২০ টাকার নতুন কয়েন।

View image on TwitterView image on Twitter

PIB India

@PIB_India

PM @narendramodi releasing the new series of visually impaired friendly circulation coins, in New Delhi. Rs.1, Rs.2, Rs.5, Rs.10 and Rs.20 are the various denominations of coins released as part of the new series.

310 people are talking about this

বুধবার অর্থমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জানিয়ে এই খবর দেওয়া হয়ে। নতুন এই কয়েনটি হবে ২৭ মিলিমিটারের। কয়েনটির বিশেষত্ব হলো কয়েনটি গোল হলেও তার চারপাশ একাধিক সরলরেখায় ভাঙা থাকবে। মোট ১২ টি ভূজ থাকবে কয়েনে। যে ২০ টাকার নতুন কয়েনটি বাজারে আসতে চলেছে, সেটির প্রান্তে কোনপ্রকার চিহ্ন থাকবে না।

এই কয়েনটি ১০ টাকার কয়েনের মতোই দু’রকম ধাতব রঙের হবে বলে জানা গিয়েছে। কয়েনটিতে দু’টি স্তর থাকবে। মাঝে এক রকম রং আর বাইরের দিকে অন্য রকম রং।

বাইরের দিকে থাকবে ৬৫% তামা, ১৫% দস্তা ও ২০% নিকেল। ভিতরের অংশটি তৈরি হবে ৭৫% তামা, ২০% দস্তা ও ৫% নিকেল দিয়ে। তবে এই কয়েনটি দেখতে কেমন হবে, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।

তবে শুধু ২০ টাকার কয়েনই নয়, সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে নতুন এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকা এবং দশ টাকার কয়েনও শীঘ্রই আসতে চলেছে।

ট্রাফিক আইন ভাঙলে কোন কোন ধারায় কত জরিমানা? জেনে নিন

ব্যস্ত জীবনে ব্যস্ততার মাঝে রাস্তা চলাচলের ক্ষেত্রে দুই চাকা হোক বা চার চাকা অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ট্রাফিক আইন ভঙ্গের মুখে পড়ে থাকি। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার জন্য আমাদের গুনতে হয় জরিমানা। কিন্তু জরিমানা দেওয়ার সময় আমরা ভেবে দেখি না কোন ধারার জন্য কত টাকা জরিমানা করা হলো। অথবা কোন ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার জন্য আপনাকে দেওয়া হল কোন ধারা। চলুন দেখে নেওয়া যাক ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে আপনি যে যে ধারায় অভিযুক্ত হচ্ছেন তার জন্য আপনাকে কত টাকা জরিমানা গুনতে হতে পারে।

  • ধারা ১৩৭ – হলো সাধারণ জরিমানা – জরিমানার পরিমান ২০০ টাকা
  • ধারা ১৩৯ – হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার – জরিমানার পরিমান ১০০ টাকা।
  • ধারা ১৪০ – পুলিশের আদেশ অমান্য করা – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা (এই ধারা বিশেষ জরিমানার আওতাভুক্ত)
  • ধারা ১৪০ – লাল সিগন্যাল অমান্য করা – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা। (এই ধারা বিশেষ জরিমানার আওতাভুক্ত)
  • ধারা ১৪২ – ঝুঁকিপূর্ণ চালনা ও সর্বোচ্চ গতিসীমা লংঘন করলে – জরিমানার পরিমান ৩০০ টাকা
  • ধারা ১৪৬ – দুর্ঘটনাজনিত জরিমানা – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা
  • ধারা ১৪৯ – নিরাপত্তা ছাড়া বাইক চালালে – জরিমানার পরিমান ৩০০ টাকা (যেমন, হেলমেট না থাকা, ব্যাক লাইট, ইন্ডিকেটর, লুকিং গ্লাস, ব্রেক লাইট ইত্যাদি না থাকলে, দুই জনের বেশি। সহযাত্রী থাকলে এবং সহযাত্রী হেলমেট না থাকলে)
  • ধারা ১৫০ – কালো ধোঁয়া অথবা পরিবেশ দূষণ করে
    এমন ধােয়া সৃষ্টি করলে – জরিমানার পরিমান ২০০ টাকা
  • ধারা ১৫১ – অসংলগ্ন ভাবে কার মডিফাই করলে –
    জরিমানার পরিমান ১২৫০ টাকা
  • ধারা ১৫২- রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন বাইক চালালে – জরিমানার পরিমান ৭০০ টাকা
  • ধারা ১৫৪ – কার বা গাড়িতে নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে বেশি মাল বহন করলে – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা
  • ধারা ১৫৫ – ইন্সুরেন্স ছাড়া রাস্তায় বের হলে বা ইন্স্যুরেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা
  • ধারা ১৫৬ – মোটরযান কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া
    মোটরযান নিয়ে বের হলে – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা
  • ধারা ১৫৭ – রাস্তা আটকিয়ে রাখলে বা রাস্তা আটকিয়ে মোটরযান ঠিক করে – জরিমানার পরিমান ২৫০ টাকা
  • ধারা – ১৫৮ – গাড়ির স্পিড গভর্নর সীল না থাকলে –
    জরিমানার পরিমান ২৫০ টাকা
  • ধারা – ০০০ – রাস্তার লেন অমান্য করলে – জরিমানার পরিমান ৫০০ টাকা।

এই ধারাগুলি এবং এই ধারায় পড়লে কত পরিমান জরিমানা হতে পারে তা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। এগুলি জানা থাকলে আপনি প্রতারণার শিকার হবেন না।

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের লক্ষ্যে চালু এনবিএসটিসি-র সিউড়ি-আসানসোল-সিউড়ি-জঙ্গিপুর নতুন রুট

রণদীপ মিত্র : যাত্রী সুবিধার্থে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার সিউড়ি ডিপো থেকে বেশ কিছু নতুন রুট চালু করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। যে নতুন রুটগুলি চালু হয়েছে তা হল, সিউড়ি-আসানসোল-সিউড়ি-জঙ্গিপুর। সিউড়ি থেকে পান্ডবেশ্বর, হরিপুর, রানিগঞ্জ হয়ে বাস যাবে আসানসোল। জানা গেছে, ভোর পাঁচটা পঁয়ত্রিশ মিনিটে সিউড়ি থেকে আসানোল যাওয়ার জন্য বাসটি পাবেন যাত্রীরা। বাসটি আসানসোল পৌঁছে ফের সাড়ে আটটা নাগাদ আসানসোল থেকে সিউড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সিউড়িতে এগারোটায় পৌঁছে সেটি ছুটবে জঙ্গিপুরের উদ্দেশ্যে। জঙ্গিপুর পৌঁছে আবার সেটি দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিউড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সিউড়ি থেকে আসানসোল যাওয়ার সময়সীমা ধরা হয়েছে আড়াই ঘন্টা এবং সিউড়ি থেকে জঙ্গিপুরের সময়সীমা ধরা হয়েছে তিন ঘন্টা। একইভাবে অপর একটি বাস সিউড়ি থেকে ভোর সাড়ে চারটেয় ছাড়বে জঙ্গিপুরের উদ্দেশ্যে। জঙ্গিপুর পৌঁছে সেটি ফের সকাল আটটার সময় ছেড়ে সিউড়ি উদ্দেশ্যে ফিরে আসবে। এরপর সিউড়ি থেকে সাড়ে এগারোটায় বাসটি রওনা দেবে আসানসোলের উদ্দেশ্যে এবং আসানসোল থেকে বিকেল চারটেই সে ফিরে আসবে সিউড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে।

এছাড়াও সিউড়ি-দূর্গাপুর-সিউড়ি-জঙ্গিপুর রুটও চালু হয়েছে। সিউড়ি থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ছেড়ে বাসটি যাবে দূর্গাপুর। সেখান থেকে আট টা পনেরো মিনিটে ছেড়ে বাসটি আসবে সিউড়ি এবং সিউড়ি থেকে দশটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে জঙ্গিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। দুপুর দুটো চল্লিশ মিনিটে জঙ্গিপুর থেকে ছেড়ে এসে সিউড়িতে হল্ট করবে। সংস্থার সিউড়ি ডিপোর কর্মী সন্তোষ কুমার ঘোষ ও বিমলেন্দু সাহারা জানিয়েছেন, ‘‘যাত্রীদের চাহিদা ও সাচ্ছ্যন্দের কথা মাথায় রেখে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি থেকে রুটগুলি চালু হয়েছে।’’ এতদিন আসানসোল থেকে সিউড়ি আসার জন্য শেষ বেসরকারি বাসটি ছিল বিকেল তিনটে পনেরোয়। ফলে বহু মানুষকে বিপাকে পড়তে হত। সেই সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।